কিপ্টে বুড়ো পুকুর পাড়ে পেতেছে এক টং।
টং এর উপর বসে বুড়ো দেখায় কত ঢং।
রোজ সকালে বুনা সেতো ঐ পথেতে যায়।
হটাৎ করে কিপ্টে বুড়ো দেখতে তাকে পায়।
বুনা ছিলো জাতে মুচি মাথায় বেজায় বুদ্ধি।
কিপ্টে বুড়ো তাকে দেখে আটলো মনে ফন্দি।
ডাকছে বুড়ো দরাজ গলায় কে যায়রে- বুনা?
বুনা বলে আজ্ঞে বাবু, আপনার অতি চেনা।
কিপ্টে বুড়ো হাত উঁচিয়ে চশমা তুলে ডাকে।
একটু হেসে বললো শেষে তাইতো চেনা লাগে।
দেখা হলো ভালোই হলো কাজ আছেরে বেশ।
কাজের শেষে ফেরার পথে করিস উদ্দেশ।
বললো বুনা ঘাড় নারিয়ে আজ্ঞে বাবু আজ্ঞে।
কিপ্টে বুড়োর মুখ দেখেছি কি আছে যে ভাগ্যে।
সকাল থেকে দুপুড় গেলে সন্ধ্যা নামে শেষে।
চলল বুনা কিপ্টে বাড়ি কাজের হিসেব কষে।
আনলো বুড়ো ঘড় থেকে ঐ নষ্ট জুতোর ভাঁড়।
চাপিয়ে দিলো বুনার তরে সাড়তে হবে তার।
যেমনি বলা তেমনি সারা সারলো সবি বুনা।
কিপ্টে বুড়ো দেখছে সবি এবার মুল্য গোনা।
ভাবছে বসে কিপ্টে বুড়ো করবে এবার কি?
ঘড়ে আছে জাল টাকা এক তারে দিয়ে দি।
যেমনি বলা তেমনি কাজ ঢুকলো বুড়ো ঘড়ে।
জাল টাকাটি স্ব যতনে আনলো বাহির করে।
অন্ধকারে জাল টাকাটি দিলো বুনার হাতে।
বুনা দেখে বললো বাবু - এতো ভেজাল আছে।
কিপ্টে বুড়ো রেগে মেগে ছাড়লো যে হুংকার।
দে দেখি দে স্বাক্ষর দিয়ে করেছি অঙ্গীকার।
পরিশেষে কি আর করার বুনা চলে বাড়ি।
রাত্রি অনেক প্রহরী যে আটকে দিলো তারি।
তল্লাশিতে পকেট থেকে বেরিয়ে এলো টাকা।
বুনা সবি বললো তখন কিপ্টে বুড়োর আঁকা।
প্রহরী যে ছুটলো তখন কিপ্টে বুড়োর বাড়ি।
হাজত নিবাস কিপ্টে বুড়ো চললো তড়িঘড়ি।।
২৪-০৮-২৩ইং
3 মন্তব্যসমূহ
বা! কি সুন্দর ছড়া। মিষ্টি কবিতার স্বাদ পেলাম। অনেক ভালো লাগলো। এজন্য লেখককে ধন্যবাদ ও সম্পাদককে চুমু
উত্তরমুছুনশ্বেতপত্রের সাথেই থাকুন
মুছুনভাল বাসা টাকায়
উত্তরমুছুনপাইলস হইছে মাথায়
অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷