New

শ্বেতপত্র

কবি এসেছেন নীরবে | জ্যোতি আহমদ


উৎসর্গ : সদ্যপ্রয়াত কবি দাউদ হায়দারকে

উপেক্ষিত কবি কোথায় গেছেন?
ওই যে ওখানে ছিলো মাঠ
ওই মাঠে ছিলো ঝিঁঝিদের ঝাড়।

ওর পাশ দিয়ে কবিতা ছড়াতে ছড়াতে 
একদিন তাকে খুব ধীরে হেঁটে যেতে দেখেছিলাম,
কতো বছর আগে?
যখন বাইশ বছর বয়স নাকি-
যখন যৌবনে প্রবুদ্ধ আগুন লেগেছিলো!

ওই মাঠে এখন কোনো মাঠ নাই-
সেখানে জন্মেছে এক সাততলা দালান -
আমাদের সময়ও হয়ে গেছে কতো না প্রবীণ!

সে কথা থাক, সহসা আজ আবার সেই সব ছড়ানো
কবিতার গন্ধ পেলাম যেনো!
মনে হলো এখানে কোথাও কবি এসেছেন নীরবে
খুব একা, তার কাঁধে উপেক্ষার ব্যাগ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

19 মন্তব্যসমূহ

  1. যারাই সমাজের জন্য বা মানুষের জন্য কিছু করেছে তারাই উপেক্ষিত হয়েছে। আর আপনাদের মত মানুষ যারা ব্যাপারটি বোঝেন তাদের কাছে সেই সব মানুষ নীরবে নিভৃতে উপেক্ষার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে আসে বৈকি।
    অসংখ্য ধন্যবাদ জ্যোতি ভাইকে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

      মুছুন
    2. শ্বেতপত্র পাঠ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
      আপনাদের মতে পাঠক আছে বলেই শ্বেতপত্র নিয়মিত প্রকাশের প্রেরণা ও শক্তি পায়। আমন্ত্রণ রইলো নিয়মিত শ্বেতপত্র পাঠের ও মন্তব্যের।

      মুছুন
  2. আপনার কবিতা পড়ে অঝোড়ে কাদলাম ৷ জীবন কেন এত নিষ্ঠুর ? কেন প্রিয়জন দূরে চলে যায়! ওকি হায় হায় রে

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. লেখা পড়ে দুঃখ পাওয়ার জন্য আমরা শ্বেতপত্র পরিবার আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।

      মুছুন
  3. ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর একটি কবিতা পড়ানোর জন্য। শুভকামনা রইল।

    উত্তরমুছুন
  4. গুলতেকিন কোবরা সুলতানাশুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫


    মকলু ,কে এই নতুন কবি?
    এই যুগের কবিতা হিসাবে মোটামোটি চলে তবে আরো উন্নতি কর্তে হবে , বই পড়তে হবে

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. গুলতেকিন কোবরা সুলতানা
      শ্বেতপত্র পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ।
      আপনি সম্পাদকের সঠিক নামে সম্বোধন করে বাধিত করবেন আর আপনি বলেছেন নতুন কবি, না ইনি নতুন কবি নন বয়সে প্রবীণ।

      মুছুন
    2. গুলতেকিন কোবরা সুলতানাশুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

      বন্দুদের মধ্যে নাম নিয়ে একটু মজা করা অপরাধ ? কলেজে পরার সময় কোনদিন এমন বলিসনি ৷ কিন্তু আজ তুই বড় কবি হইচিস বড় নেতা হইচিস বড় সাংবাদীক হইচিস তা এখন বন্দুকে ভুলে গেচিস

      মুছুন
    3. গুলতেকিন কোবরা সুলতানা
      বন্ধুত্বের সম্পর্ক এমন একটা অটুট বন্ধন যা কখনো ছিন্ন হয় না। বন্ধু প্রতিষ্ঠিত হলেও বন্ধু ব্যর্থ বা বিজিত দীন-দরিদ্র হলেও বন্ধু এসব বিবেচনা অবান্তর। তবে পাবলিক প্লেসে উপনামে ডাকা, উপনাম সবার/ অন্যদের মধ্যে হাস্যকর পরিস্থিতির উদ্বেক তৈরি করে সেজন্যই মূলত বলা।

      মুছুন
  5. আব্দুল হাই হরিকেশশনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

    জ্যোতি আহমেদের এই কবিতাটি আবেগপূর্ণ এবং স্মৃতিমেদুর। এটি সদ্যপ্রয়াত কবি দাউদ হায়দারকে উৎসর্গ করে লেখা হয়েছে, যা একধরনের শ্রদ্ধার প্রকাশ। তবে কবিতাটিতে কিছু গঠনগত ও ভাষাগত ত্রুটি রয়েছে, যেগুলো সংশোধন করলে পাঠপ্রতিক্রিয়া আরও মজবুত হতে পারে।

    সম্ভাব্য ত্রুটিসমূহ:

    ১. বাক্যগঠন ও ছন্দের অসংগতি:

    "ওর পাশ দিয়ে কবিতা ছড়াতে ছড়াতে" — এই পঙক্তিটি কিছুটা অস্পষ্ট। “কবিতা ছড়াতে ছড়াতে” বলার মধ্যে ভাব থাকলেও, ক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি এক্ষেত্রে দুর্বলতা তৈরি করছে। সংক্ষেপে বা সরলভাবে বললে অধিক প্রাঞ্জল হতো, যেমন “কবিতা ছড়াতে ছড়াতে হেঁটে যাচ্ছিলেন”।


    ২. বাক্যের অস্পষ্টতা ও প্রাসঙ্গিকতা:

    "যখন বাইশ বছর বয়স নাকি" — এখানে “নাকি” শব্দটি দ্বিধা প্রকাশ করছে, যা পাঠকের মনে বিভ্রান্তি আনে। এটি হয় “যখন বাইশ বছর বয়স ছিল” কিংবা “বাইশ বছর বয়স ছিল, সম্ভবত” — এমনভাবে লিখলে ভালো হতো।


    ৩. চিত্রকল্পের অসংগতি:

    "যৌবনে প্রবুদ্ধ আগুন" — “প্রবুদ্ধ” অর্থ ‘জ্ঞানী’ বা ‘বোধসম্পন্ন’। যৌবনে আগুন লাগার ক্ষেত্রে “প্রবুদ্ধ” শব্দটি তেমন উপযুক্ত নয়। হয়তো “প্রচণ্ড” বা “উত্তপ্ত” ভালো মানায়।


    ৪. গদ্যধর্মীতা বেশি:

    কবিতার মধ্যভাগে ন্যারেটিভ ধারা এতটাই গদ্যঘন হয়ে গেছে যে, ছন্দ বা কবিত্ব কিছুটা ম্লান হয়ে পড়েছে। যেমন:

    > “সেখানে জন্মেছে এক সাততলা দালান -
    আমাদের সময়ও হয়ে গেছে কতো না প্রবীণ!”



    — এই অংশটি অনেকটা কথ্যভাষার মতো শোনায়।


    ৫. শেষ পঙক্তির অস্পষ্টতা:

    "তার কাঁধে উপেক্ষার ব্যাগ" — এই চিত্রকল্পটি বিমূর্ত হলেও কিছুটা দুর্বোধ্য। “উপেক্ষার ব্যাগ” রূপক হিসেবে কল্পনাশক্তির দাবি রাখে, কিন্তু ব্যাখ্যা না থাকায় এটি দুর্বল চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।



    ---

    পরিশেষ:

    এই কবিতায় স্মৃতি, হাহাকার ও শোক প্রকাশ পেয়েছে, যা কবির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ। তবে ভাষার দিক থেকে এটি আরও পরিমার্জন করলে পাঠক-মনকে গভীরভাবে স্পর্শ করতে পারত।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আব্দুল হাই হরিকেশ
      কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনি নিশ্চয় ভালো ও সুস্থ আছেন সে কামনাই করি সব সময়।
      আপনি যে নিয়মিত অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা শ্বেতপত্র পাঠ করেন এবং লেখার বিষয়বস্তু ধরে ধরে বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা করেন সেই জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও সম্মান জানাই। আপনার ধারাবাহিক শ্বেতপত্র পাঠ ও লেখা সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ মন্তব্য আমাদের প্রাণিত করে চলেছে শ্বেতপত্র প্রকাশে। আপনার/ আপনাদের মতো পাঠক শ্বেতপত্রের আছে বলেই আমাদের শিল্প-সাহিত্যের চর্চা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারছি। আপনি শ্বেতপত্রের সাথেই থাকুন আরো বেশি বেশি লেখা সম্পর্কে মন্তব্য করে আমাদের শিল্পের যাত্রাকে সচল ও বেগবান করবেন এ প্রত্যাশা।

      মুছুন
    2. আব্দুল হাই হরিকেশশুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

      আপনার মত উচ্চমানের সম্পাদকের সাথে আমি আছি সেলুট ৷ আপনি নিয়মিত শেতপএ প্রকাশ করুন নিয়মিত এটাই চাই৷ মিস হয না যেন এটাই তোমার ভবিষ্যতের পাথেও মনে রাখবে

      মুছুন
    3. আব্দুল হাই হরিকেশ
      আপনার ভালোবাসা ও স্নেহময় আকাঙ্ক্ষা আমাদের পথ চলার অপরিসীম শক্তি আর সাহস সঞ্চার করবে।

      মুছুন
  6. বৈষম্য বিরোধী কবি ইদ্রিস আলীশনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

    কবি ও কাঁধের উপেক্ষাব্যাগ

    কাঁধে ঝোলানো উপেক্ষার থলে,
    ছন্দের ছাই আর গদ্যের জ্বালে।
    নিজেকে ভাবেন 'আধুনিক বাউল',
    আসলে জ্যোতি এক কাব্যিক ফাউল।

    মাঠ খুঁজে ফেরেন দালানের পাশে,
    কবিতা নাকি গন্ধ দেয় লাশে!
    বাইশ বছর বয়স? “নাকি” দিয়ে ঢাকে,
    মুখে বলে আগুন, কলমে কেবল আঁকে।

    শব্দে শব্দে বানান ভুল,
    ভাবের নামে কাঁদে ভুল!
    উৎসর্গ করেন মহাকবিকে
    নিজের নামে বাজে ঢাকে।

    ছড়াতে ছড়াতে করেন হাঁটা,
    ছন্দরা সবাই নেয় দৌঁড়-পাঁটা!
    গদ্যের ঝাঁঝে ছড়ার মৃত্যু,
    তবু তিনি “মহাকবি”
    জ্যোতি আহমেদের কী অদ্ভুত সূত্র!

    অতঃপর সাততলা ঢংয়ের কবি,
    উপেক্ষা নয়, দেন দম্ভের নবি!
    খাতা ভরে আত্মবন্দনা,
    বাক্যভারে হয় পাঠক বন্যা।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. বৈষম্য বিরোধী কবি ইদ্রিস আলী
      অনুগ্রহপূর্বক শালীনতা বজায় রেখে মন্তব্য করার সহযোগিতা কাম্য।

      মুছুন
  7. জোতি ভাইয়ের কবীতা মানেই সেরা—কবিতাটি পড়ে আমার বিচি মাথায় উঠে গেছে

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. কবিতা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। তবে শেষ বাক্যে অমার্জিত শব্দ প্রয়োগে আপত্তি জানাচ্ছি।

      মুছুন

অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷