New

শ্বেতপত্র

দুটি কবিতা : জ্যোতি আহমদ


মৃত্তিকায় তৈরি সংবেদ


এতদিন অভিজ্ঞাত গাছের ছায়াতলে ছিলাম
নিরিবিলি চাতালে বসে ছিলাম নির্ভার,
কিন্তু লোকজন হঠাৎ হতবুদ্ধি ও নীরব হয়ে গেলো-
একেকটা প্রস্থান সংবেদনশীল উঠান খালি করে দেয়
ছত্রখান হয় পরিপাটি গার্হস্থ্য জীবন!

রোরুদ্যমান শোক, দিকশূন্যহীন শোক- এমনকি
চিলের হাহারবও কানে আসে সেই কতোদূর থেকে!
মনে হয় গগনবিদারী বজ্রপাত হয়েছে কোথাও
এখন যার রেশ অনায়াসে মাটিতে মিশে গেলো।

মানুষ কতো সহজেই শূন্যে অবতরণ করে-
এবং বিস্তারিত ধূমজাল নামে পৃথিবীর ওপর!

লোকের মধ্যে জ্যোৎস্নার তৎপরতা নড়ে ওঠে


আজ রাতে রংচটা চাদর বিছিয়েছে আকাশ
মনে হচ্ছে ভোরের লালিমা সন্তর্পণে ফেলবে পা
পুরনো ভয়গুলো শুনছে মেঘের ডাক
একচোখ খুলে বসে আছে রাতের পাহারাদার,
এভাবে একেকটা মুহূর্ত সচকিত হয়ে ওঠে
গাছের কোটরে ডানা ঝাপটায় পাখির বাচ্চারা
আপাতত এই রাত উদ্বেগ ও শ্রান্তির।

ভালো লাগার কিছু নেই!
জেগে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে
একসময় সবার স্পর্শকাতরতা কমে যায়
চোখগুলো শুকনো ও পাথরের মতো নিষ্প্রাণ হয়ে ওঠে,
তবু চিকিৎসাবিজ্ঞান আমাদের জন্যে
অবিরাম কিছু চেষ্টাচরিত্র করে চলেছে-
লোকের মধ্যে আবার জ্যোৎস্নার তৎপরতা নড়ে ওঠে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. ফরিদ সিরাজি, সৌদি আরববুধবার, ০৩ মে, ২০২৩

    আসেন ভাই, গলা জড়াজড়ি করে কাঁদি। সেইসব দিন ও রাতের কথা কি ভোলা যায়? শুধু স্মৃতি তুমি বেদানা।

    উত্তরমুছুন

অমার্জিত মন্তব্য কাম্য নয়