অভিজিৎ বসুর একগুচ্ছ কবিতা

নীল বারোমাস

গরম মেপে মেপে

সব রঙ মুছে যাবে

প্রায়শই পিপাসা বদল

কলোনীর কুকুরের ছুটে চলা

আধাবোজা শরীর

চারপাশে ধূ ধূ নিঃসঙ্গতা

পুরনো যন্ত্রণার খোলস

ফিসফাস চৈত্র মাস

ঘাসের চেয়ে  বস্তির খিস্তির নীরবতা

শব্দ ছাড়া সুর ছাড়া বনবাস

সুপ্ত সময়ে বেড়াল জন্ম 

এতো কথা কী মনে থাকে?

চুমুক দিতে দিতে রাত জাগা

সব কিছু জানে রক্তের ফোঁটা

এই সড়কে বড্ড গরম

চোখে রাতের ছাপ

যা কিছু স্পর্শ 

ঘুমঘোরে চুম্বনের অপেক্ষায় 

শুধু উড়ে চলে খসে যাওয়া পাতা

কিছু ঘটনা আছে 

তাই কারুর প্রশ্নের এখন আর উত্তর নেই

নেই আলো মাখা দিনের 

সে জানে 

হাসতে হাসতে ঘুম জলের পেটে

আমি জানি 

একা

খুব একা

ভোরের স্বপ্নে নীল ভালোবাসা

নীড় মানে বাসা

আগুন ছুঁয়েছে তাকে. ..

আঙুলের কয়েন

রাতের ভালোবাসা বদল হয় 

অমরত্বকে তাচ্ছিল্য করা যায়

প্রেম ট্রেম যদি করো

ব্রেকআপ সুইসাইড

নাটকের শেষ অংক উপস্থিত 

হাতের মুঠোয় মুহূর্ত 

আলো বুঝতে হলে অন্ধকারে লিখতে হয়

       রোমান্টিক পত্র 

ব্যাক মিউজিকে এস্রাজের  অচেনা

    রূপকথা 

মনের ভেতর অন্যমন

মাইন্ড গেম সেটাই মাতাল 

     করে মরণ...

সংসার করবে চব্বিশ ঘন্টার জন্য

অথবা পৌষের রাতে হাত ধরাধরি করে হাঁটা

 

গল্প করতে করতে একটু রাত

বন্ধু মানে জানি হয়তো মাথায় যন্ত্রণা 

একবার দেখতে এসেছি 

নাটকের সিরিয়ালে পলাতক চোখের ফুটপাত 

 কেউ বোঝে না

পুলিশ ফরেনসিক পাড়ার লোকজন

 মরে গেলে পাখি উড়ে যায়

কষ্ট পাবো বলে

কষ্ট বেঁচে সঙ্গীত

কতোদিন শরীরের উত্তাপে কাটেনি 

বৈশাখী তাপ

 সারারাত ফোনের সুইচ অফ

কারণ তো থাকবে সুদর্শন চক্রের 

রোদে তাপে লাল

নিউক্লিয়াস ম্যাটার

ক্লাইমেক্স মন্বন্তরের প্রশ্ন 

চৈতন্যে অ্যালকোহল

 দেখা হবে একদিন

বইয়ের কালো অক্ষরে

রাতের ভালোবাসা বদল হলে

নিষিদ্ধ হয় আন্দোলন

দুধ চায়ে ডুবে যায় আঙুলের কয়েন...

পুতুলের পাঠ

চাঁদের আলোয় স্বপ্নগুলো হারিয়ে যায়

আর স্বপ্ন মানে আগুনের উত্তাপ চোখ

ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে ইচ্ছেরা উড়ছিল

হাতটা পিঠের কাছে খুঁজছিল চোরা ঝড়

লাল ওড়নায় মরে যেতে চায় এআই পাঠ

প্রতিরাতে পাগলের সাথে চাঁদের স্নান

প্রতিষ্ঠানের চাটুকারিতায় বদলে যায় 

রক্তের বিন্যাস ঝুমুর নৃত্যে বিশ্লেষণ 

একবারও কী জানতে চাওনা

কেমন আছে গোলাপের রঙ

তিনশ মাইল দূরে রাত তিনটায়

 ভেসে আসে চুমুর গন্ধ ও পারফিউমের বাংলা

         নেশা

খুন হয় মোনালিসার মোমের পুতুল

হাজারো কফিনে  বন্দী আত্মা 

চ্যাটজিপিটি বানিয়ে দেয় ভালোবাসা 

সাইকেল চালিয়ে সামনে এলে

 কোলাজ হয় অদৃশ্য 

তুমি জানো না আলুভাত রাঁধতে শিখেছি 

কি হাসতে মন চাইছে

    হেসে নাও

মরে গেলে এখনকার মতো কী ছটফট করবে

ঈশ্বরের সামনে বলতে পারবে 

   কী ছিল প্রিয়

কতোদিন হলো ফোন আসে না

কতোদিন হলো সকালে ভাঙেনা সকাল

আনন্দের সময় ভুলে থাকো আমায়

ছায়া এগিয়ে ছায়া হয়

মরে গেলে বরষায় ভেসে যাবে সব

কতোকাল বাকি বরষায় ভিজবে 

        তোমার শহর

কতোকাল বাকি?

কবে জ্বলবে শ্মশানে শরীর??

ছাই হয়ে যাওয়া সময় কতোদূর