New

শ্বেতপত্র

ভীষ্মদেব সূত্রধর এর তিনটি কবিতা





১.অনুক্ত

বোধের যেটুকু তাড়া অবেলার ঘ্রাণে,

শুকনো হৃদয় থেকে বেরোয় সন্তাপ।

বিবক্ষায় ভুগছে নির্জন অন্তরাত্মা,

জ্ঞাতব্য আমার শরীরের পানসেয়।

হেয়! জন্মের বিকল অভিশাপ মানে—

অপাঙ্গের কম্পন শুধরে মহানিশা।

তাণ্ডব খণ্ডিব এমন অসাধ্য সাধে,

আমি নামিনি অথৈ জলে অবগাহনে—

অথবা, ডুব দিয়ে অনাহত হাতের

সেই বঞ্চনা মনে! হৃতসর্বস্ব করে,

অপসৃয়মান অন্ধকারে নিস্তব্ধতা

নামে, চলে যায়— অর্জন হারায় দিশা।

তবুও বাঞ্ছা জাগে, অভিমান অমন,

নোনা! ভীষণ অগোচরে চ্যুত, অবাধে

-

২.অথচ ক্যারোলিন রাতে

ঘুমাওনি, ক্যারোলিন?

আমি আধরাতে হতে চেয়েছি বিলীন এক নিকষ অন্ধকারে।

আঙুলের ছাপ রেখে যেয়ো আমার বুকের পশমে।

ঘুমাও, ক্যারোলিন—

ক্যাথরেট ঠোঁট রেখো ঠোঁটে, এমন রাতে তোমার গ্রীবায় আমার ঠোঁটের ঋণ।

চুপ করে শোনো, ডাহুকের ডাক;

মাখো বাতাবি লেবুর আঘ্রাণ নিমেষে,

ধানি পোকার মতো গিলে ফেলেছে গুঁইসাপ, শুয়ে পড়েছে তার সাথীর চর্মে।

ঘুমাওনি, ক্যারোলিন?

এমন বৃষ্টির রাতে জানালার কার্নিশ খসে পড়ে,

ঘোড়ার খুরের শব্দে জেগে ওঠে শহর।

তোমার সফেদ বক্ষে দোদুল্যমান পেন্ডুলাম—

এখনো বাকি আছে মিনিট তিন;

রাত ফুরোবার।

-

৩.ব্রোথেল

বুকের ভেতর শুধু নিম্নাঙ্গের ঝড়—

থার্মোমিটারে পারদের চাপ বাড়ছে।

ট্যাঁকি মাছের ফুলকা ফাঁপছে,

যৌবন শেষ;

গূঢ় দ্বারে পতিত জলে

ধুয়ে মুছে গেছে ফুটন্ত ফুল।

বালির ভেতরে ভাপা পিঠা—

স্তুপাকৃত পশম,

নেংটো কুকুরের ভাবাবেগ

খুঁজে ফিরছে আমুদে আহ্লাদ।

ভিক্ষা নয়!

দুর্ভিক্ষপীড়িত হে জীবন,

শুধু—

শান্তি।

কোনো চুক্তিবদ্ধ যাপন নয়,

তবে পুরুষ কি?

বামন মানুষ চাঁদে হাত দেয় না—

চাঁদের আলোতে লুটিয়ে পড়ে

ভরা পেট,

মদ খেয়ে।

-



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ