New

শ্বেতপত্র

ঋজু রেজওয়ান এর গুচ্ছ কবিতা




       ওয়ার্মহোল

       নৈঃশ‌ব্দ্যের অন্তরা‌লে মি‌হি‌রের দানার ভেতর…
       যত শোক-দুঃখ-ব্যথা ঝ‌রছে মা‌টির রেকা‌বিতে
       তার থে‌কে কিছু দিই- ওয়ার্মহোলের ’নিষিদ্ধ না,
       সবকিছু বাধ্যতামূলক’। অন্য গ্যালাক্সির প্রান্ত…
       নৈঃশ‌ব্দ্যের অতিতেও হোয়াইট হোলের বিস্ফার
       সেখা‌নেই খুঁ‌জে নাও অনিন্দ্য পাঠের আয়োজন,
       আমাকে খুব‌লে দে‌খ কিছুই তো নেই অব‌শিষ্ট...
       প্যারালাল মহাবিশ্বে আমি এক ঋণাত্মক ঐশী
       একান্ত পা‌ঠের পর যে-টুকু শরীর খো‌লে ভাঁজ


ফিল্মের গতি

সরল অঙ্কের বন্ধনীতে...
সব Text-ই Context-এ পাল্টে যায় দ্বান্দ্বিক বীক্ষায়;
মেলোড্রামা! বুঝি না! ___জী-ব-ন ~
[Moving Camera!] আশ্চর্য ’কাটার’!
উপন্যাসের অতীত মুখ... স্মৃতিবাহী ফ্ল্যাশব্যাক নালা;
ড্রিমমোড ডেসটিনি...
আত্মসাৎ করছে- বেগানা মেয়ের পেটিকোটের গিঁট।
ফিজিক্যাল রিয়্যালিটি___
টাইম-চার্জড স্পেস এবং স্পেস-বাউন্ড টাইম;
বাস্তবের ডিস্টর্সন!
মৃত্যুদৃশ্যেও সানাই বাজে ধ্রবক পদের ভিন্ন হাহাকার।

শূন‌্যফলের তাওয়া

স্বর্ণময় দিন! দী‌নের যাপন চাঁদ! চাঁদ‌নির ঐশ্ব‌র্য‌্য
হাঁটাহাঁ‌টি শূ‌ন্যে ~ শূন‌্যতার ঝুল---
ঝুল-বারান্দায়‌ আ‌মি... য‌দি হই 'এক'
তু‌মি 'শূন‌্য' হ'‌য়ে অকারণ ব‌সো দ্বিধায় ও নি‌র্দ্বিধায়
সাম‌নে, পিছ‌নে! অর্থকরী শর্তে।
নিরুচ্চার শূন‌্যতায় জাগ‌তিক শূ‌ন্যে জলর‌ঙে দাগ
গা‌নি‌তিক অ‌র্থের অনর্থ---
ক‌বির মৈথু‌নে ছিলানীর উদাসীন সন্ত!
প‌রিব্রাজক সে নিব থে‌কে খো‌লে পুরা ধারাপাত
উত্তর হাওয়ায়! সাজা‌নো বিভ‌ঙে।
অসী‌মের আ‌য়ে + শাঁ, শাঁ যমুনার পা‌ড়, মানু‌ষের
উত‌রোল নিভৃতির অ‌্যা‌ক্রেলি‌ক---
জৈগু‌নের পুঁ‌থি পাঠ... একা‌কিত্ব স্না‌ণে
প্রব‌া‌লের রঙ, ঝিনু‌কের ছাই অন্ধকার র‌ঙের‌ঙে
অ‌বস্থান শূন্যে! শূ‌ন্যের আধার।
শূন‌্য স্ত‌রের ছায়ায় গৈ‌রিক তাওয়ায় ক্ষয়া‌টে গ্রন্থনা।

       আততায়ী ছোরা

       লাউয়ের ডগা ~ তরতর ~ চবুতর জাংলায়
       কার আগে কে যায় এগিয়ে
       দুই ঠোঁটের চুম্বনে, যেন ~ শঙ্খলাগা দৃশ্য।
       বর্হিদৃশ্যে- শুধুই যোগিতা। কী প্রতিযোগিতা
       নরম ডগার ঠোট;
       সোঁদাসোঁদা গন্ধমাখা ঝরে আশৈশব স্বপ্ন।
       দুরন্তকিশোর কখন আগল ভাঙে শিশিরের
       কাঁচা সোনালি রোদ্দুর;
       মনের ঝাঁকায় বাজে মন্দিরের শাঁখ, সুখসুখ।
       দূর মসজিদে দুআ ~ অতি সন্তর্পণে হেঁটে...
       বড় পুষ্করিনি পাড়;
       গভীর ক্রন্দনে জলছাপ পার হয় পথ, পথে।
       পথ জানে- বদ্ধ কপাটের ওপাড়ে গুমড়ে মরা...
       নৈঃশব্দ্যের আততায়ী ছোরা তরতরিয়ে বেড়ায়।

        রূপান্তর

        ক্ষুরধার কথা___কী কথা? ভাষায় পিল‌পিল
        বজ্রমু‌ষ্ঠি... মি‌ছিলে ‌পিছ পা;
        নাঙ‌লের ফলা, সবাক চিত্রের প্রদর্শনী
        নানাধার... ধনুক-আহ্বান।
        মু‌ক্তিকামী সুক্ত___ আত্মীয় আত্মায় আবরণ
        আ‌মি যেন... সাই‌বে‌রিয়ান:
        শুধু উপহাস, উলঙ্গ বৃ‌ক্ষের শব্দহীন
        তাণ্ডবতা... না পায় মলয়।
        জোছনারা হাঁ‌টে___অ‌ল‌ক্ষ্যে মৌসুমীউপ‌রোদ
        দহ দে‌হে (বি) দে‌হে সংগ্রাম;
        আ‌সলে ফিরবে! ভাব, না (আ) বেগ বিন্দুসম
        অ‌ক্টোপাস... ম‌নের সীমা‌ন্ত।
        তবুও বন্ধনহীন__বন্ধ‌নের চিরস্থায়ী ব‌ন্দোবস্ত
        সভ‌্যতার... বি‌ক্রিয়ায় ফি‌রি;
        অ‌বি‌ক্রিত দেহে! অ‌নিত‌্যকায়ার রূপান্ত‌র ‌নি‌য়ে
        নিগূঢ় রহস‌্যময় আ‌মি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

11 মন্তব্যসমূহ

  1. প্রকা‌শের জন‌্য ধন‌্যবাদ

    উত্তরমুছুন
  2. ঋজু ভাইয়ের অধঃপতনে কষ্ট পেলাম৷ এই অশিক্ষিত গামবাটের পত্রিকায় কবিতা লিখেলেন?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সকল পাঠকদের উদ্দেশ্যে। আপনাদের মতো মহান পাঠক যারা ভেবে বসে আছেন, যে সকল কবি বা লেখকদের লেখা শ্বেতপত্রে কোন প্রকার বানান সংশোধন ও এডিটিং ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে খুবই নেতি বাচক মন্তব্য করেছেন এবং সম্পাদককে অশালীন বাক্যে বিদ্ধ করেছেন। একবারও ঐসব লেখকদের কাছে সত্যটা জানতেও হয়তো চাননি এক তরফা সম্পাদককে দোষারপ করেই চলেছেন। আরো অনেক কিছুই বলেন কিন্তু সম্পাদক পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করলেও বদ্ধমূল থেকেছেন। পাঠকরা চাইলে হুটহাট যা ইচ্ছে তাই বলতে পারেন কিন্তু সম্পাদক তা পারে না। কারণ ঘটনার ভেতরে থাকে সম্পাদক, লেখক আর বাইরে পাঠকরা।
      প্লিজ গঠনমূলক সমালোচনা করুন, প্রকৃত পাঠক বা উচু স্তরের পাঠকের বিষয় বহির্ভূত মন্তব্য করা তাদের বৈশিষ্ট্যের সাথে যায় না।

      মুছুন
  3. ঋজু তোমার কি কবিতা লেখার জায়গার এত সংকট? তুমি এই বালকামা সম্পাদককে লেখা দিচো কেন

    উত্তরমুছুন
  4. আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আমি পাবনা মেন্টাল হসপিটাল থেকে বলছি, আমার অবহেলার কারণে ঋজু রেজোয়ান নামের এই লোকটি পালিয়ে গিয়েছে, তবে উনাকে আপনারা দেখতে পেলে পাবনা হসপিটালে পাঠিয়ে দিবেন, আর সেই সাথে যদি হিরো আলম কে পান তাকেও পাঠিয়ে দিবেন জায়েদ খানকে আমরা অলরেডি পেয়েছি

    উত্তরমুছুন
  5. পাবনা হসপিটালের একজন রোগী কয়েক বছর আগে পালিয়ে গিয়েছিলো,,সে নিজেকে কবি দাবি করতো,,কিন্তুু সে যে এমন কবিতা লেখবে আর সম্বাদক মোকলেছুর রহমান এসব প্রকাশ করবে কল্পনা ও করিনি🤔🤔

    উত্তরমুছুন
  6. যেমন কবি তেমন সম্পাদক
    দুই অচোদা একত্রিত হয়ে বাংৱা ভাষা ও সাহিত্য দূষিত করে চলেছে

    উত্তরমুছুন
  7. ওরে কবিতারে
    থু

    উত্তরমুছুন
  8. কীসের বালের কবি তুমি !
    তোমার কলম যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে লেখে না
    তোমার কলম সত্য-মিথ্যা ন্যায়-অন্যায় দেখে না ৷
    তোমার কলম অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আস্তানা খুঁজে পায় না
    তোমার কলম শ্রীলঙ্কা-আফ্রিকার না খাওয়া মানুষের কাছে যায় না
    শুধু ফুল-প্রকৃতির প্রেম তোমার কলমে শোভা পায় না
    তোমার এই নিরামিষ কবিতা বিবেকবান মানুষেরা চায় না !

    কীসের বালের কবি তুমি !
    তোমার কথার ছন্দ আমার আমিতে অহংকারে ভয়ে মানুষ কথা বলে না
    তোমাকে মানুষ ভালো ভেবে ভালোবেসে তোমার সাথে কেউ পথ চলে না ৷
    তোমার কালিতে দুর্নীতিবাজরা বহাল তবিয়তে আছে
    তোমার কালিতে ঘুষখোররা আরো আখড়া গড়ে ঘুষের কলম গাছে ৷
    তোমার কালিতে কৃষকের ন্যায্য দামের কথা কোনোক্রমেই উঠে আসে না
    অকেজো কবিকে নারী মা-ভগ্নি কেউ অন্তর থেকে ভালোবাসে না ৷

    কীসের বালের কবি তুমি !
    নারী বিরহ প্রেম আবোল-তাবোল লেখো
    ধর্ষিতা নারী এসিড ঝলসানো নারীর মুখ কী তুমি দেখো !
    মিছে নারীর প্রেমে ডুবে কলমের ধার বাড়াতে চাও
    মিছে দেশ প্রেমে ডুবে দেশদরদী গরীবের বন্ধু গান গাও ৷
    নিজের স্বার্থ ভেতরে ভেতরে অমরত্বের তৃষ্ণা ছাড়া তোমার কলমে আর কী আছে
    মানুষের মঙ্গল ছাড়া মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো ছাড়া
    কোন মানুষ ভবে বাঁচে ৷

    কীসের বালের কবি তুমি !
    দেশদরদী দশটা গান লিখলে জোছনা বৃষ্টিকে ভালোবাসলে ভাবছো অমরত্ব পেলে
    ভেতরে ভেতরে মানবিক সংসার ধর্ম ন্যায়-অন্যায়ের অনৈতিক প্রেমে বিবেকের মাথা খেলে !
    আবেগের প্রশ্রয়ে সুন্দরী দেখলেই তার প্রেমে গলে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেলে !
    অতীত ভুলে বর্তমানের প্রেমে দেহে শিরা উপশিরায় হাবু-ডুবু খেলে ৷
    নিজের কলমের ধার বাড়াতে বিদেশি বইয়ের বাংলা অনুবাদ করে শিশু-কিশোরদের পরদেশি সংস্কৃতিতে মাতালে
    তুমি নাস্তিক ভাবতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করো ক্ষণিকের কামুক মোহে ভক্তের নামে অনৈতিক কামুক প্রেমে নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ালে ৷
    শিয়াল পণ্ডিতের চশমার উপরের ফাঁকে ভক্তপ্রেমে নয় চোখের নেশার মায়ায় পোড়ালে
    সেল্ফির নামে ঢলাঢলি গলাগলি সাময়িক সুখের কামনায় নিজেকে ডোবালে ৷

    কীসের বালের কবি তুমি !
    তোমার দ্বারা সমাজ উপকৃত হয় না
    তোমার কথা কখনোই তো মাঠে-ঘাটে সংসদে কেউ কয় না ৷
    তুমি আগামীর জয় ও গানে নিজেকে কীভাবে বাঁচাবে নিজেকে দোষমুক্ত রাখবে
    সময়ের স্রোতে স্রোতের অনুকূলে গড্ডালিকায় গা ভাসালে অমরত্ব কোথায় থাকবে !
    সারাজীবন লেখো আজাইরা সময় নষ্ট করতে করতে পুণশ্চ কথাগুলো ভাববে ৷

    উত্তরমুছুন
  9. কি বালের কবিতা প্রকাশ করেছ তুমি ছোটভাই … এরাও আজকাল কবি সাজে ৷ আর তুমি এদের কবি বানানোর দায়িত্ব নিয়েছো
    তোমার কি উন্নতি কোনদিন হবে না ছোটভাই
    তুমি বই পড়
    বড় বড় কবিদের কবিতা পড়

    উত্তরমুছুন

অমার্জিত মন্তব্য কাম্য নয়