------------------------------------
রোদ্দুরের ঠিক পাশেই
------------------------
রোদ্দুরের ঠিক পাশেই এমন এক একটা অদ্ভুত গর্ত
অভাবের রঙ বোঝা যায় কিন্তু কোনো গভীরতা নেই
অনেক দূরে হাওয়ার শব্দ শুনে মনে হয়
বাড়ির পশ্চিম দিকে কোনো এক ঝড়ের আগে
আমাদের শেষ দেখা হয়েছিল
অথচ কোনো গলির পরিচয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল নয়
উপেক্ষার মতো করে রোদ্দুরের রঙ গুলি
“জল পড়ে পাতা নড়ে”-র মতো পায়েচলা পথ
ইচ্ছে করে চোখ বুজে পার হয়ে যাই
শীতের বেলার মতো নিঃশ্বাস যত কমে আসে
বুঝতে পারি, আত্মপরিচয়ের ফ্যানা ভাতের গল্প বলার
সরস জিভ সেই কবেই খুইয়ে ফেলেছি।
****************************
বমির পরিচয়
--------------
দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
তোমার যতটুকু অংশ দেখা যায়
তার ওপর আরও কয়েক স্তর রঙ চাপিয়ে
ছবিঘরের নদী ধারাবাহিক ভাবে বয়ে চলে
আমার গ্রামের সবটুকুকে ভাসিয়ে দিয়ে।
প্যালেটের সমস্ত রঙ নিয়েই নেমেছিলাম
কোনো কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রেখেছিলাম গভীর করে
তবুও কে বা কারা যেন তুলে নিয়ে গেল
এখন তো শুধু জলরঙ
সামান্য নাড়াচাড়াতেই হারিয়ে যায় জল
আজ
ছবিঘরের সমস্তটাই জল ছাড়া
বারবার তাই পর্দা ফেঁসে যায়
আর ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে
চাপচাপ রঙ
কোনো নাম নেই
সবাই বুঝতে পারে বমির পরিচয়।
---------------------------------
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
ময়নাডাঙা
পোঃ --- চুঁচুড়া. আর. এস.
জেলা --- হুগলী
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ
0 মন্তব্যসমূহ
অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷