লিখেছেন: ড. প্রবাল চক্রবর্তী
সাম্য রাইয়ান অনেকদিন ধরেই ফেসবুকে আমার বন্ধু হিসেবে আছেন। যদিও কখনো কথা হয়নি, তবুও দূরবর্তী অবস্থানে থেকেও জানতাম সাহিত্যের একজন প্রবল অনুরাগী লেখক তিনি, পাশাপাশি সম্পাদক হিসেবেও বেশ সুনাম রয়েছে তাঁর। আমি সোচ্চারে বলব, এই সময়ে একজন কবি একান্ত বেপরোয়া নাছোড়বান্দাভাবে নিজের কবিতাটা লিখে চলেছেন, তিনি সাম্য রাইয়ান। তাঁর কাব্যপৃথিবী কতটা গভীর ও শক্তিশালী, সেটি সম্প্রতি তাঁর কবিতার বই, ‘চোখের ভেতরে হামিংবার্ড’ (২০২০) না পড়লে হয়তো জানাই হত না। সত্যি বলতে কি, আমি মুগ্ধ হয়েছি। এই কবি এ সময়ের কবিতায় অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য কাজ করে চলেছেন। আমি দৃপ্তভঙ্গিতে বলব, তাঁর কবিতা কোনো বিশেষ স্কুলিং বা গোষ্ঠীর ছাপ বহন করে না। কবিতার ভাষা ও ভাবনা, বিষয় ও প্রকরণে তিনি স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত। উপস্থিত গ্রন্থটিতে তার নিদর্শন সুপ্রচুর। এটি তাঁর প্রথম গ্রন্থ, যা প্রকাশিত হয়েছে ‘ঘাসফুল’ প্রকাশনী থেকে। ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির মোট ৪৮টি কবিতা নিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার বই।
শব্দ ও শব্দার্থের খেলায় দক্ষ এই কবি বইটির উৎসর্গ ফ্ল্যাপ ও উৎসর্গ পাতা থেকেই নিজের পারঙ্গমতার পরিচয় দিতে শুরু করেছেন৷ কদাপি অটোমেটিক রাইটিং নয়, অথচ যেন কবিতাই কবিকে চালিত করছে, লিখিয়ে নিচ্ছে নিজেকে। যেমনটা তিনি ‘উড়ন্ত কফিন’ কবিতার প্রথম ছত্রেই বলেছেন, “আমাকে লিখেছে কেউ, তার পরে বাজারে ছেড়েছে৷” নিজের জীবনকে খোরাক করেই যেন লিখে যাচ্ছেন এই কবি। উল্লেখ্য, বইটির উৎসর্গ পাতায় তিনি লিখেছেন, “সোনামুখী সুঁই থেকে তুমি / চুইয়ে পড় সুতো হয়ে / নিচেই বিদ্ধ আমি / সেলাই হই তোমার সুতোয়৷”
খুবই লিরিক্যাল ফর্মে লেখা এই উৎসর্গ পড়লেই যে শীতল পরশ হৃদয় আলোড়িত করে, তা বলাই বাহুল্য৷ বইটির ভেতরে এরকম অনেক লিরিক্যাল কবিতা আছে৷ কিন্তু যেমনটা ৮০ দশক বা তার পরবর্তী সময়ে সাধারণত দেখা যায় যে, গভীর উপলব্ধিহীন লিরিকের ছড়াছড়ি চারদিকে, দ্বিতীয় দশকের কবি সাম্য রাইয়ানের কবিতা তার একদমই ব্যতিক্রম৷ তিনি এতটাই গভীর অনুভূতির কথা লিখেছেন সহজিয়া ভঙ্গিমায় যা অনেকক্ষেত্রেই প্রচলিত ব্যঞ্জনা ছাপিয়ে নতুনতর এক নৈকট্যের সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম। এরকম শব্দের খেলা, শব্দার্থ নিয়ে খেলা আমরা গ্রন্থভুক্ত কবিতাসমূহের মধ্যে প্রায়শই লক্ষ করি, যা সাম্য রাইয়ানের কাব্যভাষার একটি লক্ষণীয় চরিত্র। অনেক নতুন শব্দও চোখে পড়ে, যা কবিসৃষ্ট বলেই অনুমান করি৷ যেমন: ‘মহুপাড়া’, ‘প্রকৃতিপুরুষ’ ইত্যাদি৷
একথা সকলে জানি যে, পাথর শিল্প নয়, কিন্তু পাথরের মধ্যে শিল্প লুকিয়ে থাকে। একজন ভাস্কর পাথরের অপ্রয়োজনীয় অংশকে কেটে ফেলে দিয়ে সেই শিল্পকে বের করে আনেন, তখন তা ভাস্কর্য বা প্রতিমারূপে প্রকট হয়। একজন কবির লেখকের কাজও একই৷ তাকে জানতে হয় কবিতার শরীরে শব্দ স্থাপনের অনন্য গোপন কৌশল৷ শুধু তাই নয়, তাকে আরো বেশি জানতে হয়, অপ্রয়োজনীয় শব্দ কীভাবে বাতিল করে কবিতাখানি এগিয়ে নিতে হবে৷ এক্ষেত্রে সাম্য রাইয়ানের পারঙ্গমতা নজর কাড়ার মতো৷ তিনি মাত্র দুই পংক্তির ‘শিকার’ নামীয় কবিতায় যত বিস্তৃত বিষয় বলে দেন, তাতে অধিক কথার কোন দরকারই পড়ে না৷
প্রার্থনায় শিকার করো প্রিয়তম হরিণীকেতার ভেতরে বইছে অনন্ত ঝরণাধারা!
এই দুই পংক্তি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়৷ এ নিয়ে বিস্তর ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যা মাত্র দুই পংক্তির জাদুতে কবি উপস্থাপন করেছেন৷
এই বইটি মূলত মানবের মধ্যেকার বহুবিধ সম্পর্কের বয়ান রচনার একটি কাব্যিক প্রয়াস; এর ভাষাভঙ্গি, স্বর ও শৈলী সম্পূর্ণ নতুন। প্রায় প্রতিটি কবিতায় নিজস্ব মগ্নতার ছাপ স্পষ্ট। চেতনা ও মগ্নচৈতন্যের খেলায় তাঁর কবিতায় ধরা পড়ে কখনো অন্ধকার, কখনো উচ্ছল আলোকধারা। এই বই পাঠকালীন সময়ে কবি সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ থেকে ইন্টারনেটে সার্চ করে তাঁর অনেক কবিতা ও মুক্তগদ্য পাঠের সুযোগ হলো৷ এবং এরই মধ্যে আমাদের আলোচ্য বইটি নিয়ে কবির একটি বক্তব্য আমার নজরে এল, যা আমার পাঠানুভূতিকেই সমর্থন করছে বলে অনুচ্ছেদটি উল্লেখ করছি৷ বইটি প্রসঙ্গে কবি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
কবিকে আমার কেবলই মনে হয়-জীবনব্যাপী সম্পর্কশাস্ত্র বিষয়ে গবেষণা করে চলা ব্যক্তি। সে নানান সম্পর্ক-প্রাণের সাথের প্রাণের, প্রাণের সাথে প্রাণহীনের, ক্ষুদ্রপ্রাণের সাথে মহাপ্রাণের-সকল সম্পর্ক। এই প্রকারের সম্পর্ক স্থাপন-রক্ষা-চ্ছেদ-বিকাশ বিষয়েই মনে হয় জীবনের সকল গবেষণা। সেই সম্পর্কশাস্ত্রেরই এক রূপ ‘চোখের ভেতরে হামিংবার্ড’।
এই বক্তব্যের সমর্থনে কয়েকটি কবিতাংশ উদ্ধৃত করছি:
১৷ বানান ভুল হলে কাছের মানুষও কাচের হয়ে যায়৷ (জীবনপুরাণ)
২৷ শীতকাল ব্যর্থ হোক তোমার গ্রীষ্মের কাছে৷ (উষ্ণতায়, উত্তাপে)
৩৷ বিশ্বাস রাখার মতো কোনো মেশিন এখনো তৈরি হয়নি৷ (তোমাকে, পুনর্বার)
৪৷ এতো নীল ছড়িয়ে দিলাম প্রেমে, ভালোবেসে৷ (ভাষাহীন)
৫৷ দূর থেকে দূরে হারালো যে প্রাণময়,/ আমি তাকে… তার সমূহ হৃদয়ে ভ্রমণ করেছি৷ (একে একে একা হলাম)
শুধু তা-ই নয় কবিতার অন্তঃশরীরে ইতিহাস, ভূগোল, রাজনীতি, সমাজ, ধর্ম, সংস্কৃতি, পুরাণ ইত্যাদির বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার সাম্য-বর্ণিত এইসব মানব-সম্পর্কের ব্যাকরণে নতুন ও নির্ভীক একটি মাত্রাও যোগ করে। যেমন ‘জীবনপুরাণ’ কবিতায় কবি লিখেছেন—
জীবন বন্দী ক’রে মৌল আঙিনায়বোকাচন্দ্র ধর্মরথে চেপে অমরত্ব চায়৷জেনেও জানে না কেন দূরন্ত লাটিমধর্মের সীমানা আছে, মানুষ অসীম৷
খুবই আন্তর্জাতিক সুর আছে সাম্যের কবিতায়। তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত স্বর এতটাই আন্তরিক-মৌলিক যে, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অনেক নামজাদা কবিকে লজ্জা দিতে পারে। দার্শনিক প্রত্যয় আছে তাঁর কবিতায়৷ একজন কবিকে অবশ্যই দার্শনিক হতে হয়৷ সাম্যর কবিতায় দার্শনিক ডিসকোর্সের গভীর কথাও অত্যন্ত সহজ-সাবলীল হয়ে উঠে আসে৷ যেমন—
১৷ অনেক কলা ঝরায়ে শেষতক বুঝেছিআনন্দের কোনো মাথামুণ্ডু নাই৷ (বোধিদ্রুম)
২৷ মনের ভেতরে আছে প্রকৃত শরীর, যাকে কখনোই জানা হয় নাই৷ (প্রকৃত শরীর)
৩৷ বিক্রেতার কাছে সকলই সমান, সমমুদ্রার৷ (তুমি ডাকলে না, এলেও না)
৪৷ ঘুমন্ত মার্বেল, যা ক্রমশ গড়িয়ে যাচ্ছে৷
৫৷ এ জীবন, জড়িয়ে বেঁচে থাকা ছাড়া অবশিষ্ট কিছু নয়৷ (লতা)
৬৷ অদৃশ্য যুদ্ধক্ষেত্রে যাপিত আমাদের প্রতিটি জীবন৷ (জীবনপুরাণ)
তাঁর কিছু পংক্তি, কবিতা এমনই শক্তিশালী যে পাঠকের মস্তিষ্কে নিরন্তর অনুরণন সৃষ্টি করে এবং পাঠকের কল্পনার দ্বার উন্মোচন করে দেয়৷ পাঠক নিজ কল্পনার ডানা মেলে উড়তে পারেন, যখন ‘কবর দেখতে দেখতে’ কবিতায় কবি লিখেন, “চিবুক থেকে উড়ে যাচ্ছে কয়েকটি যুদ্ধবিমান” তখন পাঠককে ভাবতেই হয়, কবির কল্পনার সাগরে ভাসতেই হয়৷ এ ভাসান মহানন্দের৷
পাঠকের চেনা জগত, চেনা কবিতা, চিন্তার জগৎকে উসকে দিতে সক্ষম তাঁর কলম। তাঁর বিষন্নতা, তাঁর নির্জনতা, তাঁর প্রেম এই সময়ের বাংলা কবিতার একটা মাইলফলক তৈরি করছে। তাই সাম্য রাইয়ানের কবিতা আরও ব্যাপকভাবে পঠিত ও আলোচিত হওয়া উচিত বলে মনে করি।
-•-•-•-•-•-•-•-•-•-•-•-•-•-•-•-•-
বই: চোখের ভেতরে হামিংবার্ড
কবি: সাম্য রাইয়ান
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২০
প্রচ্ছদ: শামীম আরেফিন
দাম: ১৬০ টাকা
প্রকাশক: ঘাসফুল, ঢাকা
[প্রবন্ধটি ভারতীয় লিটলম্যাগ ‘তারারা’-এর সাম্য রাইয়ান বিশেষ সংখ্যা (জুন ২০২৩) থেকে মান্যবর সম্পাদক ড. আশুতোষ বিশ্বাসের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করা হলো৷ –সম্পাদক, শ্বেতপত্র]
47 মন্তব্যসমূহ
অসাধারণ প্রবন্ধটি গাম্বাট সম্পাদককে কেন দিলেন লেখক এটাই বুঝলাম না
উত্তরমুছুনএধরনের মহামূল্যবান প্রবন্ধ উন্নতমানের পত্রিকায় প্রকাশ করা উচিত
কবি সাম্য রাইয়ানকে ব্যবহার করে মোখলেছুর রহমান ও শ্বেতপত্র উপরে উঠতে চাচ্ছে ৷ দুঃখের বিষয় হল কবি এ ব্যাপারে নিরব
উত্তরমুছুনশ্বেতপত্র উপরে উঠলে আপনি কী নিচে যান, তাতে আপনার জ্বানানি পোড়ানি বাড়ে?
মুছুনএই মানের প্রবন্ধ গাম্বাট সম্পাদক জীবনে পড়েছে ? এর গুরুত্ব বুঝেছে ? সাম্যর ঘারে পাড়া দিয়ে আর কতদিন উপরে উঠবে তুমি মকলু ?
উত্তরমুছুনআপনি পড়েছেন তো?
মুছুনকেউ কার ঘাড়ে পাড়া দিয়ে ওঠে না। নিজের শ্রম ও সাধনায় ভর করে চলতে চলতে সামনে অগ্রসর হয়।
অসাধারন প্রবন্ধ প্রকাশ করেছ তুমি মোখলেসুর রহমান ৷ তোমার লেখার যে মান আমি দেখেছি তার সাথে এই প্রবন্ধ মিলাতে পারি না৷ প্রবাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রাবন্ধিক ৷ তার লেখা প্রকাশ করে তুমি তোমার মান অনেক উপরে তুলেছ ৷ সে তোমাকে প্রবন্ধটি প্রকাশের সুযোগ দিয়ে তোমাকে ধন্য করে দিয়েছে৷
উত্তরমুছুনকাজ করে চলেছি, এটাই আনন্দ।
মুছুনমন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা
ছোটভাই তুমি আবার জীবীত হয়েছ ? কে তোমাকে জীবীত করল ? সাম্য নাকি ?
উত্তরমুছুনযাইহোক তবু তুমি জীবীত হয়েছ দেখে ভাল লাগল ৷ প্রবন্ধটি পড়ে সাম্যর লেখা সম্পর্কে অনেক ভাল করে জানলাম ৷ কুড়িগ্রামে কারো মুল্যায়ন নাই ৷ কেউ লিখবে না ৷ সবাই তোমার মতো হিংসুটে ৷ তবু তোমাকে ধন্যবাদ ৷ এটি অনেককে টেগ করা উচিত ছিলো ৷ শুধু নিজের বেলা টেগ করে সবার চুতরি ফাই করে দােও তুমি অথচ সাম্যকে নিয়ে উন্নতমানের প্রবন্ধ কাউকে টেগ করোনি ? মনের ভিতর এত হিংসা তোমার ছোটভাই ? ভাল হও এখনো সময় আছে
আপনি সেই রকম বিশ্লেষক, আপনি পৃথিবীতে ওয়ান পিছ!
মুছুনতারারা সাম্য রাইয়ান সংখ্যাটি কিভাবে হাতে পাবো গাম্বাট সম্পাদক মকলু ?
উত্তরমুছুনতুই কি আমাকে কুরিয়ার করতে পারবি ? তোকে 50 টাকা বকশিস দিব
ঢাকায় উজান, বাতিঘর এদেরকে অর্ডার করলে এরাই এনে দিবে। তাদেরকে বকশিস দিয়েন।
মুছুনবোকচোদ সম্পাদক একটা গুরুত্বপুর্ণ লেখা প্রকাশ করেছে ৷ প্রবন্ধ পাঠ করে উন্নতমানের ফিল পেলাম ৷ ধন্যবাদ মকলু
উত্তরমুছুনমোঃ রাকিব হাসান আপনি গ্রেট হন!
মুছুনহায়রে মকু
উত্তরমুছুননেংটা মকু
এই কি তোর কাম
এতদিন পর
সাম্য রাইয়ানকে দিয়ে
বাড়ালি তোর নাম
সবাই তোকে বলে গাম্বাট
কিন্তু তুই টাউট
পএিকা ছিল বন্ধ তোর
ভেবেছিলাম তুই মার্কেট আউট
ওহ তাই, মজা পেলাম।
মুছুনওয়াও, নাইস, জোস, ওসাম, ফ্যান্টাস্টিক, ফাটাফাটি, চমৎকার, দুর্দান্ত, ওয়ানডার ফুল, বিউটিফুল, সাইফুল, শরিফুল, নাক ফুল, আশরা ফুল, গোলাপ ফুল, গাম্বাট ফুল, মকু ফুল, জবা ফুল, গাদা ফুল, শাপলা ফুল, রজনীগন্ধা ফুল, বেলীফুল, ঘূর্ণিঝড়, নারগীস, তুফান, আগুন, টর্নেডো, ভূমিকম্প, বৃষ্টি, ,বাতাস, বীজলি, ঠাডা ইত্যাদি. 🫡
উত্তরমুছুনওহ আপনি মকবুল ফুল
মুছুনড. প্রবাল চক্রবর্তী লিখেছেন, “সাম্য রাইয়ানের কবিতা আরও ব্যাপকভাবে পঠিত ও আলোচিত হওয়া উচিত বলে মনে করি।”
উত্তরমুছুনআমি তার সাথে শতভাগ একমত ৷ সত্যিইই কবি সাম্য রাইয়ানের কবিতা নিয়ে আলোচনা হওয়া গরকার ৷ তিনি আন্ডাররেটেড কবি
ধন্যবাদ
মুছুনসাম্য তো কেবল একজন কবি নয়! সে "সোনামুখি সুঁই থেকে চুঁইয়ে পড়া সুতোর নীচে বিদ্ধ সেলাই। " লাইনটি সাম্যর লেখা। এমন একটি লাইন লিখতে পারলে জীবনে আর কোনো কবিতা লেখার দরকার আছে নাকি? এর উত্তর পাঠক দেবেন। তবে খুব কাছ থেকে, অনেকটা সময় নিয়ে সাম্যকে যেভাবে পড়েছি, তাতে করে এটুকু বলতে পারি - নদীমাতৃক বাংলাদেশের জলসম্পদের মতোই এসময়ের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে সাম্য রাইহান একটি উজ্জ্বল হীরক খন্ড। আমি ওর দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন কামনা করি।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনসাম্য রাইয়ান ভুল জায়গায় জন্মগ্রহণ করেছেন ৷ কুড়িগ্রামে তিনি বিপুল পরিমানে প্রতিহিংসার শিকার ৷ কিন্তু কুড়িগ্রামের লেখকদের জন্য তার যে অবদান তা অনস্বীকার্য ৷
উত্তরমুছুনজায়হা কোনদিন ভুল হয়না ভাই৷ কবি ওখানে জন্ম নিয়ে যেভাবে ওই জেলাকে উপরে তুলে ধরছেন আন্তর্জাতিকভাবে তা কুড়িগ্রামে আর কোন শালা করেছে সৈয়দ শামসুল হক ছাড়া ?
মুছুনকিন্তু সাম্য ভাই কুড়িগ্রামের লেখকদের উপরে তোলার জন্য একাই যে সময় নষ্ট করেছেন এখনো করছেন তা নিজের ক্ষতি করছেন৷ তা না করে যদি আরো বেশি নিজের প্রতি সময় দেন তাতে বাংলা সাহিত্যের লাভ
মুছুনসহমত ভাই৷ আমিও জানি৷ আর এসব করে ওনার কোন লাভ নাই৷ কারন কুড়িগ্রামের লেখকরা সব বেইমান হিংসাত্বক ৷ পর হিংসাসআপন ক্ষয়৷
মুছুনমকলু তুমি সারাজীবন এই পরিচয় দিয়েই বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে যাবে যে তুমি সাম্যর বন্ধু ৷ তোমার মত গাম্বাটকে সে বন্ধু হিসাবে আশ্রয় দিয়েছে ৷ তোমাকে কবি বানিয়েছে সাম্য
উত্তরমুছুনসাম্য রাইয়ান গুরুত্ব আমার লেখক জীবনে একটা বিশাল জায়গা জুড়ে আছে। এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। তবে আমরা একসাথে কাজ করে চলেছি, সামনেও করবো। তাতে কিছু পরশ্রীকাতর মানুষ যতই ভোকে ভুকুক তাতে আমার বালও ছিড়তে পারবে না।
মুছুনমকু তুমি একটা কাজের কাজ করেছ ৷ কুড়িগ্রামের কেউ সাম্যকে নিয়ে না লিখলেও সাম্যর কবিতা নিয়ে গবেষনা থেমে নেই ৷ কলকাতা, আমেরিকায় ঠিকই গবেষনা চলছে ৷ আর যারা গবেষনা করছে কুড়িগ্রামের লেখকরা তাদের পায়ের নখের যোগ্য না ৷ গ্রেট সাম্য রাইয়ান গ্রেট জব
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনগাম্বাট সম্পাদক মকু তুই লেখা প্রকাশ করি পলাচিস ক্যা রে
উত্তরমুছুনকোন ফাকোত ঢুকচিস যেয়া
কারো উত্তর দিবার পাইস না
তুই এত গাম্বাট ক্যা রে
পালাইনি রে,
মুছুনতুই দুচারটা উত্তর দে না হয়!
সম্পাদক পলাতোক
উত্তরমুছুনজুতার মালা মকুর হোক
জুতার মালাটা তোরে হোক
মুছুনকুড়িগ্রামের একজন উচ্চজ্ঞানীর কাছে শুনেছি যে, কুড়িগ্রামে কোন কবি সাহিত্যিক নেই, সব ভণ্ড। নতজানু হয়ে দুদক টুদক ও প্রশাসন এবং দৈনিক পত্রিকার বিভিন্ন কমিটিতে থাকাই এদের জীবনের লক্ষ্য। সেখানে সাম্য রাইয়ান কবি হিসেবে বের হয়ে আসবেন, সে কথা বিশ্বাস করি না। খোঁজ করলে দেখা যাবে, তিনিও কোন না কোন কমিটির পক্ষ থেকে টাকার ভাগ নেন ও খান।
উত্তরমুছুনমসিউর ভাই ঠিক বলেছেন
মুছুনসাম্য ভাই কুদ্দুস চা সমিতির উপদেষ্টা
সবাইকে একভাবে মূল্যায়ন করিয়েন না, সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করেন।
মুছুনকুড়িগ্রামের এক উচ্চজ্ঞানী বলেছেন, কুড়িগ্রামে কোন সাহিত্যিক নেই৷ তার কথা মিছা হতে পারেনা৷ তার ৪১ বছরের অভিঞ্জতা বিথা হতে পারেনা৷
মুছুনবাংলাদেশের এক উচ্চজ্ঞানী বলেছেন, গাধা দুইশত বৎসর বাঁচলেও সিংহ হয় না
মুছুনসুমন গুপ্ত দাদা, আপনি ঠিকঐ বলিছেন৷ কুড়িগ্রামের যত কবি সাহিত্যিক সবাই গাধা৷ এরা দুইশ না চারশ বছর বাচলেও সাহিত্যিক হতে পারবেনা৷ সেই মাল এদের মাতায় নাই৷
মুছুনমকু ভাইজান লেখা প্রকাশ করি পু*কী চিপি ধরি পলাইচে উত্তর আর দেয় না 😂
উত্তরমুছুনউত্তর দিছি উপরে দেখ রে
মুছুনঅচোদা সম্পাদককে লেখা দিয়েছ প্রবাল বন্ধু , এ ছেলে ত লেখা প্রকাশ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কারো কমেন্টের উত্তর দেয়ার সামর্থ তার নাই
উত্তরমুছুনলেখা ভাল লেগেছে , খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছ
উপরে উত্তর দিয়েছি দেখেন,
মুছুনমন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
কুড়িগ্রামের যত বোকচোদ কবি সাহিত্যিক সবার চুতরী ফাইট করে দিছে সাম্য ভাই
উত্তরমুছুনসবাই এবার আঙুল চোষ
কলা খাও
চমৎকার উত্তম বিশ্লেষন
উত্তরমুছুনখুব ভাল লেগেছে প্রবন্ধ
যেমন সাম্যর কবিতা , তেমনই বিশ্লেষণ
কুড়িগ্রামের বর্তমান সাহিত্যের একমাত্র রত্ন
অশেষ ধন্যবাদ আপা আমাদের সাথেই থাকুন।
মুছুনলাল ফুল নীল ফুল
উত্তরমুছুনসাম্যভাই বিউটিফুল
অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷