New

শ্বেতপত্র

বটবৃক্ষ : মমিনুল ইসলাম মঞ্জু



চলে গেলেন অ্যাডভোকেট এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ। পরপারে। আর দেখা হবে না। কথা হবে না। সামনাসামনি-মোবাইলে। সোমবার (১ মে, ২০২৩) সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মূলতঃ আমার জীবনের তিন বটবৃক্ষের ওকজন ছিলেন তিনি। অপর দু'জন হলেন আমার পিতা অ্যাডভোকেট আব্দুল করিম সরকার এবং স্কুল জীবনের শিক্ষক অ্যাডভোকেট কে এস আলী আহমেদ। তিন জনই আইনজীবী হিসেবে অর্ধশত বছর পার করেছেন। 

আইনজীবী সমিতির ওকালতনামায় আইনজীবীদের তালিকায় এক নম্বরে আছেন কে এস আলী আহমেদ। দ্বিতীয় নম্বরে এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ এবং তৃতীয় নম্বরে আব্দুল করিম সরকার। 

 আব্দুল করিম সরকারের বয়স ৯০ পার হয়েছে। কে এস আলী আহমেদের বয়স এখন ৮১ বছর আর এনামুল হক চৌধুরী চাঁদের বয়স হয়েছিল ৭৫ এর মতো।

দুর্ভাগ্য বয়স এবং ওকালতনামার তালিকার সিরিয়াল ভেঙ্গে ব্যাধি এনামুল হক চৌধুরী চাঁদকে টেনে নিয়ে গেল পরপারে। হারিয়ে গেল এক বটবৃক্ষ। অপর দুই বটবৃক্ষ তাঁর মরদেহের পাশে বসেছিলেন নির্বাক হয়ে। 

এনামুল হক চৌধুরী ছিলেন নির্মোহ এবং স্পষ্টভাষী। রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। সবচেয়ে বড় গুণটি ছিল যেই তাঁর কাছে যাক তাকে সৎ পরামর্শ দিতেন। চরম শত্রু গেলেও নিরাশ করেননি। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য তার দুয়ার ছিল খোলা।

তাঁকে হারিয়ে ফেললাম আজ। এভাবে বড় অসময়ে পল্লবহীন-ছায়াহীন গাছের নিচে উদাম হয়ে পড়ছি আমরা।

দৃষ্টি আকর্ষণঃ ছবিটি ছয় মাস আগে তাঁর বাড়ির সেরেস্তা ঘরে তুলেছিলাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ