New

শ্বেতপত্র

তাহাদের জীবন / জুলকারনাইন স্বপন


“একটা টাকা দিয়ে যান’ 
বলেন- আল্লা নবীর নাম। প্রতিদিন একজন ভিক্ষুক সুর করে ভিক্ষা চায়। মাঝে মাঝে বলে, বাবারে একটা টাকা দিয়ে যান। ইহকাল-পরকাল দুই কালেই ফল পাইবেন। এই গরীবরে সাহায্য করলে, আল্লা আপনার ভাল করবো। 

কুড়িগ্রাম শহর থেকে বের হয়ে রাস্তাটা যেখানে ধরলা ব্রীজের দিকে মোড় নিয়েছে, যেখানে সবেমাত্র কয়েকটি দোকানপাট গড়ে উঠেছে, সেই মোড়ের একপাশে একটা পুরোনো তেতুল গাছের তলায় ভিক্ষুকের আস্তানা। আস্তানা বলতে চারটা বাঁশের খুঁটির উপর চট দিয়ে ঢাকা, যাতে গাছের উপরে বাসকারী পাখির মল মাথায় ও শরীরে না পড়ে, তাছাড়া সূর্যের তাপ হতেও রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তুু ঝর বৃষ্টি আসলে রেহাই পাওয়ার উপায় নাই, দে দৌড় আলিমুদ্দির চায়ের দোকানে। ভিক্ষুকের আস্তানা থেকে একটু দূরেই তেতুল গাছ ঘেসে আলিমুদ্দির চায়ের দোকান। দোকান বলতে ছোট্ট একটা ছায়লা। মাঝখানে একটা টেবিল, দুইপাশে ব্রেঞ্চ, অন্য পাশে উনুন। আলিমুদ্দি আর ভিক্ষুকের বাড়ী একই গাঁয়ে। আলিমুদ্দি ছোট থাকতেই বাপের হাত ধরেই শহরে আসে। আলিমুদ্দির বাবা নিতান্তই গরীব মানুষ ছিলেন। সম্বল বলতে ছিল এক টুকরা বাড়ী ভিটা। কিন্তু একবার খরায় ক্ষেতের সব ফসল পুড়ে যায়। মাটি চৌচির হয়ে ফেটে যায়। গ্রামে গ্রামে অভাব অনটন আর দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। আলিমুদ্দির বাবা পরিবারের বাঁচার তাগিদে শেষ সম্বল ভিটেটুকু স্থানীয় ছগীর মহাজনের কাছে বেঁচে দেয়। শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে আলিমুদ্দির বাবা সরাসরি শহরে এসে উঠে।  কিন্তু ইট কাঠের সাজানো শহরের কঠিন বাস্তবতা তাকে এক সাগর থেকে ভাসিয়ে আর এক সাগরে নিয়ে যায়। আলিমুদ্দির বাবা জীবন নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে। কারন সে জানে তার হারমানা মানে গোটা একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাওয়া। সে ইট ভাঙ্গে, হাতুরী চালায়, কুলিগিরী করে, শাবল চালায়, কখনো বা রিক্সা বা ভ্যান চালায়, তবুও শহর তাকে মেনে নিতে চায় না। কিন্তু আলিমুদ্দির বাবা হাল ছাড়ে না। সে ইতিমধ্যে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের লাইনের ধারের বস্তিতে আস্তানা গেড়েছে। শহরে এসে যদিওবা তার কোন রকমে ভাতের সংস্থান হয়েছে কিন্তু এশহরের আকাশ বাতাস তার ভাল লাগেনা। তাঁর মন কান্দে তার সেই গাঁয়ের জন্য। কিন্তু ফিরে যাওয়ার কোন উপায় নাই। প্রায়ই সে নীরবে কাঁদে, হা-হুতাশ করে, বুক চাপড়িয়ে খোদার কাছে ফরিয়াদ করে। আলিমুদ্দির বাবার ফরিয়াদ নিস্ফল হয়ে যায়। 

আলিমুদ্দি সংসারের অভাবের কারনে শহরে আসার পর থেকেই চায়ের দোকানে কাজ করে। শহর তার কাছে ভালই লাগে। শহরে কত রঙের জিনিষ, সব কেমন ঝকঝকা পরিস্কার। শহরে পয়সা থাকলে সিনেমা দেখা যায়। আসলে আলিমুদ্দি শহরকে নিজের করে নিয়েছে। সে যতটা বড় হয়েছে, ততই শহরকে চিনে নিয়েছে। এখানে বাঁচতে হলে কি করতে হবে, তারও কৌশল সে রপ্ত করেছে। শহর জীবনের বাস্তবতাকে সে কাছ থেকে দেখেছে। তাই সে চায়ের দোকানের কাজ ছেড়ে দিয়ে রাস্তার পাশে খালি জায়গায় নিজেই চায়ের দোকান দিয়েছে। মহল্লার এক রাজনৈতিক বড় ভাইয়ের বদৌলতে সে জায়গাটি বাগিয়েছে। সেজন্য অবশ্য সেই বড় ভাইকে মাসোয়ারা দিতে হয়। প্রতিমাসে মাসোহারা দিয়েও আলিমুদ্দির রোজগার ভালোই হয়। তাঁর চায়ের দোকন এলাকায় একটু পরিচিতও হয়ে উঠেছে।

একদিন আলিমুদ্দি তার দোকানে টুলের উপর বসে ঝিমাচ্ছিল। দোকানে খদ্দেরপাতি নাই বললেই চলে। সারাদিন অঝোড় ধারায় বৃষ্টি ঝড়ছে, একটুও থামারও লক্ষন নাই। এমন সময় এক বৃদ্ধলোক বৃষ্টিতে ভিজে কাঁপতে কাঁপতে তার দোকানে ঢোকে। আলিমুদ্দির একটু তন্দ্রামত এসেছিল। তখনই বৃদ্ধ বলে- বাবা আমারে একটু চা দিবেন। শরীরডা ঠান্ডায় কাঁপতাছে। আলিমুদ্দি রেগে উঠতে ধরেই নিজেকে সামলিয়ে নেয়। সে মাথতুলে বৃদ্ধের দিকে তাকায়। বৃদ্ধকে তার চেনাচেনা মনে হয়। সে উঠে দাড়িয়ে বৃদ্ধের কাছে গিয়ে ভালভাবে তাকায়। সে চমকে উঠে, সে দেখে এ যে তার গ্রামের গায়েন কাকা। যার গান শোনার জন্য সে রাত জেগে বসে থাকত। সে তাকে জিজ্ঞেস করে- গয়েন কাকা না? বৃদ্ধ আলিমুদ্দিকে চিনতে পারেনা। তাকিয়ে থাকে। তখন আলিমুদ্দি নিজের পরিচয় দেয়। বৃদ্ধ এই অজানা শহরে নিজের গাঁয়ের লোককে পেয়ে হুহু করে কেঁদে ফেলে। আলিমুদ্দি তার গামছাটা গয়েন কাকাকে দিয়ে বলে- আগে আপনার শরীরডা মুইছালও আর গরম গরম চা খাও, কাঁপুনিডা কইমা যাইবো। মন হয় প্যাডেও কিছু পরে নাই। মুখডা শুকনা লাগতাছে। একডা রুটি দেই, চা দিয়া ভিজাইয়া খাও।

গয়েন কাকা গামছা দিয়ে গা মোছে। অনেক সময় ধরে বৃষ্টিতে ভেজা দূর্বল শরীরের কাঁপুনী তবু থামে না। তার মধ্যে পেটে দানাপানি পরে নাই কাল রাত থেকে। তাই উত্তাপের আশায় সে উনুনের পাশে এসে দাঁড়ায়। আলিমুদ্দি চেয়ে চেয়ে দেখে আর ভাবে, যে মানুষটি একদিন সারা গ্রামের মানুষকে আনন্দ বিলাতো, উৎসাহ যোগাতো আর জীবনের কথা বলতো। সে নিজেই এখন জীর্ন শীর্ণ এবং বিপর্যস্ত। আলিমুদ্দির জানতে ইচ্ছে করে, কি করে গায়েন কাকার এ দশা হলো! সে গায়েন কাকার দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে থাকে। তার বুকটা কেঁদে উঠে। সে এগিয়ে গিয়ে পরম মমতায় গায়েন কাকার গায়ে হাত দেয়। দেখে গায়েন কাকার চোখে জল। সে গায়েন কাকাকে এনে বেঞ্চে বসায়। বলে, তুমি একটু শান্ত হও। তোমার সব কথা শুনব, চিন্তা কইরোনা। তুমি না মানুষকে কষ্টের সময় ধৈর্য ধরার কথা বলতে। তারপর আলিমুদ্দি একটা রুটি ও এক কাপ চা তার সামনে দেয়। বলে চা দিয়া ভিজাইয়া রুটিটা খাও। তোমার দাতগুলান দেখি সব পইরা গেছে, মনে হয় গিইলাই খাইতে হইবো।
এমন সময় দু’একজন খদ্দের দোকানে আসে, আলিমুদ্দি তাদেরকে চা দেয়। এরই মধ্যে গায়েন কাকারও চা-রুটি খাওয়া শেষ হয়। খদ্দের বিদেয় হলে আলিমুদ্দি ক্যাশবাক্সের টুলটিতে বসে গয়েন কাকাকে তার পাশে বসতে বলে। গায়েন কাকা ধীর পায়ে তার পাশে  এসে বসে। তখন আলিমুদ্দি তার কথা জানতে চায়, ও গ্রামের কথা জানতে চায়। অনেকদিন পর তার গ্রামের মানুষ পেয়ে তার শৈশবের কথা মনে পরে। বুকের ভিতরটা কেমন যেন হয়ে যায়, চোখটাও ভারী হয়ে আসে। 

এমন সময় গায়েন কাকা বলে উঠে, তোর মনে আছে আমাগো গ্রামের সেই বটগাছডার কথা। যেখানে শনি মঙ্গল বারে হাট বসত। সেই বটগাছডার নীচে গান গাইয়া আমি আসর জমাইতাম। আলিমুদ্দি বলে, হ, হ খুব মনে আছে। বেশী কইরা মনে আছে ঐ গাছডায় অনেক শকুন থাকত, হ্যারা প্রায়ই ঝগড়াঝাটি করত। আমরা সেগুলা দেইখা খুব মজা পাইতাম। তা কি হইছে গাছডার! কি আর হইবো বটগাছডার, হেইডাতো নদীতে ভাইসা গেছে। সাথে সাথে বাজারগ্রাম সবশুদ্ধা ভাসাইয়া লইয়া গেছে সর্বনাশা দুধকুমার। গ্রামের পর গ্রাম গিইলা খাছে সে। আবাদী জমি, ঘর বাড়ী সব সাবার করছে। কি যে তার আক্রোশ, এক রাইতেই সাবার করছে গোটা এলাকা। কেউ কিছুই লইতে পারে নাই। শুধু কেউ কেউ জানটা লইয়া কোন রকমে পালাইয়া বাঁচছে। বাচ্চাকাচ্চা লইয়া সে যে কি দূর্ভোগ, তা বইলা শেষ করা যাইবো না! অনেক মানুষ, গরু ছাগল, ঘর বাড়ী ভাইসা গেছে বানের তোড়ে। কেউ কারও কথা ভাববার সময় পায় নাই। সবাই নিজের জীবন নিয়াই ব্যস্ত ছিল। কেউ কেউ সাতরাইয়া, কেউ কেউ ডিঙ্গি লইয়া, কেউ  ভেলায় কইরা আবার কেউ ভাইসা গিয়া ভাটিতে কোন জায়গায় মরার মত পইরা ছিল।

সেইরাইতে মনে হইছিলো কিয়ামত বুঝি নাইমা আইছে, পৃথিবীডা বুঝি আইজ রাইতেই ধ্বংস হইয়া যাইবো। আমিও তেমনি ভাইসা গিয়া একটা চরে আটকা পরছিলাম। আগের মত তো শরীরে তাগদ ছিলোনা যে, বানের সাথে লড়াই করুম। তারপরও আল্লা আমারে বাঁচাইয়া রাখলো কিন্তু পরিবারের কাররিই আর হদিস পাইলাম না। অনেক খোঁজ করছি কিন্তু কাররিই দেহা পাইনাই। তয় আমার নাতিনটার লাশ পাইছিলাম। ছয় বছরের বাচ্চা মানুষ, কি করবো! পানি খাইয়া ঢোল হইয়া পইরা ছিলো। যহন ওর লাশটা দেখলাম, তখন আমি পাগল প্রায়। কি সোন্দর আছিলো আমার নাতিনডা।

ঐ গ্রামের লোকজন আমারে অনেক সাহায্য করছিলো। আমারে সম্মান দিছে আমার নাতিনটার দাফন কাফন করছে। আমারে খাবারও দিছিলো কিন্তু কয়দিন ঐ গ্রামে থাকা যায়। ফিরা আইছিলাম নিজ গ্রামে। দেহি গ্রামের কোন চিহ্ন নাই, মানুষজনও তেমন নাই। মনে হয় কোন এক তান্ডবে গ্রামশুদ্ধ সব উপরাইয়া লাইয়া গেছে। চেনা দু’একজনের সাথে অবশ্য দেখা হইছে, কিন্তু আমার পরিবারের কেউ নয় তারা। ভাবলাম, আল্লা যহন আমার কপালে এই লেখছে, তাই মাইনা লইতে হইবো। তয় আমি এটাও ঠিক করলাম যে, এই অভিশপ্ত মাটিতে আর থাকুম না। যেহানে আমার স্বজনরা নাই, সেইহানে আমি থাকতে পারি কি কইরা। তাই যেদিকে দুচোখ যায়, সেই দিকে রওয়ানা দেই। অবশেষে এই শহরে আইসা পৌঁছাই। আমি এহন সব দিক থিকা নিঃস্ব একজন মানুষ। আলিমুদ্দি বলে- গায়েন কাকা, তুমি চিন্তা কইরোনা। আমার বাবা মইরা গেছে, তার জন্য কিছু করতে পারি নাই কিন্তু তুমিওতো আমার বাবার মত। আমার যা জুঠবো, আমি যা খামু তুমি তাই খাইবা। আর আমার ঐ হানেই তুমি থাকবা। তুমি এইহানে বইসো থাকো, আমি হাতের কাজগুলো সারি। আলিমুদ্দি কাপ পিরিচ ধোয়, টেবিল মোছে। দোকানে কোন খদ্দের নাই, তাই আলিমুদ্দি দুই কাপ চা তৈরী করে আবার এসে গায়েন কাকার সমনে বসে। নিজে এক কাপ নেয়, গায়েন কাকাকেও এক কাপ দেয়। আলিমুদ্দি সবে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েছে, এমন সময় শফিক দোকানে ঢোকে। বলে- কি আলিমুদ্দি ভাই, কেমন আছ? গায়েন কাকাকে দেখিয়ে বলে- ওনাকে তো চিনলাম না, তোমার আপন কেউ বুঝি? আলিমুদ্দি উত্তর দেয়- ইনি গায়েন কাকা। আমার গ্রামের মানুষ, তয় আপনজনের চাইতেও বেশী। তাই না গায়েন কাকা! গায়েন কাকা ফ্যাল ফ্যাল করে দু’জনের দিকে তাকায়। আলিমুদ্দি কয়- গায়েন কাকা, এইডা শফিক ভাই। বেকার মানুষ, তয় অনেক লেহাপড়া করছে। ভার্সিটি পাস দিছে কিন্তু চাকরী হয় নাই। মাঝে মাঝে আমার এইহানে আসে। সুখ দুখের কথা কয়। মানুষটা খুব ভালা। ভার্সিটিতে পড়বার সময় রাজনীতি করত। গরীব মানুষের কথা কইত। তাগো ভাল করার জন্য কাজ করত কিন্তু এহন ঐসব করে না। কয়- ঐগুলান কইরা কোন লাভ হইবো না। যেমন চলছে তেমনিই চলতে থাকবো। শফিক গায়েন কাকার দিকে ভালভাবে তাকায়। দেখে, লোকটা দেখতে ঠিক  গ্রাম বাংলার বাউল কবিদের মত। তার চোখে সমীহের ভাব ফুটে ওঠে। সে গায়েন কাকার সাথে গল্প জুড়ে দেয়। এসময়ে কয়েকজন খদ্দের দোকানে ঢোকে। আলিমুদ্দি তাদেরকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে।

হঠাৎ বাইরে শোরগোল শোনা যায়। কে যেন বলছে- ঐ ফকিরের বাচ্চা, এখান থেকে সরবি, না চেংদোলা করে রাস্তায় ফেলে দিব। তোর বাপের জায়গা নাকি? আবার ছায়লা টাঙ্গিয়েছিস। এখনই এখান থেকে সর, নইলে কপালে খারাবি আছে। বৃদ্ধ ভিক্ষুক বলে ওঠে- বাবা, এই জায়গাতো খালি আছিলো, তাই আমি এইহানে বইসা ভিক্ষা করতাম। উপরে একটু  চট টাঙ্গাইয়া দিছি যেন সুরুজের তাপ থাইকা বাঁচবার পারি। আর এই জায়গাতো তোমাগো না, এডা সরকারের জায়গা। একজন বলে ওঠে- কয় কি খানকীর বাচ্চা। এইডা সরকারের জায়গা। এই এলাকা আমাদের। এখানকার সব জায়গা আমাদের। তুই এখান থেকে সরে যাবি, তারপর এখানে একজনকে পজেশন দিব। জামানত দিয়েছে পচিশ হাজার টাকা। আর তুই তো ফকিরের বাচ্চা। তুই কি দিবি?

আলিমুদ্দি আর শফিক এসব শুনছিলো। আলিমুদ্দি দরজা দিয়ে গলা বাড়িয়ে দেয়। শফিক নিষেধ করে। বলে, ওসবে মাথা ঘামাতে যেয়ো না। তাহলে তোমার পরিনতিও খারাপ হবে। আলিমুদ্দি বলে- গরীব মানুষ, হাটবার চলবার পারে না। এই জায়গায় বইসাই দুই চার টাকা ভিক্ষা করে, তাতে তার জীবন বাঁচে। শফিক বলে- আগে তোমার জীবন বাঁচাও, তারপর অন্যের জীবনের কথা ভাবিও। তুমি থাক, আমি এসব গোলমালের মধ্যে নেই। এরপর শফিক চলে যায়। আলিমুদ্দি তার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর তাড়াতাড়ি ভিক্ষুকের আস্তানায় কাছে যায়। গিয়ে দেখে তার চেনাজানা সব লোকজন। পাটি করে। যখন যে পাটি আসে, সে পাটিই তাদের। আলিমুদ্দিকে দেখে নেতা গোছের একজন বলে- কিরে আলিমুদ্দি তুই মাসোয়ারা দিস না আমাদেরকে? আলিমুদ্দি চুপ করে থাকে। কিরে কথা বলিস না কেন? এমন সময় ভিক্ষুক কেঁদে ওঠে, বলে- ওরে আলিমুদ্দি, আমারে বাঁচা। হ্যারা আমারে এইহান থাইকা তুইলা দিতে চায়। একজন বলে ওঠে- ও কি বলবে। ওর নিজেরই তো ঠিক ঠিকানা নাই। বলেই- ভিক্ষুককে সজোরে লাঠি দিয়ে একটা বাড়ি মারে। ভিক্ষুকের মাথা ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত উঠে। আলিমুদ্দি মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। অব্যক্ত ব্যথায় তার দুচোখ দিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় জল পরতে থাকে৷

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

39 মন্তব্যসমূহ

  1. সম্পাদক সাব, গল্পটা ঠিক জুতের লাগাইল না। মানসম্পন্ন হয়নাই।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. গল্পটা পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ।

      মুছুন
    2. পাঠ করে আমার সময় লষ্ট হল এখন অাবার তুমি ধন্যবাদ চোদাও কা?
      আমার সমায়ের দাম নাই ?

      মুছুন
    3. নাজমুল হোসেন জানি আপনার আমার সময়ের অনেক দাম। আমরা চাইনা কারো সময় নষ্ট হোক। ভবিষ্যতে যেন সময় দাম পায় সে চেষ্টাই আছি।

      মুছুন
  2. সুন্দর গল্প,। একটা জীবনঘনিষ্ট একটা গন্ধ আছে। বড় আপন আপন লাগে। আহা, গল্পকারের জন্য অনেক দুয়া করি, তিনি যেন বড় হয়ে বড় লেখক হন।

    উত্তরমুছুন
  3. ভাল লাগলো৷ তবে মনে হচ্এছে লেখক নতুন৷ এই বয়সে মানুষ এরকম শিল্গপহীন অশৈল্পিক গল্প লেখে৷ হতাশ হওয়ার কিছু নেই৷ বয়স হলে অভিজ্ঞতা বাড়লে ঠিক হয়ে যাবে৷

    উত্তরমুছুন
  4. মিতাভাই, আমার কমেন্টসখানা কপি করছেন দেইখে মজা পাইলাম। তবে এই লেখকের অনেকদুর যাইতে হইবে বইলা মনে হইতাছে।

    উত্তরমুছুন
  5. সুন্দর গল্প৷ একেই বলে মধুর মত গল্প৷লেখককে জানাই, মধুর মতো ভালবাসা ও শুভেচ্ছা৷ অযোগ্য সমেপাদক এতদিনে যোগ্য লেখক পেয়েছে৷

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সম্পাদক চুত্রী গেইচে

      মুছুন
    2. ABUHENA সম্পাদক ঠিক আছে। আপনি ঠিক আছেন তো?

      মুছুন
    3. ABUHENA আপনার মতো পাঠক মুতরি গেইছে

      মুছুন
    4. তোক ডিম ঢোকে দিবে পাঠক

      মুছুন
    5. ABUHENA তুই খুব মজা পাইছিস! ভাড়ামী করা বন্ধ কর, পাঠকরা সব বোঝে তোকে ভরায়ে দিবে অছেলা বাঁশ।

      মুছুন
  6. হায়রেে গল্প
    হায়়়রে সম পাদক
    গল্প ছাপাইচোচ তুই এটা???????এটা গল্পো????? তোকে যে মানুষ গামবাট বলে এই কারনেই বলে

    তুই ১টা সত্যিকারেরর অশিক্সিত গামবাট

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সিরাজুুল লেখা নিয়ে সুনিদিষ্ট গঠনমূলক সমালোচনা করুন, যদি তা করার যোগ্যতা ও শিক্ষা থাকে স্বাগত। আর যদি তা না থাকে নোংরামি, ছ্যাবলামি করবেন না। এটা নোংরামি ছ্যাবলামি করার জায়গা না।
      সম্পাদকের সম্পাদনা নিয়ে কথা বলার কী যোগ্যতা আছে আপনার, আপনি একটা সম্পাদনা করে দেখান। গল্প নিয়ে ট্রিট করেন অমন একটা গল্প দেখান তারপর না হয় কথা হবে। নোংরামি স্টপ! ছ্যাবলামি স্টপ!

      মুছুন
    2. তুই অন্যকে জ্ঞান ঝাড়া বাদ দিয়েে নিজে পড়ালেখা কর বলদ,,এটা তুই কি পকাশ করছিস???এটা গল্প হৈছে???? তুই তো শালা এত অচোদা যে গল্পও বুজিস না কবিতাও বুজিস না ,,, শালা মুর্খচোদা সম্বাদক

      মুছুন
    3. EMPTY তুই কী কবিতা, গল্প বুঝিস? তুই কী সম্পাদনা বুঝিস? মন্তব্য করিস তাতে বানান ভুল, বাক্য ভুল অশিক্ষিত মূর্খের ছা! নোংরামি করিস, ফাজলামি করতে আসিস, থামা নোংরামি থামা!
      গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারলে করবি না হলে ভন্ডামি করবি না।

      মুছুন
  7. অপূর্ব গল্প। ইহার টেস্ট জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেও বোঝবে না। এই লেখকের গল্প আরও প্রকাশ করার জন্য মেধাবী সুরুচীসম্পন্ন সম্পাদকের নিকট আর্জি জানাই।

    উত্তরমুছুন
  8. আলবালছাল লেখা লোকজনও এখন লেকক সাজচে
    বিভুতিভুশন পড়ুন
    মানিক বন্দোপাধ্যায় পড়ুন
    শরৎচন্দ পডৃুন কাজে লাগবে মাথা কুলবে

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. মো. তাইজুল ইসলাম আমার যা করা দরকার সবই করি, আপনার পাঠ বাড়ানো আবশ্যক না হলে দু-টা বাক্যে অসংখ্য ভুল হতো না। নিজের দিকে রাখুন, উচ্চতা মাপুন তাহলে অন্যের সাথে তফাৎটা বুঝবেন!

      মুছুন
  9. কি যুগ এলো বাবারে
    যেমন লেখক
    তেমন সম্পাদক

    লেখক যা মন চায় ছাইপাস লিখে
    সম্পাদকো পকাত করে প্রকান করে দেয়

    কোন বিবেচনা নাই
    ছি শেতপএ ছি
    মোখলেছুর তুমি বই পড় জ্ঞান অজন কর

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ABUL BSC এযুগ নিয়ে আৎকে উঠলেন যে! গল্প, লেখক, সম্পাদক ঠিকই আছে। আপনার লেখাটি ভাল না লাগতেই পারে, সেটা বলতে পারেন সে স্বাধীনতা আছে। তবে এটুকুতো মানবেন সাহিত্যের সমালোচনা গঠনমূলক হতে হয়। আর সে বিবেচনা বোধ না থাকলে অথর্ব পাঠক ছাড়া অন্য নন বৈকি?

      মুছুন
  10. মকলু তোমাকে আমি আগেই বলেচিলাম এদের বালছাল লেখা প্রকাশ করে নিজের ইজ্জত নিলামে তুল না৷ গরীবের কতা বাসি হলে ফলে

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. গুলতেকিন ধন্যবাদ।
      কোন একটা কাজ করতে গেলে কারো জ্বলবে, কারো ফাটবে, কেউ হাসবে, কেউ নাক সিটকাবে, কেউ এসে নোংরামি করে কাজটা নষ্ট করতে চাইবে আবার কেউ কেউ ভালবাসবে। সেজন্য কাজ বন্ধ করে পালাতে হবে এমনটা আমার দ্বারা হবে না, আমি কাজ করার লোক। ভাল- মন্দ থাকবে এসব নিয়ে থাকতে চাই।

      মুছুন
  11. মকলু চাচ্চু, আপনি টিক কাজ করেছেন৷ দারুণ গল্প, সুন্দর হইছে৷

    উত্তরমুছুন
  12. গল্প যে পাল্টে গেছে তা এই গল্পকার জানেননা মনে হচ্ছে৷ সংবাদ থেকে শিল্প সৃষ্টি সবার দ্বারা সম্ভব না৷

    উত্তরমুছুন
  13. গাতক যেমন গায়ক, গীতাল যেমন গীতিকার, এই গদ্যের লেখকও তেমন গল্পকার৷ ধুস্স্স্স্স্স্স্্্সস্স্্্সসসস

    উত্তরমুছুন
  14. ওরে গামবাট সম্পাদক মকলু তুই এগুল কি প্র্রকাশ করিস ক তো

    তোর কি বুদ্দি নাই
    মাতাত গরব?

    উত্তরমুছুন
  15. কবি ইদ্রিস আলীসোমবার, ২২ আগস্ট, ২০২২

    হে মহান সম্পাদক মোখলেছুর রহমান
    সম্পাদনা জগতের হিরো আলম তুমি
    আসো রংপুরে তোমার চরণ চুমি

    তুমি সম্পাদনা জগতের মাহফুজুর রহমান
    তোমার নাই বোধবুদ্দি মানসম্মান

    তুমি নিজে হয়েছ উলঙ্গ
    এখন অন্য লেখকদের করছ উলঙ্গ

    তুমি অশিক্সিত
    তুমি গামবাট
    তোমার বুদ্দিবিচারহীন
    জীবন্ত সার্কাস

    তুমি পাঠকের বিনোদন
    মগজশুন্য সার্কাসের ক্লাউন

    উত্তরমুছুন
  16. এই মন্তব্যটি একটি ব্লগ প্রশাসক দ্বারা মুছে ফেলা হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. বালকামা মকু লেখকের গোয়া মারো
      কমেন্ট করলে সেটি ডিলেট করো

      মুছুন
  17. এটি গল্প? 😂😂
    গল্পের চুতরী ফাইট 😂😂

    ছোটোগল্্পের জনক রবীন্দ্রনাথ এসব দেকলে আত্তহত্তা করতেন

    যেমন বালকামা সম্পাদক তেমন বালকামা লেকক

    উত্তরমুছুন
  18. লেখক ভাই, গল্পের যুগ যেভাবে পাল্টেছে, তা আপনার হয়তো জানা নেই। একটু ইতিহাস টিতিহাস পড়ুন। আর বানান সচেতন হন প্লিজ। একবার লেখা 'আলিমুদ্দি' আবার লেখা 'আলুমুদ্দি'। এটা কি স্বাভাবিক? ব্যর্থ সম্পাদকের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেকে মুক্ত ভাবার মত বোকামি করবেন না বলে আশা করি।

    উত্তরমুছুন
  19. গল্পকার সাজার ইচ্ছে হলে আগে গল্প সম্পর্কে জানুন তারপর লিখুন
    বাংলা সাহিত্য অনেক ঋদ্ধ ৷ একে দুষিত করবেননা প্লিজ

    উত্তরমুছুন

অমার্জিত মন্তব্য কাম্য নয়