New

শ্বেতপত্র

কুড়িগ্রামঃ আলোকায়ন, অপরায়নের গল্পগুলো/ হোসেন মোতাহার






বাড়ীর মধ্যে  আছে কন্যা কামটঙ্গীর বাসা।

রাইতের নিশি তথায় বসি খেলাইবাম পাশা ।।

চন্দ্রাবতী

মধ্যযুগের প্রথম বাঙালি নারী কবি


জানি না কেন , কুড়িগ্রামে বেড়াতে যাবার এক গোপণ দুর্ণিবার ইচ্ছা আমার মনে বহুদিন থেকেই জাগরূক। দুধকুমার,বহ্মপুত্র, জিঞ্জিরাম, বোয়াইল, ধরলা, তিস্তা, ফুলকুমার, কালজানি নদীরূপ কুড়িগ্রাম। সম্ভবত: প্রথম কুড়িগ্রাম আমাকে ধ্বক মারে অমিয়ভূষণ মজুমদারের ‘মধুসাদু খা’ পড়তে যেয়ে। কালজানির বুকে দাঁড় বেয়ে ছুটে চলেছে মহাজনের নাও । এমনো হতে পারে যে মাসুদ খানের ‘ কোনদিন যাইনি কুড়িগ্রাম’ শিরোনামে লেখা কবিতাটিই এর অনুঘটক । আবার নাও হতে পারে। রাজারহাটে আমার ভায়রা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করছিলেন একসময় তখনো ডেকেছিলেন, সেটাও ১৯৯০ এর দিকে। পরে আমার বন্ধু সাইদুল হকের পিটিআই এ চাকুরি করা, কিংবা আরেকবন্ধু আহমেদ রাজুর দাদা-নানার বাড়ি কাউনিয়া বা অষ্টমীরচর হওয়ায় এবং তাদের দুজনেরই চাপাচাপিও চাপা আগুনে ঘি ঢেলে থাকবে। কিংবা ‘যাওয়া খায়, হাগা খায়, হাসফল দিয়া ভাত খানু’ মতন অকৃত্রিম ভাষার দ্যোতনা বা দেবী চৌধুরানী,ভবানীপাঠক, ফকির মজনু শাাহ,  ফকির-সন্যাসী বিদ্রোহ, আর ষোল নদী খ্যাত কুড়িগ্রামের রাজবংশী ভাষার টান  ভিতরে ভিতরে হাইপ তুলে থাকবেও হয়তো বা। আমার শহর থেকে পোনে দুশো কিলোমিটারের রাস্তা মোটে। টেকনাফে গেছি। তেঁতুলিয়াতে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই পাশের আরশীনগরে যাওয়া হচ্ছিল না।

এমনো না যে, আমার বেড়াতে ভাল লাগে। বরং অবসরে ঘরেই বসে থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। কখনো মনে হয় না যে, অজানা কোন জায়গায় বেড়িয়ে আসি। ঘরকুনো মানুষ আমি। তবুও মনে হতেই থাকে ‘ কোনদিন যাইনি কুড়িগ্রাম!’ বছরখানেক ধরে বার্ধক্য জানান দিচ্ছে পুরোমাত্রায়। আশা ছেড়েই দিয়েছি আর যাওয়া হয়ে উঠবে না কুড়িগ্রাম।

ঠিক এমতন ব্রহ্মমুহূর্তে সরকারি কাজে দরকারি সফরের সুযোগ এসে গেল। কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওরিড ছিল যে আমি রাজি হবো কী না ! 

কার্তিকের উনিশ তারিখে সন্ধ্যা হয় হয় টাইমে মোটরবাইকে ঢুকলাম কুড়িগ্রামে। আহা, শান্তি তিস্তাব্রীজ পেরিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা কুড়িগ্রাম! দেখিয়া নয়ন ভরি যায়। ‘ যেমত সূর্য দেখিয়া মানুষ অমর হয়, এমন দেখিবা দিহ আরু ।’  সূর্য দেবে যাচ্ছে তিস্তা রেলব্রীজের পারে। লালের ডালিম ফেটে তরল দ্রবণ ছড়িয়েছে পশ্চিমতীর ঘেঁষে। আহা! গোপণপ্রেম প্রকটিত হলেন যেন।


বেনেডিক্ট এনডারসনের ‘ ইমাজিনড কম্যুনিটিজ ’ পড়ছিলাম ক’দিন আগ থেকে। ‘জাতীয়তাবাদ’ এমন একটা কল্পিত প্রপঞ্চ যেখানে একজন মানুষ ভূখ-ের অপরপ্রান্তের মানুষের দেখা-সাক্ষাৎ না পেয়েও স্বজাতি মনে করে এমনকি ভূখন্ডের জন্য প্রাণপণ যুদ্ধেও জড়িয়ে যায়, লহমায়। এমনটাই বলছিলেন এনডারসন তাঁর লেখায়। কিন্তু কেন যে, নদী-পাহাড়-জল-জংলাকেও কোনদিন না দেখেও ভীষণ ভাল আর আপন মনে হতে থাকে, জানি না। তিস্তার তীরে জোরে একটা শ্বাস নিই। ‘হাওয়ার হলকুম থেকে উঠে আসা এই অন্ধকার তুমি বাইরে এন না, রুগ্ণ ব্যথিত কুসুম ’ , শ্বাস ছাড়তে গিয়ে মনে হলো।


আটদিনের মুসাফির আমি কুড়িগ্রামে। দ্বিতীয় দিনে সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে দিক নিয়ে বেদিক হয়ে যাই। বিশাল গাছ, ততোধিক বিশালতর বিস্তারিত ছায়ায় মোড়ানো রাস্তায় পা দিয়ে ধন্দে পড়ি। কেবলা হারিয়ে ফেলি। শেষদিনেও কেবলা হারানোই থাকলো। কম্পাস বের করে নমাজ পড়ি। আশ্চর্য্য! মফস্বলের শহরটা কী মনোরম, আর বেশ বড়। রাস্তা প্রশস্ত, অটোরিকশার জট নেই, ঘরবাড়ি সাজানো, দোকানপাট বেশ গুছানো। মনে হতে পারে নতুন করে কোন মহারাজ শহরটি নির্মাণ করেছেন। ঘোষপাড়া, কালিবাড়ি,কলেজমোড়. বিডিআর ক্যাম্প, ডিসি অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ সব যেন সাজানো।


কুড়িগ্রামে যাবার আগে হোয়াটসআপে কবি সাম্য রাইয়ানকে নক করেছিলাম। যদি দেখা হয় ওর সাথে ভাষার রাজনীতি নিয়ে তুখোড় আড্ডা দেব। হাজার বছরের বাঙলাভাষা , কী এক আলোকায়নের জেরে গত ছয়শত বছরের টোন-টিউন খুইয়ে ক্রিয়াপদের সংকুচিত রূপে প্রমিতে এসে ঠেকলো! এইসব, কুড়িগ্রামের রাজবংশী ভাষার বিস্তার ভূ-ভারতের বিশাল জায়গা জুড়েই ছিল, আছে। সাম্য তাঁর একটা প্রবন্ধে বলছিলেন ‘মহাপ্রাণ ধ্বনি এখানে সংকুচিত হয়ে , সহজীকরণের পথে হাঁটলো’, হাঁটুক। ১৬ নদী বিস্তারি কুড়িগ্রাম, নূরলদিনের কুড়িগ্রাম, মজনু শাহের কুড়িগ্রাম কেন তাঁর আজন্ম লালিত ভাষা হারিয়ে এমন চেরাগায়নের শিকার হলো ! এইসব নিয়ে আলোচনা করবো। ভাষার রাজনীতির বোঝাপড়াটা কেমন জানতে চাইবো, খুব করে। আর ওদের হালের লেখারও খোঁজ নেব। অনলাইন পত্রিকা ‘বিন্দু’ নিয়ে কথা বলব। সৈয়দ শামসুল হকের, নূরলদীনের সারাজীবন, জলেশ্বরীতলার ছোটগল্পগুলোতে দারুণভাবে কুড়িগ্রামের ভাষা ধ্বক আর ঝোঁক নিয়ে শৈল্পিক দ্যোতনায় দাপুটে এক অবস্থানে আছে, সবসময়ই মনে করি। 


পূর্ববাঙলার ভাষার প্রাণপ্রকৃতি, অন্তজ:শ্রেণির লোকাচারে, দৈনন্দিন ব্যবহারে বিপুলাপৃথিবীতে দারুণভাবে বর্ণময়। কেন এই ‘সুরের দার্ঢ্যতা ছেড়ে অসুরের গাঁজন। আল্লায় জানে! 


বাঙলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনগুলোর শেষে এসে সোস্যাল মিডিয়াতে ভাষা কেমনটি বদলে যাচ্ছে, মানি আর নাই মানি, ‘নাটক কম কর পিও’ স্মরণে রেখে বলতে পারি ভাষার পেরিফেরিতেও প্রচুর চাপানউতোর চলছে, খোলনলচে বদলে যাবে এমনটি না হলেও প্রচ- বিক্রমে ভাষা যেন তাঁর হৃতগৌরবকেই স্মারক করে তুলছে। ভাষার বাঁকবদল ক্রমেই স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। রাজা রামমোহন ইশকুলের ছাত্রদের দুশো বছরের চর্চিতভাষা কোথায় যেন হোঁচট খাচ্ছে। রামরামের প্রণীত গদ্য কেন এমতন সর্বপ্লাবি হয়ে বাঙলাকে মেরুনড করে দিল।


এইসব নিয়ে সাম্যের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইবো। দীর্ঘদিনের চর্চ্চিত ভাষার জাড্যতা কতখানি ঘায়েল করে রেখেছে, কেনই বা অথবা আদৌ কোন আঁচড় দিতে পারলো কী না, এইসব। কেন ‘বিন্দু’ এই উথালপাতালে সাড়া দিতে চায় না , জানতে চাইবো। জানতে চাইবো লোকায়তবাঙলার সুরললিত-মাধুর্য্যময় মোহনভাষাই কেন পর হয়ে গেল। কী করে ভাষার রাজনীতি হামার ভাষাক খায়ে দিল , দেখবো খুলে খুলে এর কূটকৌশল।



শাপলার মোড়ে, ঘোষপাড়ায় যেতে বললাম রিকশাচালককে। কিছুপরে একটা অটোতে এলেন আমার প্রিয়জন কবি সাম্য রাইয়ান। তাঁর ছবি আগেই দেখেছি। চিনে নিতে একটুও কষ্ট হয়নি। বরফকাটাশার্টে হালকাগড়নের, ফরসা চেহারায় একমুখ ঝোলানো দাড়িগোঁফে ওকে দারুণ লাগছিল। চায়ের পরেই ঝাঁপি নামানো দোকানের বারান্দার হাফওয়ালে বসলাম দুজন। কতদিনের অপেক্ষা ! আজ চর্মচক্ষে মানুষটির নাগাল পেলাম। প্রায় মুখোমুখি বসি। আর ওর মুখ দেখি। কী যে ভাল লাগে। ফোন দেয় কাউকে। 

‘ কেমন আছেন ?’

উত্তর দিতে ভুলে যাই, তাকিয়ে তারিয়ে তারিয়ে দেখি ওরে।

‘বললাম, কেমন আছেন?’

‘ উম , ভালো, বেশ ভালো, আপনি?’

জড়তা দুদিক থেকেই । রঙ চা এল। সাথে  অনলাইন পত্রিকা ‘শ্বেতপত্র’ এর কবি ও সম্পাদক মোকলেছুর রহমান এলেন। ইনি খানেক স্বাস্থ্যবান, ঝাঁ চকচকে টাক  আর দাড়িকামানো ফরসামুখের। আরো পরে এলেন ছোটবাবরিচুলের ফিরোজ। হালকাগড়ন, হাওয়ায় উড়ে যেতে পারেন এমন। ফিরোজই তো! নাকি অন্য কেউ, নাম ভুলে গেলাম নাকি। উনি অবশ্য আড্ডায় নিরবতা ধরে রাখলেন এই কয়দিন। সবাই মুখোর তো হন না আড্ডায়, কেউ আছেন, নিরবতার অস্ত্র শানান।

এবার যেন জমে উঠতে নিল আড্ডা। কুড়িগ্রামের লেখা নিয়েই শ্বেতপত্র। মোকলেছ এর পত্রিকাতে ছাপা ওর কবিতা পড়া হলো। আর ১৭৩ টি কমেন্ট পড়লাম দারুন সোল্লাসে। সবই পড়লেন অবশ্য সাম্য নিজেই। অনলাইন পত্রিকায় এত এত পাঠকের এমতন সোৎসাহে কমেন্ট দেখে ভীষণরকম আশান্বিত হলাম। ভাবতাম আজকাল কেউ লেখা পড়েন না। পড়লেও বলেন না কিছুই। কিন্তু এই পত্রিকার এনগেজিং দেখে রীতিমত বিস্মিত আমি।


জমে ওঠে প্রতিরাতেই তুখোড় আড্ডা। লোক বদলায় দু’একজন। রাজ্য এসেছিলেন একরাতে। সাম্য তাঁকে এমপি সাহেব বলে সম্বোধন করলেন। পরে অবশ্য নিজেই ব্যাপারটা খোলাশা করলেন। রাজ্যও লম্বা, হালকাগড়ন। ছাত্র রাজনীতি করেন। কীরে ভাই. কুড়িগ্রামে আমার মত মোটাতাজা লোকই তো দেখিনা। আমার শহরে তো আমার চেয়ে মোটাতাজায় ভর্তি লোকজন।

একরাতে সঙ্গী হলেন খেলার মানুষ কামাল ভাই।  উনি আবার, ঠাকুরগাঁয়ের অনেককেই চেনেন দেখছি। বাহ!


৭ টা রাতকেই আমার তরল থেকে গভীর করে ফেলতে পারলাম। শেষদিকে হালকা শীত নাবে কুড়িগ্রামে, এই কার্তিকে।

দিনে ধরলার পারে যেয়ে একদিন সারাদিন বসে থাকলাম। দৈখাওয়ার চর থেকে নৌকায় ভরে কাশ এনেছে। ট্রাকে উঠছে । যাবে , রাজশাহী। পানের বরজে।

কী বিশাল ধরলার শরীর। আর জল তার ঠা-া, আরাম। 

একদিন দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রের বুকে পাড়ি দিয়ে এঞ্জিন নৌকায় গেলাম দৈখাওয়ার চর। দেড় ঘণ্টার পথ। কী আনন্দ! পথে অনেক চর। কোথাও নৌকা আটকে যায় বালিতে। নেমে ঠেলি। চরের বেশিরভাগ মানুষই টাঙ্গাইলের। বাপদাদার কাল থেকেই আছেন। বৃদ্ধ একজন জানালেন বাড়ি ১১ টান দিয়েছেন। মানে এগারোবার নদীভাঙনের কবলে পড়তে হয়েছিল।

সংগ্রামী মানুষ। ছোট শিশুদের ছোট্ট স্কুল থেকে ফিরতে দেখলাম। সবাই বড় হয়ে চাকরী করবেন। ডাক্তার এঞ্জিনিয়ার দেখেন নাই বুঝি। বাদাম আর ধানের চাষ হয় চরে। গরুপালন করেন গৃহস্থ। একজন বললেন, মাছই বেশি খাই। ধরি  আর খাই। খুব কাছেই , দেখা যায় ইনডিয়ান বর্ডার। এখানেও অপরায়িত মানুষের খড়ের ঠ্যাঙ বেরিয়ে আছে। 



ধন্ধে ফেলা কুড়িগ্রাম এতই মুগ্ধ আর ঘিরে রেখেছিল আমাকে যে, সাম্যের সাথে আমার ভাষার রাজনীতি আলাপটা উঠলোই না। মূলতবি হয়ে গেল।


হয়তো কোনদিন আবার যাব কুড়িগ্রাম। তখন সাম্যকে ধরাশায়ী করে দেব প্রশ্নবাণে। কেন দুশো বছরের গোলামীর জিঞ্জির খুলে ফেলতে এত দ্বিধা, কেন মায়ের ভাষাকে আঞ্চলিক তকমা দেয়া, কেন ‘ইমাজিনড এ্যান্ড স্কুলড’ ভাষা ও সংস্কৃতি  আমাকে শাষন করে.উপেক্ষা করে নদী থেকে উঠে আসা দুধকুমারের জবান। কেনই বা আমাকে অপর করে রাখে আমার ভাষার কাছে। এইসব ভাষার রাজনীতি।



অগ্রহায়ন, ১৪৩২






হোসেন মোতাহার একজন কথাশিল্পী। ঠাকুরগাঁও থেকে ত্রৈমাসিক ‘চালচিত্র’-এ তাঁর বেশ কিছু গল্প, একটি উপন্যাস এবং কয়েকটি অনুবাদ গল্প ছাপা হয়েছে।

প্রকাশিত উপন্যাস: নয়নিবুরুজ

সম্পাদিত পত্রিকা: পড়ঢ়িবধ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

  1. এটা আবার কোন মোতাহার? আমাদের খলিংগনজের সাইকেলের মেকার মোতাহার নাকি ? ঐ কবি হইছে জানা ছিল না,,,যাই হোক ভাল হইছে গল্পটা
    মকলুর চকচকে টাক তার খুব প্রিয় এটা আমাকে একদিন বলছিল সে ৷ এই গল্পেও সেটা দেখলাম ৷ সুন্দর হইছে

    উত্তরমুছুন
  2. কিসমত জাহান টুনিবুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

    গল্পটি সেরা হয়েছে কবিসাহেব
    ওগো সম্পাদক আজ তুমি ধন্ন্য
    তোমাকে নিয়ে একটা কবি গল্প লিখেছে
    তুমি সার্থক
    ওগো সম্পাদক
    ইচ্ছে করছে এখনই তোমারচকচকে টাকে kiss করি
    লেখককে শুভকামনা৷৷সম্পাদককে চুমু 😘😘

    উত্তরমুছুন
  3. লেখাটা একের হইসে ভাই
    ,,বক্কর

    উত্তরমুছুন
  4. বিখ্যাত কবি শামসুল এস চৌধুরীবুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

    আমার নাতি মোখলেছুর রহমান চৌধুরীকে নিয়ে তুমি যে গল্পগুলো লিখেছে আমি তাতে খুবেই গর্বিত হইছি ৷ আমি দোয়া করি তুমি আমার নাতিকো নিয়ে আরো এমন গল্প লিখবা যাতে আমার নাতিও আমার মতো বিখ্যাত কবি হতে পারে ৷ বল মোতাহার তুমি পারবে না? পারবে না ভাই ??? তোমার হাতে আমার নাতিকে তুলে দিয়ে তাহলে আমি নিশ্চিন্তে হুকপরির দেশে চলে ়েতে পৈরব

    উত্তরমুছুন

অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷