New

শ্বেতপত্র

গ‌ণ্ডি : সু‌হিতা সুলতানা



‌যে তোমা‌কে ভা‌লোবা‌সেনি কখ‌নো তা‌কেই 
তু‌মি বে‌সে‌ছো ভা‌লো!‌নিরপরাধ আলোর রূপ
রহস্যময়ী হ‌য়ে আগুন ছ‌ড়িয়ে দি‌য়ে‌ গ‌ণ্ডি ভে‌ঙে
বারবার বিলুপ্ত নগরীর দি‌কে উদ্যত হ‌য়ে‌ছে যে‌তে
আজ মানু‌ষের চোখ মৃত মানু‌ষের চো‌খের ম‌তো
ধূসর বিবর্ণ!এক‌দিন যে হৃদ‌য়ে জে‌গে‌ছিল প্রেম
আজ সেখা‌নে র‌চিত হ‌য়ে‌ছে অদ্ভুত প্রা‌চি‌রের গল্প
‌বৈশা‌খের নি‌বিড় বেদনার ঘ্রাণ ক্রমশ তা‌কে নি‌য়ে
যায় প্রকৃ‌তি ও মৃত মানু‌ষের কা‌ছে,এএক বিপণ্ন
‌বিস্ময়।এই দুঃসহকা‌লে চেনা পথও কতটা অচেনা
হ‌য়ে‌ছে দ্যা‌খো।‌সেই নদী‌টিরও কো‌নো কলরব নেই
হলুদ পাতার ম‌তো হীম হ‌য়ে আসে তার শ্বাস
মানু‌ষের এই মর্মা‌ন্তিক প‌রিণ‌তি কো‌নো সফলতা
নয় সূর্যা‌স্তের ম‌তো নে‌মে আসে অনন্ত অন্ধকার
গভীরতর অসু‌খের পা‌শে শু‌য়ে আছে দূরত্ব 
‌দ্বিতীয়বার এ জীব‌নের ভেত‌রে আত‌ঙ্কের স্তূপ 
‌কে কোথায় কেমন আছে কে জা‌নে!আমারও 
‌সেই গ‌ণ্ডি ডি‌ঙি‌য়ে আর হয়‌নি তোমার কা‌ছে যাওয়া!
মানু‌ষের হৃদ‌য়ে জ‌মে‌ছে আজ হল‌ুদ ঘা‌সের মতন
ধূসর অসুখ।নিঝুম বিবর্ণ নগরী‌তে লাশবাহী গা‌ড়ি 
‌আঁধার ক‌রে রা‌খে চার‌দিক।বাঁচার লো‌ভে মানু‌ষের 
ভু‌লের স্তূপ বর্ণহীন ক‌রে তো‌লে জ্ঞান ও সংকল্প।

‌সেন্ট্রাল রোড, ধানম‌ণ্ডি, ঢাকা
১৯\৪\২০২১

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. এই কবির কবিতায় জীবনান্দীয় ধারার ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়৷ মরমী কবিতা, ভালো লেগেছে৷ রতন চেনার জন্য মোকলেচকে ধন্যবাদ৷

    উত্তরমুছুন

অমার্জিত মন্তব্য কাম্য নয়