বাস্তুশামুক
সাপের মতো জিভ বের করে বসে আছে রিপুসুন্দরী
শুধু জিভ — পশ্চিমে অন্ন শব্দ
স্রোতে সম্রাটের কুশলাদি
বেড়ে উঠছে ফূর্তি
মাঝে মধ্যে বাগদেবীকে স্মরণ করো ।
সময়ের কাছাকাছি রক্ত দোলনা
পুড়ুক আঁচে
ফুলের সিলেবাসে নাড়িশিল্পের ইতিহাস
আমি বাস্তুশামুক !
নতুনভাবে বানাচ্ছি কুশপুতুলের লিঙ্গ ।
মায়াবী, নিজস্ব
মায়াবী বাদুড় দেখছে কাঠবিড়ালির রমণ
উড়ন্ত ডানায় স্যাঁকরা বানাচ্ছে সোনার হরিণ
ব্রোঞ্জসিদ্ধার কপালে জমা পড়ছে ধাইমার বাকল
ধাক্কা খেলাম
শালবনে কথা বলে বিস্ময় ।
আলগা করি অন্তর্বাসের সুতো
পুরুষের নাভিতে ভাঙা শনি মন্দির
পায়রার ডিমের মধ্যে লোকানো ছিল স্বজ্ঞা
নিসর্গ কর্তব্যে জমাট বাঁধে ইস্পাতগাছ ।
রাধাচূড়া জানে না পল গগাঁর নিজস্ব বৃষ্টি ছিল।
হ্যাঁ , হ্যাঁ — না , না
পেশির দাপটে কেঁদে ওঠে শিশু পাথর
আঘাত জড়ানো বাতাসে জলজন্তুর হাসি
স্তব্ধতা , জলধারা
আকাশকে আলোকিত করে নেমে এল রোমের দেবীরা
নগরে গান গাইবে স্বর্গের অধর্ম ?
দেখছি জল , তেজ
তৈরি করে নেব বাক , ব্যায়াম
নিজেকে জানতে জানতে জেনে নিচ্ছি আমি ঈশ্বর , ডোমও — জলদস্যুদের আত্মা পোড়ায়!
মানুষ, পাখি, প্রত্ন
তোমার নাকের জলে আমার অশুভ হয়
আমি এখন শব্দবাগানের মালী
মুখ ঘুরিয়ে দেখবে না আমার দেবতাকে ?
নিম গাছের পাতায় মানুষের শব্দ , পাখির শব্দ , প্রত্ন শব্দ
এতক্ষনে দৃষ্টি পড়লো তোমার !
এবার প্রস্তুত হবে তোমার শব্দ , আমার শব্দ
আমাদের শব্দে কেঁদে উঠলেন স্বয়ং ইন্দ্র
অন্যদিকে যক্ষরা।
নাচে। একতারা!
মানবের ভিড় চুম্বন করে ভগবান বিষ্ণু
মর্ত্যের এত কাছাকাছি এসেও ফিরে গেলেন
মোক্ষলাভ ভাঙতে ভাঙতে আমি জেগে উঠছি ওঁ পর্যন্ত ।
কী যে অপার সৌন্দর্য আজ্ঞা চক্রে
সংখ্যা ও বেদান্তের চাকা ঘুরছে
পরলোক বাজিয়ে তুলি একতারায় !
তুমিও এসো - তুমিও
ক্ষত্রিয় মাটিতে স্বাভাবিক সুন্দরের চারদিকে নাচে
গ্রহ-উপগ্রহ।
শুভদীপ দত্ত প্রামানিক
প্রযত্নে : চিরদীপ প্রামানিক
গ্রাম + ডাকঘর : কীর্ণাহার
জেলা : বীরভূম
0 মন্তব্যসমূহ
অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷