New

শ্বেতপত্র

ম্যাডামের দেশে : সাম্য রাইয়ান

গণঅভ্যুত্থানের কবিতা : সাম্য রাইয়ান

ম্যাডামের দেশে ১


কোনও চিহ্ন রাখবেন না ম্যাডাম
এটা দাস ক্যাপিটালের যুগ
ঘরে ঘরে মার্ক্স ঢুকে যাবে।

বেনো জলে মার্ক্স আসার আগে
এসএমএস করে রাখবেন—
                 ‘পরের ক্ষেতের ধান, 
                 রাখিব অম্লান 
                 কারোর ঘরে আগুন দিবো না রাগে।’

আরও বলবেন, ‘রুপোর মূল্যে স্বর্ণ বিক্রি হবে
যার যা চাহিদা, আইফোন, বিরিয়ানি, সবই পূরণ হবে।’

রচনা: ২০১৫

ম্যাডামের দেশে ২


মনে রেখ শাসক
লড়াই সংক্রামক!
বৃথা লাঠি-বন্দুক
ক্ষত-বিক্ষত বুক
তার মাঝে লালরঙা
প্রতিরোধ উৎসব!

শ্রাবণের ফ্যাসিবাদী রাতে
শুধুই সাপলুডু, ছেড়ে গেছে প্রেম
ও ম্যাডাম, ও প্রিয়
তোমার চুমুতে মরে গেলে
মিথ্যা কান্না ছুঁড়ে দিও!

তুমিই দেশপ্রেমিক, আমরা শুধুই শ্রমিক!
তুমি সর্বজ্ঞানী, আমরা বুঝি না কিছু
পেটে খিদা নিয়ে শান্তশিষ্ট আছি—
             জিডিপি বেড়েছে মাথাপিছু!

রচনা: ২০১৮

ম্যাডামের দেশে ৩


ছেলেরা দখল নেবে সান্ধ্যকালীন মেঘ
মধ্যবিত্ত হাসি-খুশি মনে, হৃদয়ে আমার
ভালোবাসা-প্রেম নুয়ে পড়ে আন্দোলনে

ঘুরে যাবে সব, উলোট-পালোট
                যেহেতু পৃথিবী গোল
ফ্যাসিস্ট হাহাকার, ঘুরেফিরে বারবার
     খুব বেশি আবোল তাবোল!
হবে না সুযোগ, হয় না ম্যাডাম
                   মেহনতি মহাকাশ
                   (যদিও আবেগের দাস)
                   বৃথাই আবেগ প্রবণ!

রচনা: ২০১৯


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

15 মন্তব্যসমূহ

  1. উল্টাস মিজি পিলতুবনা

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. হে প্রভু
      ইয়ে কেয়া হুয়া

      কুছ সামাঝ নেহি পায়া
      কুছ তো সামঝাও এয়ার

      মুছুন
    2. দুঃবোধ্য মন্তব্য বুঝতে পারলে সবার জন্য সুবিধে হতো।

      মুছুন
    3. বিদরূল কূরূ মুরতামতা

      মুছুন
  2. খুব ভালো লাগলো কবি! আপনার লেখা কবিতা পড়ে মুগ্ধ হই সব সময়। এগিয়ে যান: আপনার সফলতা কামনা করি সব সময়!!

    উত্তরমুছুন
  3. বৈষম্যবিরোধী কবি ইদ্রিস আলীবৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪

    হে বীর সেনানী সম্পাদক, আপনার বিশ্ববিখ্যাত আন্তর্জাতিক শ্বেতপত্র পত্রিকায় প্রকাশের জন্য আমার অমর প্রতিবাদী কবিতাখানি দিলাম।

    জেন জি হৃদয়
    বৈষম্যবিরোধী কবি ইদ্রিস আলী

    জুলাই মাসের গভীর রাতে
    কালো ছায়ার ঢেউ,
    হারিয়ে গেল কোন সে কথা
    জানলো না তো কেউ।

    আগস্ট মাসে পূর্বাকাশে
    জাগলো বিশাল সূর্য,
    সোনা পুড়ে লাল হল
    বাজল মরণ তুর্য ।

    মরল মানুষ বাঁচল মানুষ
    জিতলো মানবসমাজ
    রাতের খোঁজে জেগে ওঠে
    পুরনো শকুন আজ।

    রক্তপায়ী যুদ্ধ নেতার
    অনুসারী যারা
    বাংলা ভাষা বাংলা মায়ের
    জন্ম শত্রু তারা।

    আলোকপ্রিয় জেন জি হৃদয়
    নতুন সমাজ খোঁজে
    সাম্য সমাজ গড়বে তারা
    ভালোবাসার ভাঁজে।

    আহা ভালোবাসার ভাঁজে৷

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. বৈষম্য নিপাত যাক
      সমতার হোক জয়
      জেগেছে ছাত্র-জনতা
      নেই কোন ভয়।

      আপনার কবিতা
      সময়োপযোগী কবিতা
      অসাধারণ।

      মুছুন
  4. মহম্মদ ইউনুসকে কিছু লোক ‘রক্তচোষা সুদখোর’ বলে অভিহিত করেন, আবার কিছু লোক বলেন, তিনি গরিবকে টাকার জোগান দিয়েছেন। ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে সুদ দেয়, ফলত সুদ তো আমরা সবাই খাই, ‘je suis সুদখোর’, ইউনুসের কী দোষ গোছের কথাও শোনা যায়। এই লেখার উদ্দেশ্য ইউনুস গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকা পেয়েছেন বা টাকা তছরুপ করেছেন সেসবের আলোচনা করা নয়, বরং গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মডেলের ক্ষুদ্র-ঋণ প্রকল্পের একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা, যেটার উদ্দেশ্য এটা দেখানো যে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মডেলকে দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ, বা সমাজসেবা বলাটা সত্যের মারাত্মক অপলাপ।

    বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সুদের হার কত? উত্তরটা বেশ জটিল, এবং এই জটিলতার কারণ গ্রামীণ থেকে ঋণ নিতে হলে ঋণগ্রহীতাকে সুদ-আসলের বাইরেও গ্রামীণকে নিয়মিত টাকা দিতে হয়। এই টাকাটা গ্রামীণ ঋণের পরিমাণ থেকে কাটে না, ফলত ঘোষিত সুদের হারের তুলনায় বেশি টাকা দিতে হয় ব্যাঙ্কে। সেজন্য সুদের হার কীরকম হবে, সেটা ধারের পরিমাণের সাথে সম্পর্কিত।

    কীরকম? সেটা জানতে হলে গ্রামীণের ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে দু-চার কথা জানতে হবে। গ্রামীণে কেউ একা ঋণ নিতে পারেন না। একটি গ্রুপের অংশ হিসেবে ঋণ নিতে হয়। সাধারণত পাঁচজনকে নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি হয়। প্রত্যেক গ্রুপের একটি অ্যাকাউন্ট থাকে, যাকে বলে – গ্রুপ ফান্ড অ্যাকাউন্ট (জিএফএ)। সেই জিএফএ-তে প্রতি সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা গ্রুপের প্রতি সদস্যকে দিতে হয়। সেই টাকা গ্রুপের সদস্যরা ১০ বছর পূর্ণ না হলে এবং গ্রুপের সবার সব ধার পরিশোধ না হলে তুলতে পারেন না। এই টাকার ওপরে ঋণগ্রহীতাদের গ্রামীণ বার্ষিক ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ দেয়। এর সাথে ঋণগ্রহীতাদের বাধ্যতামূলক ‘ট্রেনিং সেশনে’ যোগ দিতে হয় যার জন্য আলাদা করে ফি দিতে হয়। তার সাথে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্রামীণের ‘স্টক’ কিনতে হয় ঋণগ্রহীতাদের, যে ‘স্টক’ তাঁদের গ্রামীণকে ছাড়া আর কাউকে বেচার অধিকার নেই। যতদিন তাঁরা গ্রামীণের সাথে যুক্ত আছেন ততদিন তাঁরা ওই ‘স্টক’ বেচতে পারবেন না। ২০০৭ সালের আগে ওই ‘স্টক’-এর ওপরে কোনও ডিভিডেন্ট দেওয়া হত না ঋণগ্রহীতাদের। ফলত এই বত্রিশ রকম বাধ্যতামূলক লেনদেন নিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময় জুড়ে গ্রামীণের থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে আর গ্রামীণকে কত টাকা দিতে হচ্ছে তার হিসাব করলে সুদের হারের খতিয়ান মেলে, এবং ব্যাপারটা বেশ জটিল হয়ে দাঁড়ায়।

    উত্তরমুছুন
  5. Sincerely speaking in my humble opinion without being sentimental and judgmental and of course without offending anyone who thinks differently from my opinion, but rather looking into this serious matter without perspective distinction and views. I honestly think and believe that I have nothing to say.

    উত্তরমুছুন
  6. বরেণ্য গবেষক ড. দুলাল বসুমঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    গানটির পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি, তাই এর সঠিক রচনাকাল জানা যায় না (প্রশান্তকুমার পাল, রবিজীবনী, পঞ্চম খণ্ড, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৯০, পৃ. ২৫৮-৫৯)। সত্যেন রায়ের রচনা থেকে জানা যায়, ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট কলকাতার টাউন হলে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সভায় এই গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই বছরই ৭ সেপ্টেম্বর (১৩১২ বঙ্গাব্দের ২২ ভাদ্র) সঞ্জীবনী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরে গানটি মুদ্রিত হয়। এই বছর বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যাতেও গানটি মুদ্রিত হয়েছিল। তবে ৭ অগস্ট উক্ত সভায় এই গানটি গীত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না(প্রশান্তকুমার পাল, রবিজীবনী, পঞ্চম খণ্ড, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা, ১৯৯০, পৃ. ২৫৮-৫৯)।
    'আমার সোনার বাংলা' গানটির রচনার বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে কিছু বলেছেন? ফকির লালন শাহ কিংবা গগন হরকরা এবং আরো কতিপয় বিশিষ্ট সাধক সঙ্গীত রচয়িতার বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক কিছু লিখলেও আমার সোনার বাংলা গানটির বিষয়ে তিনি নিজে কিছু বলেননি যতটুকু জানতে পেরেছি অর্থাৎ এর রচয়িতা তিনি না অন্য কেহ! যদিও, এই গানটির কোনও পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি। রচনার তারিখও সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ নিজে এই গানের বিষয়ে কোনও বক্তব্য দেননি, কিন্তু তাঁর স্বাক্ষরেই গানটি মুদ্রিত হয়েছিল বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যাতে।
    বলা হচ্ছে যে রবীন্দ্রনাথের ‘স্বাক্ষরেই গানটি মুদ্রিত হয়েছিল বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যাতে’। প্রশ্ন হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ স্বাক্ষরের সাথে তারিখ দেবেন না এটা ভাবা যায় না এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ গান যা ছাপা হতে যাচ্ছে! অথবা যিনি ছেপেছেন তিনি গানের পটভূমি সম্পর্কে, তার সময়কাল সম্পর্কে তথ্যদেবার প্রয়োজন বোধ করেননি!

    উত্তরমুছুন
  7. গণতন্ত্র
    -------

    ০১

    আমি নামাজ পড়বো না
    না , আমি পড়বো না পড়বো না ।

    তুমি কে আমাকে বলার
    পড়ো । পড়তেই হবে। দোররা খাবে ।

    তুমি নামাজ পড়তে চাও ? পড়ো
    যখন ইচ্ছা, যতক্ষণ , যে ভাবে খুসি ।

    আমি কে তোমাকে না বলার ?

    আমরা দুজনে মিলেই এই মাত্র
    ফ্যাসিবাদ কে হত্যা করে এসেছি
    আমরা পরস্পর কে ভালবাসতে শিখেছি ॥

    ০২

    আমার মন্দির-মট-মাজার গুড়িয়ে দেবে ? দাও
    তোমার মসজিদ-মক্তব-মাদ্রাসা কেনো অক্ষত থাকবে?

    তোমার সাথে এখানে পারবো না , সত্য
    কিন্তু ঐ খানে? আমি যে গরিষ্ট , আমি সত্য

    সুতরাং চোখ চেয়েছ , খুলে নাও
    আমিও যখন চাইব , চাহিবা মাত্র দিয়ে দিও

    অন্ধকার দেখছ পৃথিবী ? আমিও দেখছি.....
    অন্ধকার দেখছ পৃথিবী ? আমিও দেখছি .....

    ০৩.
    শায়েখ আহমদুল্লাহ কে কলাম
    হুজুর আপনি মৌলানা ভাসানী হয়া যান
    তিনি আমকে কলেন , জনাব
    আপনি হজরত আসাদ মদনী হয়ে যান

    আমি বল্লাম , না আপনাকে লাইনে আনা গেল না
    খালি পরকালই দেখলেন
    তিনি বল্লেন, না আপনাকে লাইনে আনা গেল না
    খালি ইহকালই দেখলেন

    আমরা পরস্পর উচ্চস্বরে হাসলাম
    আমরা পরস্পর কে ভালবাসলাম

    এবং ইলিশের দর কেজি তিনশ হতে হবে
    বলে ঐক্যবদ্ধ হলাম
    একই বাজারে গেলাম ...

    উত্তরমুছুন

অমার্জিত মন্তব্য করে কোনো মন্তব্যকারী আইনী জটিলতায় পড়লে তার দায় সম্পাদকের না৷