New

শ্বেতপত্র

এক ফড়িংয়ের ঝলক / শেখ মোহাম্মাদ নুবায়েদ ফেরদৌস


এ বেশ কয়েকদিন আগের ঘটনা। এটা ছিল শীতের সময়। আর মাত্র দুই দিন পরে তপনের জন্মদিন।জন্মদিনের আগে, তার বাবা তাকে ডাকল, ডেকে বলল, তোমার তো পরীক্ষার আর এক মাস বাকি আছে আর তোমার স্যার তোমার ব্যাপারে অনেক কমপ্লেইন দিচ্ছে, তুমি কেন ঠিকমতো পড়াশোনা করছো না! 
আমি বললাম বাবা…
বাবা বলল " বাবা টাবা কিচ্ছু না এক্ষুনি পড়তে বস"। 
তপন মন খারাপ করে পড়তে বসল। দুই দিন পেরিয়ে গেল। আজকে তপনের জন্মদিন। সকাল হতেই বাবা তাকে ডাকলো। ডেকে গালে প্রচণ্ড এক চড় বসালো।
বলল, " তোর মতো গাধা আমি জীবনে দেখিনি। তোর থেকে ভাল একটা গরু পালা, প্রতিদিন একটু দুধ তো দিতো। তোর স্যার আমাকে ফোন দিয়ে তোর ব্যাপারে বিচার দিয়েছে যে তুই পড়াশুনায় একদম অমনোযোগী।"
তপন  কান্না করতে করতে নিজের ঘরে চলে গেল। সে সিদ্ধান্ত নিল আর এ  বাড়িতে থাকবে না। সে দূরে কোথাও চলে যাবে।
তপন একটা চিঠি লিখল, " বাবা আমি আর এই  বাড়িতে থাকব না, আমি যেহেতু খারাপ তোমরা একটা গরুকে এনে পাল। আমি চলে যাচ্ছি - তপন।" 

তপন বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। ও  জানেনা ও কোথায় যাবে। দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেল। ও এক ডালিম গাছের নিচে বসে বসে কাঁদছে। হঠাৎ একটা লোক ওর সামনে এসে বলল, " বাবা নাও খাবার।"  তপন ভয় পেয়ে গেল। ও দেখে একটা ছোট মানুষ এসে ওকে খাবার দিচ্ছে। তপন  ওকে বলল, " আপনি কে? আপনি জানলেন কিভাবে আমি খাবার খাইনি?" 
লোকটি বলল, " তুমি এগুলো বাদ দাও। আগে শোনো, তোমার বাবা তোমাকে পাগলের মত খুঁজছে  এবং  তোমার মা অজ্ঞান হয়ে গেছে।" 
তপন বলল, "আপনি এসব কিভাবে জানেন? আগে আমার এই প্রশ্নের  উত্তর দিন"।
লোকটি বলল, "ঠিক আছে আমার নাম ইউ, আমি আসলে মানুষের মনের কথা বুঝতে পারি। তোমাকে এখানে একা বিষন্ন ভাবে বসে থাকতে দেখে আমি তোমার সাহায্য করতে এসেছি।" 
তপন বলল, " কিন্তু কিভাবে?"
ইউ বলল আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি এক আশ্চার্য ফড়িং এর দেখা পেয়েছিলাম ওটা সাধারণ কোন ফড়িং ছিলনা ওটা আমার কানের পাশে এসে বলল, "আমি তোমাকে মানুষের মনের কথা বোঝার শক্তি দিলাম"।  ও আমার কানে একটা ন্যানো চিপ লাগিয়ে দিল এবং সাথে সাথে আমার চোখের সামনে কিছুক্ষণের জন্য ঝাপসা হয়ে গেল। সে থেকে আমার এই অবস্থা।
শোনো তোমার বাবা আসছে, আমাকে যেতে হবে। আবার, দেখা হবে এবার তাহলে আসি। 

তপন দেখল একটা লোক হারিকেন নিয়ে এদিকে আসছে। তারপর সামনে তাকিয়ে দেখে ইউ নেই। 
বাবা এসে বলল আমার পাগলা ছেলেটা, একটু কি বকা দিলাম আর তুই এই কাণ্ড করে বসলি। চল বাড়ি যাবি, কি অন্ধকারে ঝোপঝাড়ে বসে আছিস। 
আমার বাবাটা সারাদিন না খেয়ে আছে । আমি হারিকেনের আলোয় লক্ষ করলাম বাবার দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

21 মন্তব্যসমূহ

  1. মাশাআল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , একটি মনোহর গল্প পড়লাম। সম্পাদক মহোদয়কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। লেখকের আরও এরকম গল্প পড়তে চাই। উল্লেখ্য যে লেখকের একটি স্বপ্ল পরিচিতি গল্পটির নিচে দিলে ভালো হতো। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য লেখকের সমীপে সমুদয় আবেদন করছি। আল্লাহ হাফেজ।

    উত্তরমুছুন
  2. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমতউল্লাহ বরাকাতু। বাংলাদেশের হিন্দুদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের গোপন কাহিনি উন্মোচন। পড়ুন https://www.newagebd.net/post/opinion/250274/playing-the-minority-card

    উত্তরমুছুন
  3. গোলশানে আমার চাচতো ভাইর গায়ে হলুদে নাচার জন্য দুইজন মেয়ে দরকার। সর্বনিম্ন অনাস, মাস্টাস। এর উপরে গেলে এমবিবিএস, বিসিএস। অনুষ্ঠানের তারিখ ২১/১১/২০২৪।

    হারুনুর রশিদ
    সুইজারল্যান্ড প্রবাসী

    উত্তরমুছুন
  4. পাস্তা পাকানোর নিয়ম। আমি ওসমান ভাইর থেকে শিখছি।

    পাস্তা হচ্ছে মেয়েদের পছন্দের খাবার। পাস্তার কথা শুনলে মেয়েরা পাগল হয়ে যায়। তবে এখন ছেলেরাও পছন্দ করে। আমি তো একটু মোটা। তাই ডাক্তারের কথামত অল্প অল্প করে খানা শুরু করছি। আর জানালার গিরিলের সাথে গামছা পেচিয়ে জিম করতেছি। গামছা টান দিয়ে ধরে একবার ফ্লোরে শুই আরেকবার উঠে দাঁড়াই। এজন্যই অল্প পাস্তা রান্না করে দেখাইলাম। এমন না যে সবাই খেয়ে আমার জন্য এইটুক রেখে গেছে।

    আজকে পাস্তা পাকানোর নিয়ম সম্পর্কে বলব।

    ১. গরম পানিতে নুন দিয়ে পাস্তা সিদ্ধ করবেন।
    ২. ফ্রাই প্যান পাতিলে তেল দিয়ে একটু হিট করে তারপর সিদ্ধ করা পাস্তা দিয়ে দিবেন। পিয়াইজ মরিচ দিবেন।
    ৩. প্রচুর পরিমাণে টমেটো সস দিবেন। তাহলে আর খাওয়ার সময় আলগা সস লাগবেনা।
    ৪. অরিগানো নামে একটা মশলা আছে। বাংলাদেশিরা যেমন গাজা খেয়ে নিশা করে, ওইরকম দেখতে। ওই মশলা ছিটিয়ে দিবেন। তাহলে ঘ্রান হবে।
    ৫. উপরে চিজ গুড়া করে ছিটকায়া দিবেন। তাহলে একটা আঠা আঠা ভাব আসবে। যদি চিজ না থাকে, তাইলে ময়দা দিয়ে পিছলা করে নিবেন। সাথে একটু বাটার দিলে কেউ ধরতেও পারবেন না কি দিছেন। ওসমান ভাই তার হোটেলে এটা করে।

    খেয়ে মজা পাইলে আমার জন্য দোয়া করবেন। দেশে আমার বউটা অসুস্থ। টাকাপয়সা সব তার পিছে খরচ হয়ে যায়। আর ভালো লাগেনা। মন চায় ছাড়াছাট্টি করে অন্য কোথাও গিয়ে বিয়ে বসি।

    কামরুজ্জামান কামরুজ্জামান
    সুইজারল্যান্ড প্রবাসী

    উত্তরমুছুন
  5. এইবার ইসকন প্রভুর গোয়া দিয়ে বাঁশ ঢুকিয়ে দেয়া হবে। সবাই প্রস্তুত থাকুন। ফেসবুক ওপেন রাখুন। আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনী ইসকন প্রভুর গোয়া ফাক করে দিবে।

    উত্তরমুছুন
  6. ইসকন পোভুর গোয়া লাল, দেখা গেছে লম্বা বাল।

    উত্তরমুছুন
  7. একটা কইরা ইসকন ধর, গোয়া দিয়া জবাই কর।

    উত্তরমুছুন
  8. কি হবে রে ইসকন কালিয়া? তুমহারা গোয়া দেখকর বাচ্চালোগ বাজাতি তালিয়া।

    উত্তরমুছুন
  9. একটা বিষয় শুদ্ধ করি।
    এখন আর কোনো হেদু নিরপরাধ মাসুম নয়।
    দেখেনই তো তারা এক ঘন্টার মধ্যে হাজার হাজার জড়ো হয়, তাও আবার সব যুবক।

    আরেকটি আইডিয়া দেই, হেদুরা স্বর্ণের ব্যবসা করে।
    চট্রগ্রামের ভায়েরা জানেন তো কোনটা হেদুর স্বর্ণের দোকান।
    ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইনশাআল্লাহ জয় বাংলা করতে পারেন।

    উত্তরমুছুন
  10. এখন যে সব মুসলমান বলবে-
    ‘শান্ত থাকুন’, `ধৈর্য্য ধরুন’, ‘ষড় যন্ত্রে পাদিবেন না’,
    এদেরকে ধরে ধরে জ বাই করে দিন,
    দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।

    সারা জীবন মুসলমানরাই শুধু শান্ত থাকলো, অসাম্প্রদায়িক থাকলো,
    দিন শেষে পশ্চাত মা রা তাদের প্রাপ্য।
    বিশ্বজুড়ে যারা অশান্ত আর অসাম্প্রদায়িক,
    তাদের কেউ কখন খারাপ বলেছে ?
    তাদেরকে কেউ মেরেছে ?
    মারে নি।
    কেন মারে নি ?

    কারণ সবাই জানে- তাদের ১টা মার লে ১০টা খেতে হয়।
    আর মুসলমানদের ক্ষেত্রে জানে, মুসলমানদের ১০টা মারলেও ক্ষতি নেই,
    তারা টু শব্দটা করবে না,
    বরং নিজেরা আরো পশ্চাত দেশ এগিয়ে দিয়ে বলবো- মা রো মুঝে মা-রো।

    যাই হোক- এত হিসেব করে লাভ নেই।
    ৪৬’র নোয়াখালী ক্লিয়ার হইছিলো,
    ২৪’ তে বাকি ৬৩ জেলা ক্লিয়ার করে দেন।
    ৪৭- এ দেশভাগের সময় পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) অংশটুকু শুধু মুসলমানদের হওয়ার কথা।
    সামান্য কিছু হেদু রাখতে গিয়ে এখন সেই সামান্য হেদুরাই ঘাড়ে চড়ে বসেছে।
    দেশভাগের প্রকৃত হিস্যা বুঝে নিন,
    দেখবেন, আর কোন সমস্যা থাকবে না।

    শ্লোগান এখন একটাই হোক-
    একটা একটা হেদু ধর,
    ধইরা ধইরা জ-বেহ কর।

    উত্তরমুছুন
  11. হুজুরদের ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’র বয়ান নিয়ে কথা…

    প্রীতি শব্দের অর্থ হচ্ছে- ভালোবাসা বা প্রণয়।
    এক ব্যক্তি যদি অন্য ব্যক্তিকে এক পাক্ষিক ভালোবাসে তবে সেটা হচ্ছে প্রীতি।
    কিন্তু সম্প্রীতি শব্দটি এসেছে সম-প্রীতি থেকে।
    মানে দুইজন ব্যক্তি যদি পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসে তবে তাকে সম্প্রীতি বলে।
    তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অর্থ হচ্ছে, দুই ধর্মের লোক যখন পরষ্পর পরষ্পরকে সমভাবে ভালোবাসে তখন তাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলে।
    আজকাল অনেকেই হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাক্যটি ব্যবহার করে।
    এমনকি অনেক মুসলিম হুজুর ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ বলতে পাগল।

    কিছুদিন আগেই আমরা দেখলাম, কিছু হুজুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলে হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিতে গেলো। কিছু হুজুর তো অতি উচ্ছ্বাসে চট্টগ্রামে পূজার মণ্ডপে গিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গান গাইলো।
    কিন্তু তাদের সম্প্রীতির আহবান হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গ্রহণই করলো না।
    উল্টো তাদের মামলায় ফাঁসিয়ে রিমাণ্ডে নেয়া হলো।

    আমি জানি না, যে সব হুজুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কথা বলে, তারা আদৌ তাদের ধর্মগ্রন্থ পড়ে কি না?
    আমি কিন্তু সব বই পড়ি।
    মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনের সূরা আল ইমরানের ১১৯ নম্বর অংশে আছে-
    “তোমরা (মুসলিমরা) তাদেরকে (অমুসলিমদের) ভালোবাসো, কিন্তু তারা তোমাদের ভালোবাসে না”
    ধর্মগ্রন্থ কোরআনের এ অংশ অনুসারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বা মুসলমান ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের পারষ্পারিক ভালোবাসা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।

    আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শব্দটা সেক্যুলার ধর্মের শব্দ।
    সেক্যুলার ধর্মের লোকরা এই শব্দ আবিষ্কার করছে,
    উদ্দেশ্য অন্য ধর্মের লোকদের বসিয়ে দিয়ে নিজেদের কার্য সিদ্ধি করা।
    কিন্তু আমি অবাক হই, যে সমস্ত হুজুর সেক্যুলারদের বিরুদ্ধে বয়ান দেয়,
    তারাই আবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রচার করে।
    আবার বলে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নাকি ঐতিহ্য !
    আশ্চর্য !!

    ঐতিহ্য হচ্ছে সেই জিনিস যা, আমাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে সজ্ঞায়িত করে।
    কিন্তু আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, তবে দেখবেন-
    হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কখনই মুসলমানদের সাথে প্রীতির বন্ধনে থাকতে চায়নি।
    বেশিদূর যেতে হবে হবে, খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে সেক্যুলারিজমের সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়, সেখানেই তাকান। ঢাবিতে আগে হিন্দু-মুসলিম ছাত্ররা হলে এক সাথে থাকতো। কিন্তু ১৯৪৩ সালে হিন্দু ছাত্ররা মুসলিম ছাত্র নাজির আহমেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলে ধর্ম ভিত্তিতে আবাসন পৃথক হয়ে যায়।

    আপনি যদি বাংলার ইতিহাসের দিকে তাকান, তবে একই দেখবেন।
    হিন্দুদের কারণে মুসলমানরা বহুদিন এখানে গরু জবাই করতে পারেনি।
    গরু জবাই না করতে পেরে কোরবানীর ঈদের নাম হয়ে যায় বকরী ঈদ বা ছাগলের ঈদ।
    কিন্তু মুসলমানরা হিন্দুদের পূজার কোন অনুসঙ্গে বাধা দিয়েছে, এমনটা হয়নি।
    কিন্তু তারপরও মুসলমানদের দেয়া হয়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তকমা।
    তবে যেই অপরাধ করুক, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
    এতদিন চট্টগ্রামসহ সারা দেশে হিন্দু উগ্রবাদীরা যে সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন চালিয়েছে,
    এখন তার প্রতিবাদ করার উপযুক্ত সময় হয়েছে। উপলক্ষ তৈরী হয়েছে।
    কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় এখন কিছু হুজুর হাজির হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বয়ান দিচ্ছে।
    ‘হাসিনা আপা আসছে’- এই ষড়তন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে হিন্দু উগ্রবাদীদের সেভ করছে।

    মানে মুসলমানরা সারা জীবন মার খাবে,
    কিন্তু প্রতিবাদ করতে গেলেই,
    কতিপয় হুজুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বয়ান দিয়ে মুসলমানদের নিউট্রাল করবে।
    ফলে মুসলমানরা কখনই তাদের উপর অবিচারের বিচার পাবে না।

    আমি হিন্দু জনগোষ্ঠীকে বলবো-
    প্রবাদ আছে- উপকার মানুষের জিহ্বা কেটে দেয়।
    তাই, হুজুরদের এনজিওতে বেশি করে ডোনেট করো।
    যতই অন্যায় করো, ঝামেলায় পড়লেই সেই হুজুররাই মুসলমানদের নিউট্রাল করে তোমাদের নিরাপদ রাখবে।

    উত্তরমুছুন
  12. ওরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে সাইফুল ভাইকে জ.."বাই করছে।

    যেই স্লোগান দিয়ে গাড়তে মসজিদ ভাঙ্গে,মুসলিম মারে, সেই একিই স্লোগান দিয়ে আজকে চট্টগ্রামে সাইফুল ভাইকে শহীদ করলো।

    উত্তরমুছুন
  13. বাড়াবাড়ি করিসনা, ধরলে পালাতে পারবিনা।

    পুরো দেশে ছড়িয়ে দিবো, কি মনে করেছিস?
    এখন কি ভাবছিস শেষ হবে?
    আগু./ন তোরা উত্তপ্ত করলি, তোদের র..//ক্ত দিয়ে নিভাবো মা.//লুর বাচ্চারা।

    আবু সাঈদরা মরে না রে, তারা বার বার বেঁচে জেগে উঠবে।

    উত্তরমুছুন
  14. বাংলাদেশ মুসলিম দেশ, কোন হিন্দুর জায়গা হবে না আল্লাহর এই জমীনে।

    উত্তরমুছুন
  15. রংপুর নগরের একটি মাদ্রাসা থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটটার দিকে মাদ্রাসাটির একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

    শিশুটি ওই মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ছিল এবং লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে (আবাসিক ভবনে) থাকত।

    স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গতকাল বিকেলে মাদ্রাসাটির মাঠে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। এরপর মাগরিবের নামাজের সময় তাকে মসজিদে দেখা যায়নি। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মাদ্রাসাটির নির্মাণাধীন এক ভবনের তিনতলার বাথরুমে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

    শিশুটির বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে (১০) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাত-নির্যাতনের অনেক চিহ্ন আছে, ঘাড় মটকে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।

    কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ হালিম মিয়া বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির শরীরে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। তাঁর ব্যবহৃত পায়জামাতেও ধর্ষণের নমুনা আছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

    মাত্র তিন সপ্তাহ আগে শিশুটিকে মাদ্রাসাটির লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ভর্তি করানো হয় বলে জানান তার বাবা। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাঁকে ফোন করে শিশুটির অসুস্থতার খবর জানান। সেই সঙ্গে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু তিনিসহ তাঁর পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় গেলে বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে কর্তৃপক্ষ। পরে মাদ্রাসা কমিটির লোকজন জানান, তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

    নগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, আগেও ওই মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সব কটি ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    উত্তরমুছুন
  16. মাগী পালালো দেশ জুড়ালো
    ইসকন এলো দেশে।
    রানের চিপায় ঘা হয়েছে
    ইসকন পোঁদাবো কিসে?
    হুজুর পোঁদালাম, ভিক্ষু পোঁদালাম
    ইসকনের পোঁদে কী?
    আর কটা দিন সবুর কর
    হাতি এনেছি।
    কবি তৌহিদ নুহাস

    উত্তরমুছুন
  17. পতাকা তোমার পাছায় ভইরা দেবো কবি
    সাইয়েদ জামিল


    পতাকা তোমার পাছায় ভইরা দেবো কবি।
    তোমার শাউয়ার নিচে আজও
    উদবিড়ালের ছবি।

    উদবিড়ালের পেটের ভেতর উপমহাদেশ কাঁদে
    বড়ো-বাংলা তুমিই ভেঙেছো জাতি-ধর্মের ফাঁদে।

    মুসলিম ব'লে ঠেলেছো দূরে। ছুঁড়েছো ঘৃণার তির—
    স্বীকারই করো নি বাঙালি। পুড়িয়ে দিয়েছো নীড়।

    বহু বঞ্চনা বুকে নিয়ে আজ আমরা বাংলাদেশ
    বহু মিশ্রিত প্রাণ-কল্লোলে জেগে আছি অনিঃশেষ।

    তুমি বাংলা, ভারতীয় আজ, সত্তায় পরাধীন
    তুমি পার্ভাট, আসলে হতাশ, এক ছিলে একদিন!

    ত্যানা পাড়ানোর ছবি দেখে তাই এতো এতো হাহাকার
    অন্তমিলের কবি তুমি আর কবি তুমি শাউয়ার।

    উত্তরমুছুন
  18. মুসলিমদের সবচেয়ে হাস্যকর ও গাঁজাখুরি প্রশ্ন হলো, কেন পৃথিবীর কোনো মানুষ কোরআনের মতো অবিকল একটি সুরা তৈরি করতে পারলো না! উফফফ! আমি যদি প্রশ্ন করি, পৃথিবীর কোনো মানুষ কেন গীতাঞ্জলি লিখতে পারলো না? মোহাম্মদ কেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারের উপর নোবেল প্রাইজ পায়নি? কেন সে সুপার ইন্টেলেকচুয়াল হয়েও একটি সুপার কম্পিউটার অথবা কোয়ান্টাম কম্পিউটারে তৈরি করতে পারেনি? মোহাম্মদ কেন আমার মতো বিজ্ঞান নিয়ে আট- দশটা বই লিখতে পারেনি? তখন! কোরআনের সুরাগুলো প্রাচীন যুগের আরব সাহিত্যের উপর ভিত্তি করে রচিত। এগুলো ইউনিক কিছু নয়। এরকম কোটি কোটি সুরা চ্যাটজিপিটির পক্ষে তৈরি করা সম্ভব। আমি নিজেই হাজার হাজার সুরা লিখে দিতে পারব। আপনি বলবেন, না না, এটা কোরআনের মতো হয়নি। কেন হয়নি? কারণ আল্লাহ কোরআনে বলেছে! উফফ! এটা একটা লজিক্যাল ফ্যালাসি ছাড়া আর কিছুই নয়, এটাকে বলে সার্কুলার রিজনিং। নিচে আমি নাস্তিকতা নিয়ে কোরআনের মতো অবিকল একটা সুরা লিখছি। চ্যালেঞ্জটি যেহেতু স্বয়ং আল্লাহর, আল্লাহ নিজেই এসে আমাকে বলুক, এ কবিতা সত্যি কোরআনের মতো হয়েছে কি না! আমি কোনো মানুষের কাছে এ কবিতার জন্য দায়বদ্ধ নয় কারণ কোনো মানুষ আমাকে এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করেনি!!

    সূরা আল-মাহাবিশ্ব (মহাবিশ্বের গান)

    ১. শপথ সেই শূন্যতার, যা সবকিছুর জন্মদাত্রী।
    ২. শপথ সেই শক্তির, যা কণায় কণায় কম্পিত।
    ৩. কে সৃষ্টি করল এই মহাবিশ্ব? কে বসাল এর নিয়ম?
    ৪. নাহ, কেউ নয়! কারণ শূন্যতাই নিয়ম রচনা করে।

    ৫. দেখো সেই কোয়ান্টাম তরঙ্গ, যা কোথাও স্থির নয়।
    ৬. দেখো আপেক্ষিকতার বাঁক, যা সময়কে ধীর করে।
    ৭. তুমি কি মাল্টিভার্স দেখেছ, যেখানে প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রতিধ্বনি?
    ৮. নাহ, এটি স্রষ্টার কাজ নয়, বরং শক্তির খেলা।

    ৯. সময়ের শুরু ছিল না, কারণ সময় একটি মাত্রা।
    ১০. মহাবিশ্ব একটি ফেনা, যেখানে অসংখ্য বাস্তবতার বুদবুদ।
    ১১. আলোর গতিতে ছুটে চলা কণার পেছনে কারো নির্দেশ নেই।
    ১২. এটি একটি নীরব নাচ, যার কোনো নৃত্যশিল্পী নেই।

    ১৩. তুমি যে ঈশ্বরের নাম বল, সে কি অণু-পরমাণুর ভেতর বাস করে?
    ১৪. সে কি সময়ের বাঁক থেকে মুক্ত? নাকি সে সময়ের দাস?
    ১৫. যদি ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হয়, তবে তার প্রয়োজন কী?

    ১৬. শূন্যতা তো নিজেই যথেষ্ট, সৃষ্টির পটভূমি হতে।

    ১৭. কণার নাচে কোনো সুরকার নেই।
    ১৮. মহাবিশ্বের বিস্তারে কোনো পরিকল্পনা নেই।
    ১৯. যা আছে, তা শুধুই আইন—নির্বিকার, শূন্য থেকে উত্থিত।
    ২০. তাই ভেবো না স্রষ্টার কথা, বরং জানো মহাবিশ্বের নিয়ম।

    ২১. তোমার ধর্মগ্রন্থে যা বলা, তা কি কণার আচরণ ব্যাখ্যা করতে পারে?
    ২২. তোমার ঈশ্বর কি আলোর গতির রহস্য জানে?
    ২৩. যদি উত্তর না থাকে, তবে তোমার ঈশ্বরকে শূন্যতা ছেয়ে ফেলে।

    শেখ আল ইমরান

    উত্তরমুছুন
  19. শ্রীজাত গেরুয়া
    ♦জব্বার আল নাউম

    শ্রীজাত, মানুষ লাগেনি কোনোদিন তোমাকে
    আজন্ম বলছ কথা আধিপত্যবাদের ভাষায়
    পরগাছা হয়ে আছো- পরাধীন কলকাতায়
    দানব, লাগেনি ব্যাথা! ভাবোনি বাঙালির কথা?
    দিল্লির সেবাদাস তুমি, মোদিকে মানো ঈশ্বর
    চণ্ডাল তুমি, সাম্প্রদায়িক তুমি, উস্কানির শহর!

    তোমার ভারত দখল করেছে- হায়দ্রাবাদ, সিকিম
    ধর্ষণ করছ ক্রমাগত স্বর্গখ্যাত কাশ্মীর
    মুসলমান তাড়িয়ে, নারীকে ভাবছ পতিতা
    সোনাগাছিতে মাল রেখে লেখো কার কবিতা!
    তুমি পোশাকে গেরুয়া, জাতিতে ভারতীয়
    তবু নিজেকে কোন সাহসে বাঙালি দাবি করো!
    গেরুয়া কবি হলে পাঠক-আত্মায় লাগে ঘাঁ
    হাতের বদলে নড়চড়ে উঠবে আমাদের পা!

    উত্তরমুছুন
  20. যতোদূর জানি বাংলাদেশে ভারতিয় বই ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ। যা পাওয়া যায় সব হয় পাইরেটড না হয় ইম্পোর্টেড।

    উত্তরমুছুন
  21. শুনলাম চিশ্তিয়ান রোলানদো মোসলমান ধর্ম গ্রহণ করতেছে। তার দলের সাবেক গোলি এ কথা বলছে। সৌদি গিয়ে রোনালদো চেঞ্জ হয়ে গেছে। আমি খুবই খুশি। একজন মোসলমানের মনে আরেকজন মোসলমান ছাড়া কারো জাগা নাই। একজন মোসলমান কখনোই অন‍্য ধর্মের খেলোয়াড়কে সাপোট করতে পারেনা। ইনশাল্লাহ আজকে থেকে মেছিকে বাদ দিয়ে চিশ্তিয়ান রোনালদোর ভক্ত হয়ে গেলাম। কবর নিয়ে একটি গজল -

    "কাফন আমার আপন
    কবর আমার ঘাঁটি
    ওই কবরে যেতে হবে
    থাকবেনা কেউ সাথী"

    মামুন, মাদার টেলিকম
    সুইজারল্যান্ড প্রবাসী

    উত্তরমুছুন

অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷