সুশ্রী জেবা মাসুমা খাতুন,
তোমাকে লিখি, কারণ তোমাকে ভালোবাসি, ঘৃণাও করি। তোমার দ্বিচারিতাও আমাকে অসম্ভব টানে, গায়ে কাটা তোলে, আমি বুঝতে পারছি- তোমাকে চিঠি লেখাটা বাজে কাজের মধ্যেই পড়ে যাচ্ছে- কালক্ষেপণ! কিন্তু কী এমন রাজকর্মই বা আমার জন্য বরাদ্দ আছে? ওই দুপুর দুটোয় ঘুম থেকে উঠে একটা কিছু গিলে, মায়ের গালিগালাজ শুনতে শুনতে বেরিয়ে পড়া- এরপর নানা ঘটনাবহুল দিন কাটিয়ে সন্ধ্যার পরে সুজার গদিতে মস্তি। রাত তিনটায় যখন বাড়ি ফেরার এলার্ম বাজে, ততক্ষণে মতিন আর সুজার বমি শুরু হয়ে যায়। আমি দুলতে দুলতে বীরের মতো বাড়ি ফিরি, কক্ষনো কারো সামনেই বমি করি না- কারণ মাস্তানদের কোথাও দুর্বলতা প্রকাশ করা ঠিক না! আমার জীবনের রহস্য জানার কমবেশি কৌতূহল তোমার যে আছে সেটা আমি জানি, ফলে এতো কথার অবতারণা।
বলো তো কয়টা ইয়াং ছেলের জীবন তুমি ধ্বসিয়ে দিয়েছো? না হোক হাফ ডজন হবে! প্রথম চিঠিতেই আমি তোমার চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে গালি দিয়েছিলাম। এটা অন্তত কসম করে বলতে পারি- ওই দিন আমি মাল টানিনি, এমনকি শুকনাও না। আমার তোমাকে গালি দিতে ইচ্ছা করলো আর আমি লাইনটানা খাতা টেনে নিয়ে তোমাকে যা লেখার লিখলাম- সব ভালগার। হঠাৎ মনে হলো তোমার মা-বাবা আর খচ্চর ভাইটাকেই বা ছাড়ি কেনো? ছোটোবেলায় গ্রামের ছেলেদের কাছে যা খিস্তি শিখেছিলাম সব উগরে করে দিলাম- মনে আছে নিশ্চয়? বিশ্বাস করো, চিঠিটা লিখে ডাকবাক্সে ফেলার পর আমার আনন্দে বমি পেয়েছিলো। তবে সেটা আমি মাঝ পথেই আটকে রেখেছিলাম। ভাবতে পারো- মতিনের সঙ্গে বাজি রেখে নয় ঘন্টা আমি সেটা হতে দেইনি! মতিন হলো আমার ফ্রেন্ড ফিলোসফার এন্ড গাইড- বামবিপ্লবী। ওর ঝাঁকড়া চুল আর লাল চোখ বসানো চেহারাটা নিশ্চয় তুমি আমার সঙ্গেই দেখেছো? ওকেও তোমার ভালো লাগতে পারে নাকি? সত্যি ও আমার চেয়ে হ্যান্ডসাম- লেডি কিলার ছিলো! ছিলো মানে বুঝছো না? ও শালা মরেছে- শুকনা টেনে বাইক চালালে যা হয়! তোমার বিয়ের তিনমাস পরের ঘটনা- বোঝাই যাচ্ছে সুজাও তোমার প্রতি দুর্বল ছিলো। মতিনকেই কেবল দেখলাম মেয়েদের নিয়ে ওর কোনো বায়না নাই। সুজার চ্যাপ্টার ক্লোজ- এখন আমি আছি তোমার জন্যে, শুধু আমিই!
এসব ভাবলে এখন হাসি পায়, তোমাকে ভালোবাসতে গিয়ে আমি কতো কষ্ট করেছি তা তোমার পক্ষে সবটা আন্দাজ করাও সম্ভব নয়। কিন্তু তুমি কী হে, যে পাত্তাই দিলে না- একটা ম্যাজিস্ট্রেট চ্যাংড়াকে হুট করে বিয়ে করে আপাদমস্তক প্রেজেন্ট করে বসলে! তোমাকে দ্বিচারিণী বলার কারণ ওটাই- তুমি কি একটুও আমাকে লাইক করতে না বা সুজা বিপ্লবীকে? বুকে হাত রেখে বলো দেখি!
বাদ দাও ওসব। এখন মনোযোগ দিয়ে শোনো- এটা তোমাকে লেখা আমার লাস্ট চিঠির আগের চিঠি। তবে তোমার নামে হলেও এ তোমার হাতে পৌঁছাবে না, আমার হাতে হাতেই পাবে তোমার ডবকা স্বামীটা। ইচ্ছা করেই এটা করবো। আমি চাই সে আমাকে দেখে একবার পাগলা হোক। গুলি চালাক আমার ওপর, আর তা না হলে চিঠিটা পড়ে পাগলা কুত্তার মতো উন্মাদ হয়ে তোমাকেই বাড়ি থেকে বের করে দিক। তুমি কি জানো মেয়েদের মতো পুরুষরাও কতো সেনসেটিভ- সন্দেহপ্রবণ? সন্দেহের কাছে যুক্তি-তর্ক জ্ঞান-বিজ্ঞান, ঝাড়ফুঁক কিছুই টেকে না!
যাই হোক তোমার দুশ্চিন্তার কারণ নেই- আমি এখনও অবিবাহিত। এর পরের, মানে লাস্ট চিঠিটা নির্বিঘ্নে আমি নিজে তোমার কাছে পৌঁছাবো ওই ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন, মানে তোমার বাপের বাড়িতে- যেখানে সেদিনের ট্রাজেডির পরে তুমি চলে আসবে। মনে রেখো, তোমাকে উত্ত্যক্ত করে আমার একদম অনুশোচনা হয় না- বরং একরকম আনন্দ জাগে।
ইতি-
প্রিন্স মিজু মৃধা
২৩/৩/২০০৩
5 মন্তব্যসমূহ
জ্যোতি ভাই ফাটাফাটি প্রেম আমাক বুক কেপে উঠলো সেই হইছে ভাই
উত্তরমুছুনMONOWAR HOSSAIN
মুছুনকবিকে ধন্যবাদ দিন
প্রেমের আমি প্রেমের তুমি
উত্তরমুছুনকতো গোপন কথা,
যায় হারিয়ে আকাশ পথে
হৃদয় ভরা ব্যাথা। (দুইবার)
জ্যোতিভাইয়ের প্রেমকাহিনি
বড়ই অম্লমধুর,
তেলে ভাজা গজামিঠাই
তেল যেন সে কদুর। (দুইবার)
পাগলা প্রেমের উথালপাতাল
গল্প আজি দেখি
নিজের প্রেমের স্বপ্ন নিয়ে
রঙিন ছবি আঁকি। (দুইবার)
জ্যোতিভাই রকিং লিজেন্ড
প্রেমপিয়াসী রাজা
পালিয়ে বিয়ে করে তিনি
পেয়েছেন প্রেমের মজা। (দুইবার)
তাইতো তিনি প্রেমরাজ আজ
জগৎজোড়া খ্যাতি
প্রেমের মড়া ডোবেনা জলে
জ্বালায় প্রেমের বাতি। (দুইবার)
সুরসম্রাট কবি ইদ্রিস আলি
মুছুনধন্যবাদ
আমার জাইংগা ফুটা হইছে
উত্তরমুছুনএসির এখন বাতাস হইছে
অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷