এইসব আনন্দ দিনে আমি আমার ঘরের ঘ্রাণেই নষ্টালজিক হই কেবল৷ ঘর বলে কিছু তো এখন আর নাই! ইদে বাড়ি যেতে ইচ্ছে করেনা এখন, শ্যাওলা জমা কলতলা, প্রাচীন দালান ধেয়ে উঠা কলমিলতা কিংবা টিনের চালায় ঝরা পাতার শব্দ তবুও মনে পড়ে অবিরাম । মনে পড়ে মাটির ঘ্রাণ, নদীর ঘ্রাণ। মনে পড়ে বাবার মুখ। ইদের আগের রাতে রান্না করে রাখা রঙিন ভাতের জর্দা খেতাম আমরা একসাথে। জীবন নিয়ে কখনোই কোন আফসোস নাই আমার চিরদিন আমি মনে রেখেছি
'ভাল মন্দ যাহা আসুক সত্যরে লও সহজে।'
এখনো এইসব আনন্দদিন এলে হৈ হুল্লোড় করি। প্রয়োজন রঙ কুড়িয়ে রংধনু আঁকি। তবুও কখনো কখনো বৈশাখী ঝড়ের মতো প্রবলবেগে গলা আটকে আসে। পাহাড় ডিঙানো সহজ কাজ নয়৷ যার ব্যথা কেবল তারই মরমে বাজে। ছায়াহীন, ভরসাহীন একা লড়াই করে জীবন বহন করা সহজ নয়। ইদ আসে, আনন্দ আসে। ভীষণ আনন্দ পার্বণে বাবার হারিয়ে যাওয়া প্লেটে দেখতে পাই আমার অজস্র নির্ঘুম রাত জেগে থাকা, চমৎকার প্রাণবন্ত বালিকার অন্যমনস্ক নির্লিপ্ত মুখ। স্মৃতিপিপীলিকারা
নিরবে হেঁটে ঠিকই পৌছে যায় সাতাশ ডিসেম্বর, দু হাজার উনিশ।
6 মন্তব্যসমূহ
বিষাদেরও গরিমা থাকে, গৌরব থাকে। বিষাদ মানেই ক্লান্ত না- বিষাদেও ঐতিহ্যের মহিমা থাকে। এটা একটা মহৎ লেখা।
উত্তরমুছুনহৃদয়গ্রাহী কবিতা
মুছুনপুরো জীবন আসলে আমরা শৈশব বহন করে চলি
উত্তরমুছুনঠিক বলেছেন
মুছুনGood Poem
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনঅমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷