অনিক রায় এর গুচ্ছ কবিতা

১.

দাক্ষিণ্যে মধুর আমোদ 

দাক্ষিণ্যের প্রমাণ,শিলাবৃষ্টির যন্ত্রে বিবেচনার মতো 

জন্মরাশি নয়, মাথালে বিশ্বাস রাখে জীবাশ্ম চাতক

উষ্ণ চঞ্চুঘরে মকুল রূপান্তরের নাগাদ দরদে আসে

ধনুকের বান্ধবী বয়ান; দোচালায় উপবাক্যের বদল

স্বরাজের জলচরেও সন্ধির দশক, সাংকেতিক বৃষ্টি 

নথির নিবন্ধন করেছে,বাগানবাড়ির সংযত পতনে

নাবালক কুমারের হাতেই চূতমঞ্জরীর হলুদ অঞ্চল  

সূর্যাঘ্য দিনের রাগ স্তুতির মতো ধানে গড়তে পারব 

নিম্ন কৌশলে যে ছোটে, বিষয়ের বিপদ গতিক তল

আমোদিত চম্বুক উড়ানের নিচে গুড্ডি ভিজে গেল

চৈল ভরা মুগা ভেঙে নেবো; ইচ্ছাকৃত মেঘে নিপাট

চাওয়া শ্রেণি পর্যন্ত,শব প্রদর্শনের বৈদ্যুতিক বিষাদ—

২

মুগার মধু সংসার

এই ঝুড়ির গানে শুনলে বঙ্গাব্দের মধুবর্ষী গৃহিণীর

কপালের কঙ্কালে,লেখো জন্মগত চারিত্রিক বৈশাখ

জন্মমাসের ভেতর নিষেধ চুলের আলো সূর্য বন্ধনী

মায়ের সুতো মাতলো ত্রিশ দুর্বা,ব্রতগুণ হাতে নিয়ে  

উরন্তকালে মুগার প্রেমেও জানলেনা পাল্লার ফাঁকে  

গন্ধ নিষ্পত্তির মাত্রার নিক্তিতে,যে শরীরের বিরোধী 

দলে খল খেলা আনারসের দিন ধরে মধুর বিপরীত

গান্ধর্ববিধান দেখে সিংহ বর্ণ-পুরুষ,ভরা জলাশয়ে—

একতলা সোনা সমাপ্তি দিতে পারো বাষ্পের শাস্তরে

ফলান্বেষীর পালক পিতাও,সাপের ঘুম-চক্রে সাধক

সঞ্চয়ের শঙ্খাকারে কাটা, তবিলদারের হৃদয় গ্রীষ্ম 

রাজস্ব উর্চির ভয়েই থামলে,নাগরিকের তৃষ্ণা করে—

৩

কালী সন্ধ্যার নামকরণ 

লাল মার্কিনে যেসব সন্ধ্যা নামকরণ করে তার কৃপা

বৃষ্টির চেতন, জবার আকুপাকু হৃদয়ে মৈনাক মাতুল

পর্বতে যারা ভূতের চোখে খুলে দেয় এই শাক্ত-প্রবাহ

বোন সম্পর্কিত মাতাল,খণ্ড হিম আঙিনা করে রেখা-

তখনো মাঘে জলসত্র বিরতির সময় দ্বিগুণ তন্ত্রাচে

ঊষার থামানো মাংস লালসায় মা, আহ্লাদের শৈত্য 

এখন যে বুকে উপর পা রাখা, রূপোর নৈপূন্যে ধ্যান

ভাঙড় নবায়নের সন্ধিঘর মণ্ডপ রক্তচোখের অলস।

সাপের ভেতর থেকে গন্ধবিহীন ভক্তি বিক্রির স্নেহে

সর্ষে পেটানো কপাটের খিল, খাঁড়া হয়ে যেতে পারে

জিহ্বার অলসেরা, রমণের চুলেরাও লাল সন্যাসীর

কাল কল্কে প্রেমের এক শরীর কালী সন্ধ্যার মতো—

৪

দুধ সরের মিত্রনীতি

দুধ সরে মিত্রনীতি দোষ, নয়ের বিজোড় নখে বারুদ

অতীত নিরামিষের ধারণা রাখি,যে রক্তের ননী তুলে

দেশজ অস্বীকারের বিরাগ অহেতুক,গোশালার ঈর্ষা 

দ্রোণ দোহন স্বীকারে জল,ঋতুস্নানে নেই রাজনীতি 

আকাল ঋণে দোলনায়,দীন দ্রুপদের চলতি শোকে

আনন্দ পাই সরে শ্লোগানে,পাতাও হয়ে গেলো পরে

মহিষপল্লীর দলবদ্ধ দরদ,পেশাদার আমিনের মতো 

চতুর চৌবন্দির দুধের আলাপ নিয়ে সিঁদুরের বিরতি 

শরনার্থীর প্রজন্ম সম্পর্কে নিয়ে প্রীতি প্রশ্রয় ইত্যাদি

ঘরে মিছিল তুলবো,শিশুর জন্মসনে এখন উনিশের

ভেতরে জন্মেরশোধ চৈতন্যের চৌকা পন্থার বিরোধ

পাকঘর দক্ষিণ জানালায় ধরে গেল পতন পাতিলে। 

—

অনিক রায়