১
একগুচ্ছ ফুলের সুবাস নিয়ে
বোধহয় পারাপার হচ্ছিলাম
কোথাও; হিম নক্ষত্রের পর্বত
সকাল দুপুর রাত
এভাবে; এইতো
স্মৃতিরা বুকে ঢেউ খেলে গেছে বেশ
২
যখন তোমাকে ভাবি
কেবলি তোমাকে;
তরতাজা; আকাশের নিচে
সময় অসময়- সবই
প্রাণহীন অন্যকিছু
ভাববার মেজাজ কই!
৩
যতদূরই হোক গভীর
রচিত পথে পথে
যত ক্ষয় আর বিলীন
তবুও তো আসতেই
থাকবে আলো হয়ে
ওহে চির অমলিন!
৪
গরম পড়ছে উৎতলে
নীল আকাশ তবুও
আজ বোধহয় বৃষ্টি আসবে
ঘরে বাইরে উঠোনে
সবুজ ঘাসের 'পরে
নগরের জানালা ধরে
তাজা সেসব ফুলের ঘ্রাণে
আসো তবে
যেন কারো অশ্রুটি না হয়ে
৫
নক্ষত্রেরও ভাষা আছে ঢের
কথা আছে তবে
আকাশে আকাশে ছড়ায়ে
দেহ মন জুড়ায়ে;
আলোর মতোন আলোতে
মাখামাখি করে কেবলই নিজেদের
৬
মুখোমুখি;
কতকাল ধরে
একটি ফুলের সুবাস মেখে
দুজন দুদিকে
ছবি হওয়ার পরে
ছিটকে পড়লাম
একে অপরের ভেতরে
কাছাকাছি আর কাকে বলে!
৭
তোমার কোমল ডানায়
বোধহয় উড়ে যাবো
কিছুটা সময়; ফড়িং,
চিৎকারে কি বলবো
তোমাতে আমি দৃশ্যবিদ্ধ
এই বুকেও রয়েছে যত
না উড়াবার ক্ষত; কোনো
অচেনা পরিব্রাজকের মতো
তোমাকে দেখে কেন আবার
উড়িয়ে যাবার ইচ্ছে হয়, বলো তো!
৮
ভেতরে কি বাইরে
শূন্য জানালা ধরে
আজও কত অচেনা মুখ
কত চেনা চাহনিতে
ঘুরে ফিরে যায় উড়িয়ে
একই সে স্বাসে; বনে
লতানো ফুল; গোপনে
ছড়িয়ে যাও যে আনমনে!
৯
পোড়া রোদের চোখে
কি কথা আছে লুকায়ে
না জানি কত দূরে
কত শত মাইল
কত শতাব্দী পরে
অমন করে তাকিয়ে
কেন বারে বারে
আগুনের ছোঁয়া পেতে
প্রাণ পণে; নিয়ে নাও
নিষ্কলুষ করতে চাও আমারে
১০
আমার একটি মন আছে
সেটি ছিটকে পড়তে পড়তে
হয়তো শরণার্থী হয়ে গেছে
তাকে আর পাই না খুঁজে
মাঝে মাঝে ঠাঁই দিতে চাই
সকল অস্থিরতার অপর পাঠে
কিন্তু আর বেশি জানি না;
কোথায় হারিয়ে গিয়েছে সে
সে কি একটুখানি ছটফটে; কোনো
বন্ধ জানালার পাশে ফড়িংয়ের বেশে!
১১
একটা গোপন নদী
বয়ে যায় যদি
ভেতরে তোমার
যেতে যেতে বহুদূর
তবুও হবে না শেষ তার সুর
এমনি নিশ্বাসে বিষাদে ভরপুর
বুকে নিয়ে আর কত অন্ধকার
টলটলে জাগা স্রোত যেন নির্বিকার
তুমিও তো চেয়েছিলে কিছু কথা
সেখানে লুকিয়ে ভাসিয়ে দেবার!
১২
প্রাণের গত অধ্যায়ে
কে হাবুডুবু খেতে চায়
কে আর ফিরে যেতে চায়
অমন আদিম উন্মত্ত ইশারায়
নদীবক্ষে নোনা ধরেছে ঢের
সোনা রোদের তপ্ততায়
কেউ কি জিরোয় না একবার
আজও; সেই নিদারুণ বৃক্ষের তলায়!
১৩
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের কাঁথায়
শরীর মুড়ি দিয়ে রয়েছি
এভাবে থাকি না হয় খানিক
হুড়মুড় করো
তোলপাড় করো
আর যাই করো
এখনই ঝরে পড়ো না
অনেক আর্তি মর্তে
আমার মার্বেল চোখা
সবুজ ডানার ফড়িংটা
আসার সময় হয়েছে
ও এসে দেখলে
কষ্ট পাবে ভীষণ
এই হিমশীতল মর্গে
১৪
জলের অরণ্য ছুঁয়ে গেল
নীল নীল রোদ; দিনভর
বোকা বৃক্ষের ছায়া শুধু
এদিক থেকে ওদিকে
হেঁটে হেঁটে ধীর লয়ে অদৃশ্য
আমি শুনতে চেয়েছিলাম
তোমাকে; আরও কিছুক্ষণ
যখন কিছুই বলছিলেনা
আবার এসো; অমন করে
আমি ততক্ষণে উড়ন্ত থাকি
১৫
কঞ্চোনার বুকে এসেছে নতুন রূপে
ছোপ ছোপ মেঘ; স্থির জল দর্পণে
যায় ভেসে মহাসমুদ্রের গান শেষে
হিমালয়ের 'পরে আদিম এক চুল্লিতে
রাত্রিতে যখন অস্থির কলরবে ব্যাং ডাকে
তখনও অচেনা পোকাদের জরুরি হুইসেল
বেজে চলে; মেঘের জানালা দিয়ে আলো
ঢালে অপার নক্ষত্রেরা ক্ষণিকের উঁকিঝুঁকিতে
রাত বেড়ে গেলে মাছ শিকারী ঘরে ফেরে
কঞ্চোনা; তবু কঞ্চোনা- ভরা হৃদয়ে জেগে থাকে
১৬
আমি চরমভাবে ব্যর্থ একজন মানুষ
ভয় পেয়ো না কেউ
জীবিত বা মৃত সফলদের
কবরে বা শ্মশানে
ফুলের টোকা দিতে
বাহানা নিয়ে আসবো না কখনো
১৭
কি চেতনা বুকের গর্তে
রেখেছো লুকায়ে
সে কি নদী
সে কি সমুদ্র;
টলটলে নোনাজলে!
সে কি এসেছে
আকাশ থেকে
যাতনায় আহ্লাদে!
কথা কয় না
কেবলি চেয়ে দেখে
চেয়ে দেখে
স্নিগ্ধতা মাখা চোখে
কি যেন জুড়ায়ে আসে
সময়ে অসময়ে
নিরবে; সুগভীর আলিঙ্গনে
১৮
আমি একটা ভাষা খুঁজছি
কাঙ্ক্ষিত একটা ভাষা-
মাঝেমধ্যেই এমন হয়
পেয়ে গেলে একদিন
ঠিকঠাক ভালোবেসে
রাষ্ট্র করে দেবো তোমাকে
১৯
প্রাণ থেকে উধাও প্রাণে
নগ্ন পায়ে; আনমনে
আজও হাঁটছে মাসিমা
অমলিন নক্ষত্রদের চত্বরে
২০
মেঘের আশ্রয়ে আশ্রয়ে
ফুটে থেকে কিছু ফুল
টলমল তরঙ্গে; সুগন্ধে
আজ ভেসে চলল আকাশে
কাঁটার মতো শিউরে থেকে
খাঁজ কাটা তাজা শরীরে
ও ফুল, কি মোহ তোমাতে
আমার ভাবনার কক্ষপথে
এই আছি এই নাই; যেন
আলোর বেগে ছুটে যাই যতই
ততই অধিক শূন্য উপত্যকায়
বারবার তারই মুখোমুখি হই
হয়তো যেতে যেতে এভাবে
প্রকাণ্ড নিরবতার ভেতরে
ও পাপড়ি- সুশ্রীতমা, আরও কিছুক্ষণ
কোনদিন মেখে নিতে চাই হৃদয়ের কুটিরে
14 মন্তব্যসমূহ
Nice poem
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনKoyakta vlo lglo. Sob vlo laglo na
উত্তরমুছুন১ ৪ ৬ ১৭ ভাল লগেছে
উত্তরমুছুনপ্রিয় পাঠক ধন্যবাদ
মুছুনঅতটা ভাল লাগল না
উত্তরমুছুনমধ্যম মানের রচনা
জীবনানন্দের অনুকরণে কাব্য রচনা করেছে
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনকবিতা কবিতা লেগেছে কয়েকটা
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনSundor kbita. Suvokamona
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনসুন্দরকাব্যপ্রচেস্টা
উত্তরমুছুনশুভকামনাকবিরজন্য
নবীনকবিহেতুমি
এগিয়েচলসামনে
দেউচা পচামী ধন্যবাদ আপনাকে
মুছুনঅমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷