এই হাত, এই মুখমণ্ডল, দেখার চোখ
সব একই রকম!শুধু বোধের দরোজা
দৃষ্টিসীমানা থেকে সরে যেতে যেতে
আলোহীন অন্ধকারে ভ্রমণের নেশায়
মরে যেতে থাকে।মানুষকে কী নামে
ডাকা যায়?কোনো ঋতুই এখন পক্ষে
থাকে না মানুষের!সব ঋতুতেই সমান
বিপদ!বরফ ও মেঘের কাছাকাছি
গেলেও রক্তাক্ত হতে থাকে হৃদয়,
আলোর বল!তাহলে কোনদিকে গেলে
বিপদ টপকে বেঁচে থাকা যায়? আমার
হৃদয় থেকে রক্তের ফোঁটা তোমাদের
সীমানা বরাবর চুঁইয়ে পড়লেও কী
মনে হবে না সবার রক্তের রং এক
২.
খুব ভোরে একজন চিত্রকরও পেছনের
বিকেল নিয়ে ভাবে!কিন্তু সব স্মৃতিই
এখন মৃত্যুর মত!এখন বেঁচে থাকা
অত সহজ নয়!হুতম পেঁচার মত মুখ
ভার করে দুপুরের মগডাল বসে থাকে
প্রেমিকযুগল!কোনো সম্পর্কই এখন
সমুদ্রের মত নয় শূন্যের নিচে চাপা পড়ে
আছে বিশ্বাস ও বোধের ভূ-স্বর্গ
৩.
চাঁদ ও শূন্যতা ইতস্তত ইস্কুল পালানো
বালিকার মত উড়ে যেতে চায় অন্য এক
অচেনা গ্রহে! আজ এই মধ্যদুপুরে বসে
আমারও মনে হতে থাকে আমার আসল
শত্রু কে? এই অদৃশ্য শত্রুর ভার বহন
করাও কম যন্ত্রণার নয়!নিজস্বতা বলতে
দিগন্ত অবধি শূন্যতা ও অপেক্ষার নৈশভোজ
অতঃপর বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলজুড়ে শুধু আর্তনাদ
২৫ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা।
0 মন্তব্যসমূহ
অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷