সমগ্র সংস্কারে কী আসে যায় সময়ে
অলক্ষে রাক্ষস-রাক্ষুসিরা প্রহর গুনে
চোখপত্রে নিমপাতার বিভাজন দেখি
লাল কাজলে দৈত্যের ছবি আঁকি।
পথে পথে দেখি আজ কান্না শ্রমিকের
বে-সরকারি জনগণের হতাশা ক্ষোভ
সুযোগে গর্জে উঠেছে বাউন্ডুলে বক্তা
চোখপত্রের যত কালি নয় অত সস্তা।
কবির কলম যদি থাকে অন্যের অধীন
চোখপত্রে কাজল দেয়া নয় সমীচীন।
8 মন্তব্যসমূহ
পরেনা চোখের পলক
উত্তরমুছুনকি তোমার রুপের ঝলোক
ফাসক্লাশ কবিতা কবির সোনা
কবিতার নাম: চোখপত্র
উত্তরমুছুনকবিতার মূল বিষয়: সময়ের প্রেক্ষাপটে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের প্রতিবাদ
সমালোচনা:
উপরোক্ত কবিতাটি সমসাময়িক সমাজবাস্তবতার প্রতি এক তীব্র প্রতিবাদ এবং বিশ্লেষণ। কবি "সমগ্র সংস্কার" বা পরিবর্তনের কথা বললেও ইঙ্গিত দেন যে, এই সংস্কারের আড়ালে কিছু অদৃশ্য অপশক্তি—“রাক্ষস-রাক্ষুসি”—সক্রিয় রয়েছে, যারা সময়ের অপেক্ষায় আছে সমাজকে গ্রাস করার জন্য। এটি সমাজে লুকিয়ে থাকা দুর্নীতিপরায়ণ ও সুযোগসন্ধানী শক্তির রূপক।
“চোখপত্রে নিমপাতার বিভাজন”—এই পংক্তিতে বিষাদ ও হতাশার চিত্র ফুটে ওঠে। নিমপাতা যেমন কষা ও তিতা, ঠিক তেমনভাবেই আমাদের চারপাশের দৃশ্যপট তিক্ততায় ভরা। “লাল কাজলে দৈত্যের ছবি” আঁকা মানে হচ্ছে, নানান রঙে আমরা যে সুন্দরতার মুখোশ পরাই, তার পেছনে রয়ে গেছে দৈত্যের মতো নিষ্ঠুর বাস্তবতা।
দ্বিতীয় স্তবকে শ্রমিকের কান্না, জনগণের হতাশা এবং পথের বক্তাদের গর্জন এক গভীর সামাজিক অসন্তোষকে তুলে ধরে। “চোখপত্রের যত কালি নয় অত সস্তা”—এই লাইনটি সংবাদমাধ্যম বা লিখিত কথার গুরুত্ব ও দায়বদ্ধতার প্রতি এক তীব্র মন্তব্য। কালি যেন ব্যয় নয়, বরং এক গাঢ় দায়িত্ব।
শেষ দুই পংক্তিতে কবি কাব্যচর্চার স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন। “কবির কলম যদি থাকে অন্যের অধীন” হলে তার কাব্য নিরপেক্ষ বা সত্যপ্রকাশে সক্ষম হয় না। সে ক্ষেত্রে চোখপত্রে “কাজল” দেওয়া—অর্থাৎ চোখে সত্য দেখার সৌন্দর্য যোগ করা—নয় সমীচীন।
শৈলী ও ভাষা:
কবিতাটি প্রতীক ও রূপকের ব্যবহারে ভরপুর, যা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে। শব্দচয়নে রয়েছে সংযম, আর প্রতিটি চিত্রকল্প সমাজের গভীর বাস্তবতাকে উন্মোচন করে।
উপসংহার:
এটি একটি প্রতিবাদী ও প্রতিম্বময় কবিতা। সমাজে পরিবর্তনের নামে যে পিছুটান চলছে, যে লুকোচুরি চলছে, তার বিরুদ্ধে কবি কলম ধরেছেন। কবিতাটি বর্তমান সময়ের এক বলিষ্ঠ ভাষ্য।
আন্তরিক ধন্যবাদ
মুছুনজনাব, পবিত্র সরকার, ভালোবাসা জানবেন। ভাবের গহীনে কবিকে চেনে কবিকে বুঝে সে তো মহাকবি। কবির গুরু বলতে পারি সে নিশ্চয়ই সকল ভাবের সকল রূপকের উর্ধে। আপনার মূল্যবান আলোচনা সত্যিই সকল কবিকে উজ্জীবিত করবে, আনন্দ দিবে। আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে বর্তমান বাস্তবাতাকে কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি মাত্র। আপনার আলোচনাকে স্যালুট জানাই। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনকবীর তুমী ভাল হবা না?
উত্তরমুছুনএসব কি কবিতা হৈছে ? মকলু তুমি এসব কি শুরু করেচ বলোোত? তোমাকে সবাই এত ঠাপায় তবু তুমি ঠিক হবানা
উত্তরমুছুনতুমি এসব কি লিখেছ কবির ছোটভাই?তোমাকে আমি এত আদর করি ,এসব লেখার জন্য ? একটু উন্নতমানের কবিতা লিখতে হবে তোমাকে ৷ তুমি রাজ্জাক চাচার কাচে কবিতা লেখা শিখিও না হলে পাঠক তোমাকে হাম্বুল দিবে
উত্তরমুছুনঅমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷