ক্লান্ত অবসন্ন অপরাহ্নে ভাতঘুম
ভ্যাপসা গরমে ঢুলুমুলো দু-চোখ তন্দ্রাচ্ছন্ন।
স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্ন আসে, তার ভেতরে তুমি;
দৃষ্টিতে আধো স্পষ্ট, স্পর্শ অনুভবে যেন স্পষ্ট।
কোন বাক্য বিনিময় নয়, শুধু একটা দৃঢ় আলিঙ্গন!
মুহূর্তেই স্বপ্নের ভেতরের স্বপ্নটা কেটে যায়,
একি, কোথায় তুমি?
স্বপ্নের কথা মনে করে স্বপ্নেই হাসি।
হঠাৎ টিনের চালে ঝমঝম বৃষ্টির শব্দে সচকিত,
স্বপ্ন-স্মৃতি মনে করবার চেষ্টা চলে অবিরত।
স্বপ্নে নয়, স্বপ্নের ভেতরের স্বপ্নে তুমি!
ধীরে ধীরে সম্বিত ইন্দ্রীয়ানুভূতি।
তোমার অবয়বে এখনো অনুভূতি হয় আবেশিত
যখন তখন, ঠিক আষাঢ়ের বৃষ্টির মত।
জীবন নদী
প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে?
আর নদী,
সেতো এক অনবদ্য প্রকৃতি।
সমুদ্রের বিশালতা
হয়নি কখনো উপভোগ করা,
নোনা জলে পা ভেজানো হয়ে ওঠেনি।
তবে সুযোগ পেলেই নদীর পানে ছুটি।
নদীর ভূমি জলেশ্বরী
তিস্তা,
ধরলা,
ব্রক্ষপুত্র
অথবা দুধকুমারের কিনারায় দাঁড়িয়ে
জলরাশিতে নিবন্ধ দৃষ্টি।
একে একে সেথায় হানা দেয়
পুরোনো দিনের পাওয়া না পাওয়া,
যাপিত জীবন
আর ভবিষ্যতের মহাপরিকল্পনা।
হাহাকার করে ওঠে শূন্যতা!
তারপর একে একে মিলিয়ে যায়,
আমি ভুলে যাই সেসব কথা।
নিঃশব্দে
নিরবধি
অবিরল বয়ে চলা
জলরাশি বলে দেয়
জীবনের গতিময়তা।
1 মন্তব্যসমূহ
লেখক আপনাকে ঈদ মুবারক
উত্তরমুছুনওগো সম্পাদক তোমাকে আইলাভইউ
তোমার সাথে কুলাকুলি
অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷