New

শ্বেতপত্র

আহম্মেদুল কবির/ ভিনদেশি এক বাবু





ভিনদেশি এক বাবু গ্রামের মানুষের ভাষা বুঝতে পারেন না। গ্রামের মানুষও তার বিদেশি ভাষা বুঝতে পারে না। এজন্য বাবু গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রথমে বেশ অস্বস্তি বোধ করতেন। তবে বেশ কয়েক বছর গ্রামের মানুষের সাথে চলাফেরা করতে গিয়ে বাবু এখন গ্রামের মানুষের ভাষা বুঝতে ও বলতে পারায় গ্রামের মানুষের সাথে তার সখ্যতা হয়েছে।


আজ গ্রামে হাটবার, হাটে অনেকের সাথে দেখা হয় বাবুর। বাবু পরিচিতদের ডাক দেয় আলিমুদ্দিনের ছোট্ট চায়ের দোকানে। বাবু ডাক দেয়া মানে চা-চক্র হবে বেশ! সেটা নিশ্চিত জেনে বাবুর পরিচিতরা আলিমুদ্দিনের চায়ের দোকানে উপস্থিত। বাবুর কাছে উপস্থিত সকলে জানতে চায়, বাবু ক্যান ডাকলেন হামার গুল্যাক, কী কইবেন কন।


বাবু সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, শোনেন আপনারা, রাজি হলে আমি আপনাদের এই অলিপুর গ্রামটিকে একটি মডেল গ্রাম বানাতে চাই। কী বলেন আপনারা? বাবুর এমন ইচ্ছা কেন, জানতে চাইলেন সকলে।


বাবু জানালেন, না তেমন কিছু নয়, আপনাদের গ্রামে আমি অনেকদিন থেকে বসবাস করছি। আপনাদের গ্রাম আমার ভালো লেগেছে তাই আরকি!


সকলে আবারও জানতে চাইলেন কীভাবে মডেল গ্রাম বানাইবেন, এ কাজে তো অনেক ট্যাকা লাইগবে বাবু। ট্যাকা দিবে কাই, আর হামারে বা কী করার আছে।


বাবু বললেন, না আপনাদের কিছুই করতে হবে না, টাকার কথাও চিন্তা করবেন না। আমি ওসব ম্যানেজ করে নিবো। আপনারা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবেন ইচ্ছা থাকলে কীভাবে অসাধ্য সাধন করা যায়।


উপস্থিত সকলে বাবুর কথায় সমর্থন দিয়ে স্বশব্দে বলে উঠলেন, বানান হামরা আছি বাবু!


হাটে উপস্থিত সকলের সমর্থন পেয়ে বাবু পরের দিন থেকে নাওয়া-খাওয়া এক করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন গ্রামটিকে একটি মডেল গ্রাম বানানোর কাজে।


বিষয়টি শুধু হাটে উপস্থিতিদের সমর্থন নিলেই চলবে না, গ্রামের সকলেরই সমর্থন লাগবে। এজন্য বাবু পরের হাটবার গ্রামে মাইকিং করে হাট সংলগ্ন স্কুলমাঠে আবারও একটি মিটিংয়ের আয়োজন করলেন।


মিটিংয়ের শুরুতে বাবু গ্রামের ময়মুরব্বিদের সালাম জানিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন, প্রিয় গ্রামবাসী আমি ভালোবেসে আপনাদের গ্রামটিকে একটি মডেল গ্রাম বানাতে চাই। গত হাটে এ বিষয়ে অনেকের সাথে কথা হয়েছে। তারা সমর্থন দিয়েছে, আপনাদের সকলের সমর্থন চাই। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, গত হাটের পর থেকে আমি আপনাদের বাড়ি-বাড়ি ঘুরতে গিয়ে একটা জিনিস দেখে লজ্জিত হয়েছি। আমি দেখলাম আপনাদের বেশিরভাগ বাড়িতে পাকা পায়খানা নেই। ঝোপঝাড়ে যান হাগু করতে। আমি শুনে আশ্চর্য হয়েছি আপনারা বেশিরভাগ মানুষই হাগু করে ছাই বা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করেন না। খাবারের আগে হাত পরিষ্কার না করে খাবারের পরে হাত পরিষ্কার করেন। এসব উল্টো ব্যাপার-স্যাপার দেখেশুনে আমি লজ্জিত। এসব চলতে থাকলে আপনাদের গ্রামটিকে মডেল গ্রাম বানানো যাবে না। মনে রাখবেন, একটি গ্রামকে মডেল গ্রাম বানানোর প্রথম শর্তই হচ্ছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজ। আপনারা শুনে মন খারাপ করবেন না। আপনাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেই মূর্খ, লেখাপড়া করেননি, কেউ কেউ নির্বোধ। আপনারা অনেকে জানেনই না হাগু করার পরে কেন ছাই ও সাবান দিয়ে হাত ধুতে হয়। সেটা জানা না থাকলে কী ধরনের বিপদ হতে পারে। আর জানলে স্বাস্থ্যের জন্য কী ধরনের লাভ হবে সেটা বুঝতে হবে বুঝাতে হবে। স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে কোন কিছু কি ভালো লাগে? লাগে না। পেট খারাপ হলে মাথা খারাপ হয়, তখন সাত তলা বিল্ডিংয়ের চকচকে বিছানায়ও ঘুম আসে না। সেখানে মডেল গ্রাম তো দূরের কথা নিজের বড়িতেও শান্তি পাওয়া যায় না। এজন্য প্রথমেই গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনার জন্য 'হাতধোয়া' প্রকল্প দিয়েই আপনাদের গ্রামটিকে একটি মডেল গ্রাম বানানোর কাজ শুরু করতে চাই। আপনারা রাজি থাকলে বলেন, না থাকলে দরকার নাই।


সকলেই স্বশব্দে বলে উঠলেন, ছি ছি বাবু, এসব কী কন, আপনি গ্রামের জন্য ভালো কাজ কইরব্যান চান, হামরা রাজি হবার নই সেটা ক্যামনে ভাবলেন। হামরা রাজি আছি। আইজ থাকি কাম শুরু করেন বাবু।


বাবু এবার একটু নড়েচড়ে বসলেন, উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করে জানালেন, হাতধোয়া প্রকল্প কাজের সাথে সাথেই এই গ্রামটিকে মডেল গ্রাম বানানোর জন্য সুন্দর রাস্তা, সুন্দর ঘরবাড়ি, জায়গা মতো ব্রিজ-কালভার্টসহ অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি করতে হবে, করবো। তবে সকলকেই মনে রাখতে

হবে মডেল গ্রাম করতে চাইলেই করা যায় না। এটা অনেক বড় কাজ। এজন্য অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও থাকতে হবে, আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা আরও অনেক কাজ আছে করতে হবে, পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোকজন আমাদের কাজ দেখে যেন বলতে পারে আমাদের গ্রাম তাদের গ্রামের চেয়ে অনেক এগিয়ে। আর এসমস্ত কাজ নিশ্চিত করতে পারলেই আপনাদের এই গ্রামটি একটি মডেল গ্রাম হয়ে উঠবেই।


বাবুর কথা শুনে কেউ কেউ চিন্তায় পড়লেন। একে অপরের কানে কানে বলতে লাগলো বাবু এসব কী কয়! আমাগো পেট ভাত নাই। মাথাপিছু ঋণের দায়, এদিক ওদিক কাজ-কামাই করে যতটুকু পাই তাই খাই- সেই খাওয়ায় হাগায় হয় না, যতটুকু হয় তার জন্যে ফির কাই যায় সাবান কিনব্যার, ছাই প্যাচোত ধরি ঘুইরব্যার। এটা কোন পাগলা কী কয় না কয়।


দুই একজন বলাবলি করছে, মনে হয় গ্রামোত থাকতে থাকতে বাবুর মাথা খারাপ হইছে।


বাবুকে একজন প্রশ্ন করেই বসলেন, বাবু আপনে কি সাবান কিনি দিব্যান, পায়খানা বানে দিব্যান।


বাবু মুচকি হেসে বললেন, হ্যাঁ দেব।


দেব জবাব শুনেই অনেকে আবারও বলাবলি করছে পাগলার ড্যাও ধরছে দেউক।


কেউ কেউ অতি আগ্রহে জানতে চাইলো কোনদিন থাকি দিবেন বাবু।


বাবু জানালেন, আপনারা চাইলে দুই-এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করবো, টাকা-পয়সা জোগার করার ব্যাপার আছে। এজন্য আপনাদের কিছু কাগজ দিচ্ছি সকলেই সহি করে দেন। যে সহি করতে জানেন না টিপসহি দেন।


অনেকে জানতে চাইলেন, এসব সহি টিপসহি ক্যান বাবু। পরে কোন বিপদোত পড়মো না তো!


বাবু হাসিমুখে বললেন, আরে নাহ! বিপদে পড়বেন কেন। আপনারা ভোট দেন না, মনে করেন তেমন। মানে আপনারা আমাকে আপনাদের গ্রামকে মডেল গ্রাম বানানোর জন্য ভোট দিলেন, মানে সমর্থন জানালেন। আজকের এই মিটিংয়ে গ্রামের প্রায় সকল মানুষেই আছেন। অর্ধেকের চেয়ে একটু বেশি ভোট বা সমর্থন হলেই আমার চলবে।


বাবুর এমন কথায় বিশ্বাস করে মিটিংয়ে উপস্থিত বেশিরভাগ মানুষেই কাগজে সহি টিপসহি করলেন। দুই মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করলেন বাবু। কাজ শুরুর প্রথমেই বাবু গ্রামের ফেনসিডিলখোর, গাঁজাখোর, ইভটিজার, খোরমালোভি, জিলাপিলোভি এবং কিছু অতিলোভি বেকার যুবকদের নিয়ে একটি ব্যক্তিগত দল গঠন করলেন। সেই দলের যুবকরা বাবুর নির্দেশ মতো গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় প্রতি পরিবার থেকে কমপক্ষে একজন করে নিয়ে এসে বাবু মিটিং শুরু করলেন, গ্রামের নারী-পুরুষকে স্বাস্থ্য সচেতনায় সবকিছু শিখাতে লাগলেন। মিটিংয়ে ধুমধারাক্কা খাওয়া-দাওয়া চলছে এবং যারা মিটিংয়ে উপস্থিত থাকছে তারা প্রত্যেকেই যাতায়াত ভাতা, সম্মানীভাতা এবং সাবান কেনার জন্য এককালীন মোটা অংকের টাকা পেয়ে বেজায় খুশি। একইসাথে যাদের পাকা পায়খানা নেই তাদের বাড়িতে পাকা পায়খানা ও বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল বসিয়ে দিলেন।


এভাবে বছর শেষ না হতেই গ্রামের সকল অবকাঠামোও নির্মাণ করে ফেললেন। গ্রামটিকে এখন আর চেনাই যায় না। এরই মধ্যে বাবু তার হাতধোয়া প্রকল্পের কাজও শেষ করেছেন।


বাবু গ্রামবাসীর উদ্দেশ্য আবারও মিটিং ডাকলেন। মিটিংয়ে গ্রামবাসী প্রায় সকলেই উপস্থিত হলো। বিশাল মিটিং। বাবু এবার ঘোষণা করলেন শিশুদের জন্য খেলাধুলা নিয়ে নতুন প্রকল্পের কথা। এ প্রকল্পের কাজে শিশুদের দৈহিক গঠন ও মানুষিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে শিশুরা দেশ-বিদেশে খেলাধুলায় অংশ-গ্রহণ করে বিজয় অর্জন করে গ্রামের সুনাম বৃদ্ধি করবে। বিষয়টি গ্রামবাসীকে বুঝাতে সক্ষম হলেন এবং নিজ দলের যুবক ও মুরুব্বীদের নিজ নিজ পাড়া-মহল্লায় শিশুদের নিয়ে দল গঠনের জন্য নির্দেশনা দিলেন।


প্রকল্পের কাজে বাবুর এধরনের ফর্মুলা শুনে গ্রামের কেউ কেউ প্রশ্ন করলেন, বাবু ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা নিয়ে পড়ে থাকলে সংসার চলবো কেমন করে। সংসার না চললে আমাগো গ্রামে চুরি-ডাকাতি শুরু হইবো। তাতে আমাগো গ্রাম সন্ত্রাসী গ্রাম হবার নয়তো।


বাবু এমন কথা শুনে বিরক্তবোধ করে সকলকে বুঝাতে চাইলেন খেলাধুলা স্বাস্থ্য সচেতনতার একটি অন্যতম অংশ। স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে কী হয় সেটা হাতধোয়া প্রকল্পেই জানানো হয়েছে। শিশুদের শিশুকাল থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতায় গড়ে তুলতে হবে। আপনারা শিশুকাল থেকে স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন না বলেই বাবু হাত উঁচিয়ে একজন একজন করে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, দেখুন আপনারা কেমন জানি বে-সাইজ। কেউ লম্বা, কেউ খাটো, কেউ চ্যাপ্টা, কেউ ফর্সা, কেউ কালো, কেউ পাতলা, কেউ মোটা একেবারে বে-মানান। আপনারা টিভি-ফেসবুকে দেখেন না আমার নিজ দেশের মানুষ আপনাদের মতো নয়, আমার দেশের মানুষ দেখবেন কোর্ট-প্যান্ট-টাই পরলে কত সুন্দর লাগে, সাহেব সাহেব লাগে। আর আপনাদের অনেকেই আছে কোর্ট-প্যান্ট-টাই পড়লেও বান্দরের মতো লাগে। বিষয়টি ভেবে দেখেছেন এর মূল করণ কী? আসলে এর মুল কারণ আপনারা স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন না। কিন্তু আগামীদিনের ভবিষ্যৎ আজকের শিশুদের দৈহিক গঠন ও মানুষিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য খেলাধুলা প্রকল্প এই গ্রামটিকে একটি আদর্শ গ্রাম বানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে কি আপনাদের কোন সন্দেহ আছে?


সকলে হাত তুলে আবারও সমর্থন দিয়ে বলে উঠলেন, না বাবু সন্দেহ থাকপে ক্যান। আপনে তো ভালো কথাই কইছেন।


বাবু খুশি হয়ে ছি'বুড়ি প্রকল্প নামে খেলাধুলা প্রকল্পের কাজ ঘোষণা করে গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে আবারও খেলার ফর্মূলা কীভাবে কী করতে হবে উপস্থিত সকলকে জানালেন, বাবু ঘোষণা করলেন- যে দল জিতবে সেই দল এবং দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পুরষ্কৃত করা হবে এবং প্রত্যেক দলের দলনেতাকে এই গ্রাম উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকার কাজ দেয়া হবে। টাকার কথা শোনামাত্র গ্রামের লোকজন নড়ে চড়ে বসলেন। জানতে চাইলেন প্রকল্প কী বাবু?


বাবু জানালেন, এই যে আপনাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ যেখানে সেখানে হাগু করেন, হাগু করার পর কী করতে হয় এবং কীভাবে করতে হয় শিখলেন, সে কাজ করার নামই হচ্ছে প্রকল্প।


যেমন হাতধোয়া প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এমন আরও অনেক প্রকল্প আছে সেসব প্রকল্পের কাজ পর্যায়ক্রমে করা হবে।


গ্রামবাসী বাবুর কথায় সমর্থন দিয়ে গ্রামে অনেক ছোট-বড় দল গঠনে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। গ্রামের সর্বত্রই দল গঠন করা নিয়ে হাই হুলস্থুল পড়ে গেল। খেলা হবে বিজয়ের জন্য। কেউ হারতে নারাজ।


খেলা শুরু করে দিল দলগুলো।

দলনেতারা গ্রামের বিভিন্ন ইভেন্টে শিশুদের নিয়ে শুরু করে দিলো ছি'বুড়ি খেলা। খেলা চলছে তুমুলভাবে। শিশুরা খেলতে খেলতে টালমাটাল।


বাবুর দলের যুবকদের দিয়ে গঠিত দলগুলোই বিভিন্ন ইভেন্টে জিতছে বারবার। প্রতিপক্ষের অভিযোগ কোন নিয়মনীতি না মেনে বারবার ছি---- না বলেই ধমক দিয়ে জিতছে তারা। প্রতিপক্ষের দলনেতারা গো ধরে বসলো এই অনিয়মের খেলা আর খেলবেন না তারা। এদিকে বাবুর নির্দেশে গঠিত খেলা পরিচালনা কমিটির সাফ কথা খেলার নিয়ম ছি--- বলেই খেলতে হবে সকলকেই।


বিজয়ী পক্ষের দলনেতা বেশ চালাকী করে পরিচালনা কমিটিকে অভিযোগ করে জানায়, হামরা নিয়ম মানিই খ্যালবার চাই কিন্তু প্রতিপক্ষ ছি---- কেমন করি কওয়া নাগে, শুনা নাগে সেটাই জানে না। ওমার জন্যে তো আর খেলা বন্ধ আখা যাবার নয়। ওমরা খেলবার পায় না কিন্তু জিতপ্যার চায়। জিতপ্যার পায় না জন্যে ওমার সাথে গ্রামের বুঝদাররাও খেলা বন্ধ করার জন্যে একজোট হইছে। গ্রামের মান-ইজ্জত একেবারে শেষ করি দিব্যার নাগছে ওমরা। এজন্যে ওপারের গ্রামবাসী

হামার গ্রামের মাইনষ্যোক সন্ত্রাসী মানুষ কয়া বয়কট করছে। না এসব আর সহ্য কইরব্যার নই। ওই অবুঝদের আর খেলায় নিব্যারই নই।


বিজয়ী পক্ষের দলনেতাদের এমন কথা শুনে পরাজিত পক্ষের দলনেতারা ক্ষীপ্ত হয়ে বললেন, যাও যাও তোমারগুল্যার সাথে আর খেলবারই নই, তোমরা বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক। যখন দ্যাখেন হামরা জিতমো, চিটারী শুরু করি দেন। এই বলে খেলার মাঠ থেকে চলে গেল পরাজিত পক্ষের দলবল।


দিনঘুরে আবারো খেলার দিন-তারিখ নির্ধারণ হলো। দল গঠনে অনিয়ম করা হয়েছে বিচার চাওয়া হয়েছে বাবুর কাছে। বাবু কোন বিচার করেনি। তাই সকল পরাজিত দলগুলো একজোট হয়ে খেলা বয়কট করেছে, তারা আর খেলায় অংশ গ্রহণ করবে না। বিষয়টি গ্রামের বেশিরভাগই মানুষের মনে দাগ কাটলো।


সকলেই বলাবলি করছে, এ ক্যামন খেলা বাবুর চেংরাবেংরার দলই খেলাইবে, অন্যদলগুলো অংশগ্রহণ না করলে খেলা হয় কেমন করি?


এমন অভিযোগ শুনে বাবুর সাফ কথা, অন্যদলগুলোকে বারবার খেলায় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান করা হয়েছে কিন্তু তারা অংশগ্রহণ করছে না। তাদের জন্য তো আর খেলা বন্ধ রাখা যাবে না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইভেন্টে যে দলগুলো জয়ী হয়েছে তাদের নিয়ে নির্ধারিত সময়েই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। তাতে কেউ অংশগ্রহণ করুক বা না করুক তাতে কোন যায় আসে না।


খেলা শুরু হয়ে গেছে তুমুলভাবে। আজ সেমিফাইনাল খেলা। মাঠের চারদিকে হঠাৎ হৈচৈ। খেলায় অংশগ্রহণ না করা দলের লোকজন খেলার নিউজ করতে আসা এক সাংবাদিকে পিটিয়েছে। হুলস্থুল কান্ড। গ্রামের ডাকসই এক মুরব্বি দলনেতাকে ধমক দিলেন, জানতে চাইলেন সাংবাদিককে কেন মারপিট করা হলো। তাদের সাফ কথা এই শালা ভুয়া সাংবাদিক বাবুর দলের পক্ষ নিয়া হামারগুল্যার দল গঠনে নাকি অনিয়ম হইছে, দূর্নীতি হইছে আসল খবর না জানি কোনকিছু না বুঝি পত্রিক্যাত ভূয়া খবর ছাপাইছে এজন্যে বাবু হামার দলোক বাদ দিছে। মুরব্বি বিষয়টি বুঝতে পারলেন। দলনেতাকে কাছে ডাকলেন, ঘাড়ে হাত রেখে বুঝালেন, বললেন ছাড় বাপু ওসব বিষয়, ওই সাংবাদিকোক গ্রামের সবাই চেনে জানে। ওই খারাপ নোয়ায়, আসলে কি ওই গ্যামজ্যামি নিউজ কইরব্যার পায় না, ডাং আর মামলার ভয় করে, মাঝেমধ্যে বাবুর কাছোত সুবিধ্যা নেয়। হামরা সবাই জানি, উয়ার কাজ হইল এই গ্রামের পঞ্চাশ হাজার মাইনষ্যের মধ্যে কাই আলু, বাইগন, ভুট্টা, তামাক গারি সাফল্য পাইছে, গ্রামের কোন বেটিছাওয়া নাউ গারি দুই চার ট্যাকা কামাই করছে, আর বইন্যা নাই হইতে বইন্যাতে মানুষ ভাসি গেইছে সেউগল্যা খবর ছাপা। আর নাম ফুটায় ওই খুব বড় সাংবাদিক। থাউক উয়ার কাজ ওই করুক তোমরা কোন গ্যামজ্যাম করেন না। দেখি বাবু কী করে। শুনব্যার নাগছি বাবু বলে বিদ্যাশ থাকি মেলা ট্যাকা লোন নিয়া হামার গ্রামোক মডেল গ্রাম বানবার নাগছে বানাউক। ফির বলে বাবুর দলের চেংরাব্যাংরারা প্রকল্পের কাজের টেন্ডার করি নিয়া পাঁচ ট্যাকার কাম দশ ট্যাকাত করি লুটপাট কইরব্যার নাগছে। বাবুক কইলেও বিচার করে না। এপ্যাকে ফির বাবুর আগের মিটিংয়োত যামরা যামরা সহি-টিপসহি দেয় নাই তামার উপর বাবু ক্ষ্যাপি যায়া হাকাউ মামলা-মোকদ্দমা দিয়া হয়রানি কইরবার নাগছে। বিষয়গুল্যা ভালো ঠ্যইকপ্যার নাগছে না। কীসের ফির বলে গোপন ঘর বানে কাকো-কাকো ল্যংটা করি ডাংবার নাগছে। এগুল্যা কেমন কথা। শ্যাষপর্যন্ত বান মডেল গ্রাম হামার পাছা দিয়্যা চলে দেয়? নদীগুল্যাত ম্যালা ট্যাকা খরচ করি যে ব্রিজ বানাইছে সেই ব্রিজ থাকি ঝাঁপ দিয়া বান আত্মহত্যা করা নাগে? সবাই বাবুর কাজ-কর্মের ওপর চোখ রাখেন।


বাবুর দলের যুবকদের কার্যক্রম দেখে গ্রামের সবাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পের কাজের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে যুবকদের নিজেদের মধ্য মাঝে-মাঝে মারামারি হচ্ছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হচ্ছে। গ্রামবাসীর একেরপর এক অভিযোগ। বাবুর দলের যুবকরা দেশের আইন আদালত বাদ দিয়ে নিজেরাই আদালত বসিয়েছে। গ্রামের মানুষের এক জনের সাথে অপরজনের কোন বিবাদ হলে, কোন লেনদেন থাকলে কিংবা কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে সেসব সমাধানের নাম করে দুইপক্ষ থেকে পিসি আদায় করছে। গ্রামের সবখানে এসব বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


গ্রামের ভুক্তভোগী মানুষরা বিষয়গুলো নিয়ে বাবুকে বারবার অভিযোগ করলেও বাবু তাদের কথা কানেই নিচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ তুলেছে। অনেকেই ইদানীং বাবুর ভাবসাব দেখে বলাবলি করছে গ্রামের মানুষকে হাগু করা শিখিয়ে আর উন্নয়নের নামে দুই-চারটা ব্রীজ-কালভার্ট আর কয়েকটা বিল্ডিং বানিয়ে বাবু নাকি তাদের মাথা কিনে নিয়েছে। এর একটা প্রতিবাদ হওয়া দরকার মনে করে গ্রামের সবচেয়ে মান্যবর ব্যক্তিগণ এবং কয়েকজন মেধাবী যুবক একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ মিছিল আহ্বান করেছে।


মিছিলের পূর্বে আলোচনা সভায় মুরব্বিরা বক্তৃতায় সকলের উদ্দেশ্যে অভিযোগ করে জানান, শোনেন আপনারা বাবু মনে করছে হামরা গ্রামের মানুষ বোধহয় পাগলা। হামার প্যাটোত ভাত নাই, চিকিৎসা নাই, আইন নাই, বিচার নাই, কিস্তি ঋণে হামরা জর্জরিত, হামার মাথাপিছু আয় বাগডাসে খাবার নাগছে। হামার গ্রাম আদর্শ গ্রাম বানবার চায়া কীসের কী প্রকল্পের পাঁচ ট্যাকা খরচ করি হাজার হাজার ট্যাকা মারি দিয়া বাবুর দলের চেংরাবেংরারা শহরোত বড়বড় বাড়ি বানাইছে, এপ্যাকে হামরাগুল্যা বাজারোত যাবারে পাই না। সউগ ব্যবসিকের একটায় আও, হামার গ্রামোত নাকি এলা উন্নয়ন আর উন্নয়ন। হামার পকেটোত বলে ট্যাকা আর ট্যাকা। এজন্য ব্যবসিকরা একজোট হয়া দশ ট্যাকার চাউল সত্তর ট্যাকা, আট ট্যাকার আটা ষাট ট্যাকা, তেল, পিয়াজ মরুচ নুন মসলা কিনব্যার যায়া হামরা খেও হারে ফেলব্যার নাগছি। হামার ছাওয়াপোয়াগুল্যা কষ্ট করি লেখাপড়া করি শিক্ষিত হয়্যাও বাবু কোন প্রকল্পেই চাকরি দিব্যার নাগছে না। বাবুর দলের ডাইলখোর, গাঁজাখোর, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, সিঙ্গারালোভী, খোরমালোভী, অতিলোভী চেংরাবেংরাগুল্যাক চাকরি দিব্যার নাগছে। প্রকল্পের সউগ কাজ ওমরায় ভাগাভাগি করি খাবার নাগছে। এ জন্যে বাবুক সবাই বদদোয়া দিব্যার নাগছে। কাইও কাইও বাবুক গ্রাম থেকে বাইর করি দিবার জন্য দল পাকপার নাগছে। চলো সবাই মিছিল নিয়্যা বাবুর বাড়িত যাই। আইজ একটা বিহিত করায় নাইগবে। সকলে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাবুর বাড়ির দিকে।


পথিমধ্যে সুকান নদীর ঘাটে গ্রামের কিছু নৌকার মাঝির চিৎকার- চেচামেচি দেখে মিছিলের সবাই এগিয়ে এলো, কয়েকজন মাঝির মাথা রক্তাক্ত। ঘাটে বাঁধা বেশ কয়েকটি নৌকা ভেঙ্গে চুরমার।


মিছিলকারীরা প্রত্যক্ষ করলেন ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েছে। কেন কীভাবে এধরনের ঘটনা ঘটলো মাঝিদের কাছে জানতে চাইলো মিছিলকারীরা।


মাঝিদের অভিযোগ, বাবুর দলের ছেলেরা ব্রিজ বানানোর সময় নাকি রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ব্রিজ তৈরি করেছে। এজন্যই নাকি ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েছে। মাঝিদের পরিবারের লোকজন দূর্ঘটনার খবর শুনে দলবেঁধে বাবুর চামড়া তুলে নেব আমরা মিছিল করতে করতে মিছিলে যোগ দিলো।


মিছিল এগিয়ে চলছে বাবুর বাড়ির দিকে। যাওয়ার পথে বাবুর দলের যুবকদের, বাবুর পক্ষের লোকজনদের, বাবুর কু-বুদ্ধিদাতাদের, বাবুর পাহারাদারদের যে যেখানে পাচ্ছে ল্যাংটা করে পিটাচ্ছে আর মিছিলের স্লোগান দিচ্ছে একটা একটা বাবু ধর, কাপড় খুলে নেংটা কর।


সব জায়গা থেকে খবর আসছে, বাবু নাকি গ্রামকে আদর্শ গ্রাম বানানোর কথা বলে গ্রাম উন্নয়নের নামে বিদেশ থেকে ঋণ এনে তার দলবলসহ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে, আরও ভয়ঙ্কর খবর আসছে বাবু নাকি জানতো একদিন তার বিপদ আসতে পারে এজন্য নিজের দেশ থেকে ভাড়া করা গুন্ডা এনে প্রকল্পের টাকা দিয়ে তাদের পুষতো।


খবর সত্য না মিথ্যা এসব যাচাই বাচাই করার টাইম নেই মিছিলকারীদের। মিছিলকারীদের একটাই কথা, এতদিন ভালোমন্দ কিছুই বলা যেত না। বাবুর পোষা গুন্ডাবাহিনী গ্রামের সকলকে জিম্মি করে রেখেছে। লুটপাটের হাট বসিয়েছে। আর কোন কথা নাই-বাবু খেদাও!


বাবু কই বাবু কই মিছিল চলছে।


স্লোগান চলছে একটা একটা বাবু ধর, কাপড় খুলে নেংটা কর।


পথে পথে শুরু হলো বাবু পক্ষের সাথে মিছিলকারীদের মধ্যে তুমুল মারামারি, ভাংচুর। গ্রামের অনেক সম্পদ ক্ষতি হলো। কেউ কেউ শহিদ হলো, রক্তে রঞ্জিত হলো গ্রমীণ জনপদ। চারদিকে সোরগোল! মিছিল এগিয়ে চলছে বাবুর বাড়ির দিকে।


দলবেঁধে মিছিলকারীরা বাবুর বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়লো। বাবুকে পাওয়া যাচ্ছে না, মিছিলের কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন শিষ্টাচার, ভদ্রতা, সভ্যতা সবকিছু ভুলে গিয়ে বাবুকে না পেয়ে বাবুর ঘরের সবকিছুই লুটপাট করে নিলো, কেউ আবার আলমারিতে রাখা বাবুর পরনের আন্ডার প্যান্ট বের করে মাথায় ঝুলিয়ে আহম্মকের মতো হাসতে হাসতে নিজেই দিগম্বর হয়ে গেল, কেউ কেউ বাবুর শখের সবজি বাগানের মুলা, লাউ, কেউ ঘরের আসবাপত্র, কেউ বিছানার বালিশ চাঁদর, কেউ হাস-মুরগী, কেউ বাবুর শখের পানের বাটাটিও লুট করে নিলো।


এসময় বাবুর প্রতি অতিমাত্রায় বিক্ষুব্ধ এক যুবককে দেখা গেল, বাবু তার প্রিয় মানুষদের মাটি আর পাথর দিয়ে ছবি বনিয়েছে সেই ছবির মাথায় বসে প্রথমে মুতে দিলো, পরে আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ছবিগুলো ভেঙ্গে দিলো।


এসময় বাবুর বাড়ির পাহারাদার ওই যুবককে থামাতে গিয়ে যেই না বলেছে 'ছি ছি ভাই একী করছো, ছবিতে মুতে গিলে তোমার নুনু সকলেই দেখে ফেলেছে, তোমার লজ্জা হলো না, তুমি তো ভাই তোমার গ্রামের সবচে বেলজ্জা মানুষ ছি--ছি' বলতে না বলতেই শার্টের কলার ধরে বিক্ষুব্ধ সকলে মিলে পাহারাদারকে উত্তম মধ্যম দিয়ে দিলো।


বলতে লাগলো, শালা বাবুর দালাল, হামার গ্রামের প্রকল্পের টাকা দিয়া বাবু ছবি বানাইছে, হামরা না খায়া থাকি, হামার ঘরের ছাদ নাই, ব্রিজ বিল্ডিং ভাঙ্গি মাথাত পড়ব্যার নাগছে এ প্যাকে বাবু কোটি ট্যাকা খরচ করি ছবি বানায়, চ্যাংরাব্যাংরা পোষার নামে গুন্ডা পোষে আজ গুন্ডাগীরি বাবুর পাছা দিয়া চলে দেম। ক শালা বাবু কোনট্যায়।


জীবন বাঁচাতে পাহারাদার আঙুল উঁচিয়ে ওদিকের বন্দুকধারী পাহারাদারদের দেখিয়ে দিয়ে জানায়, ওরা জানে বাবু কোথায়।


বন্দুকধারী পাহারাদাররা মিছিলকারীদের উদ্দেশ্যে জানায়, শুনুন, আপনাদের বাবু তার নিজের দেশে চলে গেছে। আপনারা আর বিশৃঙ্খলা করবেন না। চলে যান। মিছিলকারীরা বুঝতে পারে, বাবুকে আর পাওয়া যাবে না। বাবু পালিয়েছে।


(একুশে বইমেলা-২০২৪, প্রকাশিত, অবমানব গল্পগ্রন্থ থেকে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

10 মন্তব্যসমূহ

  1. ভাই লেখক, আপনার গল্প পরতে পরতে কান্দি ফেলাইলাম। এত বড় লেখা ধৈর্য কুলায় না। তারপরেও পরছি শেষে মজা পাইছি।

    উত্তরমুছুন
  2. খুব কস্টে লেখাটা অর্দেক পরলাম ভাই ৷ গল্পটা খুব সুন্দোর হইয়েছে

    উত্তরমুছুন
  3. কবির, তুমি গল্প লিখ দেখছি। এইসব কি হিন্দুয়ানি গল্প। বাবু টাবু এদেরকে লিয়া লিখতেছো? কারণ কী। যাই হোক, তুমার গল্প সুন্দর হইয়াছে। মসজিদের চিপায় বইসা সম্পূর্ণ পড়লাম। দোয়া দিলাম, বড় লিখক হইবা।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. গল্পে কোথাও হিন্দুয়ানি শব্দ নেই। বাবু আমাদের বাঙলা সাহিত্যের একটি প্রিয় ডাক নাম। গল্পটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি।

      মুছুন
  4. akcilest golpo .... hasina palaise seta nie ai golpo kub nice hoisa .... apnar potibadi kolom hasinar gua die duki den via

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. অন্যায় করলে একসময় পালাতেই হয়। বাবু অন্যায় করেছে পালিয়েছে। গল্পটি পাঠ করে ভালো লাগায় অশেষ ধন্যবাদ জনাব।

      মুছুন
  5. গল্পটা মুগগ্ধতা রেখে গেলাম কবীর

    উত্তরমুছুন
  6. তোমার বউ বের হইচে না বই মেলায় ? আমার দোকানে ১পিছ দিও ৷

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আমার বউ নাই। বই আছে ঠিকানা দিয়েন অনলাইনে বই পৌঁছে যাবে। ধন্যবাদ।

      মুছুন

অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷