কাব্যচিঠি— অদৃশ্য
তোমাকে একটি চিঠি লেখা হয়নি আজঅব্দি!
আজঅব্দি অপেক্ষার দ্বিপ্রহরে নামেনি বৃষ্টি।
চিঠির এই ক্ষরাকালে মনে হলো, তোমাকে লেখা যেতে পারে
একটি চিঠি—
তুমি তো জানো, আমাদের কখনো দেখা হবার কথা ছিলোনা। অদৃশ্যের গভীরে দৃশ্যমান হয়ে; আদিম শিকারীর বেশে ঘুরে বেড়াতে চেয়েছিলাম সমুদ্দুরে— জেলেদের নৌকার সমান দীর্ঘ সকালে আমরা বেড়িয়ে পড়বো মৎস্য শিকারে।
এবার সমুদ্দুরে গিয়ে দেখে এসেছি— সোনারপাড়া জেলেদের নৌকা ভাসানোর দৃশ্য। উত্তাল ঢেউয়ে নিজেদের কিভাবে সামলে নেয় নৌকাগুলো— ঠিক সে কৌশলেই আমরা ভাসাবো...
জালে ধরা পড়বে ঝাঁক ঝাঁক মাছ, কয়েকটা শামুক-ঝিনুকও— মৃত মাছের চোখের দিকে তাকিয়ে আমাদের হৃদয় আকুল হবে বেদনায়! আমরা চাইবো মাছগুলোকে আবার ভাসিয়ে দিতে— জলের অন্ত:পুরে। আমরা ব্যর্থ হবো, হেরে যাবো— আমাদের ক্ষুধার কাছে। জিহ্বায় চেটে নেবো মাছের শেষ অশ্রু বিন্দুটুকুও— যেভাবে প্রতিদিন চেটে নিচ্ছি ক্ষুধার্ত নখ থেকে নিজেদের ক্ষত।
4 মন্তব্যসমূহ
প্রকাশিত লেখাগুলো খুব ভালো লাগলো ।লেখক ও সম্পাদকে অশেষ ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনআমাদের কাজ ভালো লাগা ও শ্বেতপত্রের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মুছুনলেখকের নামের আগে প্রেরক যুক্ত করার ভাবনাটি কার?
উত্তরমুছুনলেখকের নামের আগে প্রেরক যুক্ত করার ভাবনাটি কার?
উত্তরমুছুনঅমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷