New

শ্বেতপত্র

সাম্য রাইয়ানের তিনটি কবিতা


ছায়া

গাছের ছায়া নিয়ে
এখনো দাঁড়িয়ে আছি

স্পর্শপাখি
তোমার গোপন বিদ্যুৎ

বিপদরেখা ছুঁয়ে
শূণ্যে বেজে ওঠে বাঁশি

আমিই শীতের ঝরাপাতা
আর, উদাসী আমের মুকুল

আশ্চর্য তোমার সংযম
তার পাশে বেমানান ভুল!

রাষ্ট্র

তোমার সাথে আমার দ্রোহের মতো প্রেম!

চলতি পথের ছন্দে

একটা পাখি
সমান তালে
যাচ্ছে ডেকে
বৃষ্টি হোক!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

11 মন্তব্যসমূহ

  1. আজম খান শিশিরশনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

    ছায়া অসাধারন লাগল সাম্য

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আজম খান শিশির
      শ্বেতপত্র পড়ে কবিতা ভালো লাগার জন্য অফুরান শুভেচ্ছা রইলো। সাহিত্যের সাথেই থাকুন।

      মুছুন

  2. সাম্য রাইয়ানের কবিতা "ছায়া" একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর প্রতীকসমৃদ্ধ আধুনিক কবিতা। কবিতাটিতে প্রেম, প্রতীক্ষা, সংবেদনশীলতা এবং সম্পর্কের সূক্ষ্ম দ্বান্দ্বিকতা খুব নিখুঁতভাবে চিত্রিত হয়েছে।

    * প্রতীক ও চিত্রকল্প:

    প্রথম দুই পঙ্‌ক্তি—
    "গাছের ছায়া নিয়ে / এখনো দাঁড়িয়ে আছি"
    – এখানে "গাছের ছায়া" প্রতীক হয়ে ওঠে নিরাপত্তা, আশ্রয় কিংবা অতীতের স্মৃতির। কবি যেন কোনো এক সম্পর্কের ছায়াতলে এখনও স্থির—যেন অপেক্ষার মধ্যে নিমগ্ন।

    "স্পর্শপাখি / তোমার গোপন বিদ্যুৎ"
    – 'স্পর্শপাখি' ও 'গোপন বিদ্যুৎ' দুটি অনন্য চিত্রকল্প। ‘স্পর্শপাখি’ যেন প্রেমিকের সংবেদনশীল আত্মা, যা প্রেমিকার উপস্থিতিতে চঞ্চল হয়। 'গোপন বিদ্যুৎ' নির্দেশ করে গোপন আবেগ, তীব্র আকর্ষণ, যা বাহ্যিকভাবে সুপ্ত থাকলেও অন্তরে একপ্রকার বিপদের রেখা টেনে দেয়।

    "বিপদরেখা ছুঁয়ে / শূণ্যে বেজে ওঠে বাঁশি"
    – এটি এক রোমাঞ্চকর স্তবক। ‘বিপদরেখা’ প্রেমের সেই সীমারেখা, যাকে অতিক্রম করলেই শুরু হয় জটিলতা। কিন্তু সেই রেখা ছোঁয়ার মুহূর্তেই ‘বাঁশির ধ্বনি’—একটি রোমান্টিক, জাদুময় মুহূর্তের প্রতীক, যা ভালোবাসার সঙ্গীত হয়ে শূন্যে ভেসে বেড়ায়।

    * আত্মপরিচয় ও দ্বন্দ্ব:

    "আমিই শীতের ঝরাপাতা / আর, উদাসী আমের মুকুল"
    – কবি নিজের অবস্থানকে দ্বৈত রূপে চিত্রিত করেছেন। একদিকে তিনি শূন্যতায় পতিত—ঝরাপাতা, অন্যদিকে বসন্তের আগমনী বার্তা—আমের মুকুল। এটি প্রেমের আনন্দ ও দুঃখের সহাবস্থানের এক জটিল রূপ।

    "আশ্চর্য তোমার সংযম / তার পাশে বেমানান ভুল!"
    – এই অন্তিম পঙ্‌ক্তিতে কবি প্রেমিকার সংযম, নিয়ন্ত্রণ ও স্থৈর্যের প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, যা কবির নিজের ‘ভুল’–এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই ভুল হতে পারে আবেগপ্রবণতা, তাড়াহুড়ো, বা সম্পর্কের কোনো ভুল সিদ্ধান্ত।

    * শৈলী ও ভাষা:

    সাম্য রাইয়ানের ভাষা স্বল্পবাক, প্রতীকপূর্ণ, এবং সুরেলা। কবিতাটি বিন্যাসে আধুনিক, মুক্তছন্দে রচিত। অনুভবের গভীরতা প্রকাশিত হয় কবিতার প্রতিটি চিত্রে। কোথাও সরাসরি না বলে, পরোক্ষে ইঙ্গিতের মাধ্যমে কবি সম্পর্কের আবহ, অভিমান ও আকাঙ্ক্ষাকে মূর্ত করে তুলেছেন।

    সর্বোপরি বলব, "ছায়া" একাধারে প্রেমের কবিতা, আবার আত্মজিজ্ঞাসারও কাব্য। এর প্রতিটি পঙ্‌ক্তি আবেগ, স্মৃতি, আকর্ষণ ও অপূর্ণতার ধ্বনি বহন করে। সাম্য রাইয়ানের কাব্যিক শক্তি এখানে তার নিঃশব্দ বর্ণনায়, যেখানে শব্দের চেয়ে ছায়া অধিক স্পষ্ট।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. Dr. Rezaul Karim
      শ্বেতপত্র পাঠ ও সাম্য রাইয়ানের কবিতা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুরধার এবং বিশ্লেষণাত্মক বিশদ পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা আর অফুরান সম্মান জানাই। আপনি আমাদের অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকুন। আপনাকে সর্বদাই আমন্ত্রণ জানাই শ্বেতপত্র পাঠের ও পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার।

      মুছুন
  3. অকপট রব্বানীরবিবার, ০১ জুন, ২০২৫

    ১ লাইনের কবিতা?জিবনে ১ম পড়লাম ভাই

    উত্তরমুছুন
  4. কবিতা কবিতা করে জিবন শেস করে দিলা মকু

    উত্তরমুছুন
  5. এসব কি ছোটভাই ?
    তুমিও এই ছেলের পাল্লায় পড়ছো?
    সাম্য তুমি এই ছেলের পাল্লায় পডিিও না৷ এ নিজেকে হাতির হোল কবি মোকলেছুর রাহমান মনে করে৷ সমালোচনা করলে আমাকে হিট করতে চায়, থানায় কেচ করতে চায় ৷

    উত্তরমুছুন
  6. সেইরকম রসমালাই চমচম

    উত্তরমুছুন
  7. কাশফিয়া তানিম জান্নাতিমঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

    ইরানের নারীরা—একটি নীরব বিদ্রোহের প্রতিচ্ছবি।

    খোমেনীর বিপ্লবের পরে অনেক কিছুই বদলেছে ইরানে, কিন্তু সময়ের স্রোত কি কখনও এক জায়গায় থেমে থাকে?

    নারীরা এখন আর শুধু ঘরের চার দেয়ালে নয়, তারা এখন রাজপথে—চোখে প্রশ্ন, কণ্ঠে সাহস।

    তারা হিজাবের নিচে লুকায় না; বরং হৃদয়ে লুকিয়ে রাখে স্বাধীনতার স্বপ্ন।

    তরুণ প্রজন্ম চায় এক উন্মুক্ত জানালা, যেখানে হাওয়া আসবে দূর বিশ্বের
    সুরের, রঙের, ভাবনার, ভালোবাসার।

    কিন্তু শাসনের দেয়ালগুলো এখনও পাথরের মতো শক্ত,
    আশ্চর্য এক দ্বন্দ্ব চলে—
    একদিকে শত শত কণ্ঠ, অন্যদিকে নিঃশব্দের শাসন।

    তবু কি শেষ হয়? প্রেম কি থেমে যায় নিয়মে?
    না, তারা এখনও চায়…
    একটা ইরান, যেখানে জীবন হবে আলোয় পূর্ণ,
    মেয়েটির হাসি হবে তার নিজের ইচ্ছার ফল।

    ধর্মীয় গোড়ামী ছুড়ে
    পাখা মেলে উড়তে চায়,
    তাল মেলাতে চায় জ্ঞান বিজ্ঞানে বিশ্বের সাথে।

    উত্তরমুছুন

অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷